ওয়াকারকে কৃতিত্ব দিলেন এবাদত

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গুরুত্বপূর্ণ অংশে তাঁকে না খেলিয়ে যে ভুল করেছে সিলেট সেটা আবারও প্রমাণ করেছেন এবাদত হোসেন। চিটাগংয়ের বিপক্ষে ২৯ রানে জয়ের ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ১৭ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ম্যাচ সেরা হয়েছেন এই পেসার। সংবাদ সম্মেলনে এই পেসার দারুণ বোলিংয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন কোচ ওয়াকার ইউনুসকে। প্রথম দিকে একাদশে জায়গা না পেয়েও নিজেকে তৈরি রেখেছিলেন বলে জানালেন তিনি।

'আসলে প্রথম থেকে সাত-আটটা ম্যাচ অপেক্ষা করছিলাম নিজেকে তৈরি করছিলাম ম্যাচের জন্য, তো ম্যাচ খেলা হয়নাই। যখনি সুযোগ পাইছি ভালো করার চেষ্টা করছি। আমাদের কোচিং স্টাফ যারা আছেন, এবং ওয়াকার স্যার অনেক হেল্প করেছেন। আমি উনাকে ডেডিকেট করতে চাই, এবং আমার আম্মা প্রথমে আসছিল দুই-তিনটা ম্যাচ। তখন এতো ভালো করতে পারিনি। আলহামদুলিল্লাহ আজকে অনেক ভালো হয়েছে।'
টুর্নামেন্ট জুড়েই দুর্দান্ত বোলিং করেছে সিলেটের পেসার তাসকিন আহমেদ। যে কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন, আলো ছড়িয়েছেন এবাদত হোসেনও।
এবাদত জানিয়েছেন, সিলেট সিক্সার্সের কোচ ওয়াকার ইউনুসের পরামর্শেই কঠিন পরিস্থিতিতে ভালো বোলিং করতে পারছেন তিনি। তাকে এবং তাসকিনকে হার্ড লেংথে বল করারও পরামর্শ দিয়েছেন ওয়াকার।
'আমি বলতে চাই আমাদের যে স্ট্রং জোন তা আছে, আমি আর তাসকিন, আমরা দুজনেই সিমে বল করি। আমাদের দুজনকে একটা জিনিস তিনি শিখিয়েছেন, আমাদের যে ধরণের উইকেট থাকে, এসব উইকেটে এবং শর্টার ফরম্যাটের খেলা ঐসব উইকেটে যদি হার্ড লেংথে বল করি ঐটা ব্যাটসম্যানদের জন্য আসলে ডিফিকাল্ট। যখন আমরা প্র্যাকটিস করতাম এই জিনিষগুলাই আমাদের হেল্প করতো, কোন সিচুয়েশনে কী রকম বল করা লাগবে এবং কোন সিচুয়েশনে কীরকম বল করা দরকার।'