promotional_ad

ইয়াসির আলিঃ লম্বা রেসের ঘোড়া

ছবি- বিসিবি
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


চিটাগং ভাইকিংস প্রথম দুই ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলের অভিজ্ঞতা বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিল। কিন্তু ফর্মে থাকা ইয়াসির আলি বসে ছিলেন ডাগ আউটে। প্রথম দুই ম্যাচে আশরাফুলের ব্যর্থতার পর একাদশে সুযোগ পাওয়ার পর ২২ বছর বয়সী ইয়াসির আলির স্কোর ৪১, ৪, ৫৪, ১৫, ৩, ৭৮ এবং শেষ ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫৮। 


দীর্ঘদেহী এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান পাকিস্তান সফরে ইমার্জিং কাপেও দলের বিপদের সময় চার ইনিংসে ব্যাট করে রান করছিলেন যথাক্রমে ২০, ৪৫, ৫৬ ও ৬৬। জাতীয় লীগে সুযোগ মিলেছে ছয় ইনিংসে, ৫২.২০ গড়ে ২৬১ রান করেছিলেন করেছিলেন তিনি। 


দুর্দান্ত ফর্ম নিয়েই বিপিএলে এসেছিলেন ইয়াসির। তবে বড় দর্শক ও বিপিএলের চাপ সামলে পারফর্ম করার পরীক্ষায় কেমন করে, সেটাই দেখার বাকি ছিল। পরীক্ষায় লেটার মার্ক পেয়ে পাশ করা ইয়াসির দেখিয়ে দিয়েছেন বড় মঞ্চে পারফর্ম করার রসদ আছে তাঁর মাঝে। প্রমাণ রেখেছেন, তিনি এক মৌসুমের ব্যাটসম্যান নন, তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া।


ব্যাটিং ব্যাকরণ বই এর প্রতিটি শট আছে তাঁর হাতে, সাথে আছে পাওয়ার গেইম। পেস ও স্পিনে সমান পারদর্শী ইয়াসিরে ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক তারকা দেখতে পাচ্ছেন নির্বাচকরা। চিটাগং ভাইকিংস কোচ ও বিসিবি এইচপি দলের কোচ সাইমন হেলমটের ইয়াসিরের বদলে যাওয়ার গল্পটা ভালোই জানা। 



promotional_ad

'আমি যখন প্রথম একাডেমীতে তাঁকে দেখি, সে শুধুই একজন তরুণ প্লেয়ার ছিল। তাঁকে নিয়ে কিছু কাজ করার দরকার ছিল। স্কিল ছিল তাঁর। তবে তাঁর ফিল্ডিং ও ফিটনেসে বদল আনা দরকার ছিল এবং সে সেটাই করেছে। এখন দেখুন কি হচ্ছে। তাঁর ব্যাটিং অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। 


'শুধু ব্যাটিং নয়, সে ফিল্ডিং ও ফিটনেসেও উন্নতি করেছে। সব মিলিয়ে তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। সে এখন ক্রিকেট বই এর শট খেলছে উইকেটের চারপাশে। ড্রাইভ, কাট, পুল, সে সিঙ্গেল নিয়ে খেলছে, বড় শট খেলছে পাওয়ারের সাথে। মিড উইকেট, ডাউন দ্য গ্রাউন্ড এবং এক্সট্রা কাভারেও বড় শট খেলছে।'


বাংলাদেশ 'এ' দলের রাডারে থাকা ইয়াসির ছিলেন নির্বাচকদের প্রথম শ্রেণীর পছন্দের উদীয়মান ক্রিকেটার। ঘরের মাঠে ২০১৭ আয়ারল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে দারুণ ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। কথা ছিল ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ 'এ' ও শ্রীলঙ্কা 'এ' দলের সিরিজে খেলবেন। সেখান থেকে স্বপ্নটা আরও বড় হতেও পারত।


কিন্তু রিক্সায় করে মাঠে আসার সময় সিএনজি এক্সিডেন্টে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ইয়াসিরের। চার মাস মাঠের বাইরে থেকে প্রহর গুনতে হয় তাঁকে। দারুণ ফর্মে ও মানসিকভাবে স্বচ্ছ অবস্থা থাকা ইয়াসিরকে ছাড়াই বাংলাদেশ এ দল গড়তে হয় নির্বাচকদের। 


ইয়াসিরের ভাষায়, 'আসলে কি বলব, ওই দুর্ঘটনাটা আমার জীবনের একটা কালো অধ্যায় বলতে পারেন। চার মাস বাইরে থেকে অনেক বড় একটা গ্যাপ হয়ে গিয়েছিল। তখন আমি ভেঙে পড়েছিলাম। ভাবছিলাম, কী হবে! ‘এ’ দলের দুটো সিরিজ ছিল। শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশে এসেছিল, আমাদের আয়ারল্যান্ড ট্যুর ছিল। যেহেতু ভালো খেলছিলাম, আশা করছিলাম থাকবই দলে। 



'কিন্তু মিস করেছি দুটোই। ওই সময়ে আমাকে মানসিক শক্তি দিয়েছেন আমার বাবা-মা। তারা সবাই আমাকে বারবার বলতেন যে, ‘কিছুই হয়নি। কয়েকটা মাসই কেবল গেছে। সামনে অনেক খেলা আছে।’ পরে আমি আবার ট্র্যাকে ফিরেছি।' 


ট্র্যাকে ফেরা ইয়াসিরকেই দেখতে পাচ্ছে বিপিএল। ২০২০ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে সঠিক পথে থাকা ইয়াসিরকে ব্যবহার করার ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ হেলমট।


'আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই প্রতিভা নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বিপিএলের এই বিষয়টিই উচ্ছ্বাস জাগানিয়া। আমরা দেখছি ছেলেরা পারফর্ম করছে, তাঁরা এক সময় দেশের হয়ে খেলবে। আমাদের চোখ সরানো উচিত নয়।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball