এখনও সিডন্সের দীক্ষায় হাঁটছেন তামিম

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট |
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ জেমি সিডন্সের দীক্ষা নিয়ে নিজের ব্যাটিং পাল্টে ফেলেছেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের আগ্রাসী ব্যাটসম্যান তামিম এখন বাংলাদেশ দলের অন্যতম দায়িত্বশীল ব্যাটসম্যান। নিজের ব্যাটিংয়ের উন্নতির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান বলে জানিয়েছেন তামিম।
চলমান ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে উইন্ডিজের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে খেলতে নেমে ১১৬ বলে ৮০ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন ব্যাটিং করার সময় সিডন্সের দেয়া উপদেশ মাথায় রেখে খেলেছিলেন তিনি।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ইনিংসের শুরুতে লড়াই করতে হয়েছিল তামিমকে। নিজের প্রথম বাউন্ডারি খুঁজে পেয়েছিলেন ৩০ বল খেলার পর। কিন্তু তবুও ঠাণ্ডা মাথায় খেলে গেছেন দলের প্রয়োজনে। দলকে ভিত গড়ে দিয়েছেন জয়ের পথে।

পক্ষান্তরে সৌম্য সরকার দলকে উপহার দিয়েছিলেন ৬৮ বলে ৭৩ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস। এক প্রান্তে রক্ষণাত্মক তামিম, আরেক প্রান্তে আক্রমণাত্মক সৌম্য- এরূপ সংমিশ্রণের কল্যাণেই রেকর্ড গড়া ১৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি করা সম্ভব হয়েছিলো ম্যাচটিতে। ক্রিকবাজের সাথে আলাপকালে অস্ট্রেলিয়ান সাবেক কোচকে কৃতিত্ব দিয়ে তামিম বলেছেন,
'আমার ইনিংসের ভাল দিক হচ্ছে যখন আমি এমনভাবে সংগ্রাম করতাম কেউ হয়তো এগিয়ে আসতো এবং বেপরোয়া শট খেলতো ও বলতো যে এটি আমার দিন ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে সংগ্রাম করা এবং টিকে থাকা আসলে অনেক কঠিন ছিল কারণ আপনাকে সেসময় কথা শুনতেই হতো, তবে দিন শেষে খেলাটির ফলাফলে আপনি প্রভাব রাখবেন।
'আমি এই শিক্ষা পেয়েছি জেমি সিডন্সের কাছ থেকে, তিনি সর্বদা আমাকে বলতেন, যখন তুমি সংগ্রাম করবে তখন তোমার হাতে মাত্র দুটি পথ থাকবে। একটি হলো সাজঘরে ফিরে যাওয়া এবং আমাদের সাথে বসে থাকা আর আরেকটি হলো লড়াই করে যাওয়া।'
শেষ পর্যন্ত ১১৬ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে থেমেছিলেন তামিম। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে অবশ্য ভাগ্যকেই দুষেছেন টাইগার ওপেনার। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের করা হাফ ভলি বলটি ফ্লিক করতে যেয়ে শর্ট মিড উইকেট অঞ্চলে জ্যাসন হোল্ডারের দারুণ একটি ক্যাচে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। তবে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে নয়, বরং খেলাটি শেষ করে না আসতে পারায় বেশি আফসোস হচ্ছে তামিমের,
'কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি দুর্ভাগা, যেমন গত ইনিংসটিতে। আমি বলের গতিপ্রকৃতি দেখে খেলছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে বলটি ফিল্ডারের হাতে সরাসরি ধরা পড়েছিল এবং সে ভাল ক্যাচ ধরেছিল। এই ধরণের পরিস্থিতিতে আপনার খুব বেশি আপসোসের সুযোগ নেই। আমি সেঞ্চুরি করতে পারিনি বলে আপসোস করছি না, বরং খেলাটি শেষ করে না আসতে পারায় আপসোস করছি,' বলেন টাইগার ওপেনার।