১৩ বছর পরও পারফর্মেন্সে চিরতরুণ মাশরাফি

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে ২০১৫ সালে বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেই দল ছেড়ে গত আসর থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রংপুর রাইডার্সের। প্রথম আসরেই অধিনায়ক হিসেবে রংপুরকে শিরোপার স্বাদ দিয়েছেন তিনি।
প্রতিপক্ষ হিসেবে কুমিল্লাকে পেলেই জ্বলে উঠেন মাশরাফি। এই কথাটা আবারও প্রমাণ করলেন তিনি। গত আসরে বিপিএলের গ্রুপ পর্বে কুমিল্লার বিপক্ষে ২টি ম্যাচে রংপুর হারলেও দলের সেরা বোলার ছিলেন মাশরাফিই।

মঙ্গলবারও কুমিল্লার বিপক্ষে প্রথম দেখায় মাত্র ১১ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা পরিসংখ্যান গড়েছেন তিনি। এই ম্যাচে দারুণ এক স্লোয়ারে নিজের প্রথম শিকার বানিয়েছেন তামিমকে।
কুমিল্লার এই ওপেনার লং অনে তুলে মারতে গিয়ে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। এরপর এভিন লুইস লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে নাজমুল ইসলামের ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন।
৩ ওভারে ১১ রানে দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেয়া মাশরাফি শেষ ওভারটিও টানা করেছেন। তাঁর শেষ ওভারটি ছিল উইকেট মেডেন। কুমিল্লা অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা পরিসংখ্যানে পৌঁছেছেন মাশরাফি।
ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১৩ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মাশরাফি একবারই ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১২ সালের জুলাইয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বেলফাস্টে ১৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।
আজ ছাড়িয়ে গেছেন নিজের অতীত পরিসংখ্যানকেও। মাশরাফির পারফর্মেন্স দেখে কে বলবে তিনি আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিকে বিদায় বলে দিয়েছেন। প্রতিনিয়ত তিনি পারফর্মেন্স দিয়ে নিজেকে চিরতরুণ প্রমাণ করছেন।