আগুন দিয়ে আগুনের বিপক্ষে লড়েছে ব্যাটসম্যানরাঃ ম্যাকেঞ্জি

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
উইন্ডিজদের আগুন ঝরা বোলিংয়ে ভিত ছিল না বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা। উল্টো গতিময় এই বোলারদের বিপক্ষে সামনে এসে হাত খুলে মারার চেষ্টা করেছে তাঁরা। তবে আগুন দিয়ে আগুনের বিপক্ষে লড়াই করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে টাইগার ব্যাটসম্যানরা, বিষয়টি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি।
টেস্টের পর ওয়ানডেতেও মাঠে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টুয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল তাঁরা। সিলেটে প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচে এই বাড়তি অতিআত্মবিশ্বাসই ব্যাটসম্যানদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
'আমার মনে হয় এটা ছিল অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, আগুনের বিপক্ষে আগুন দিয়ে লড়াই করা। মাঝে মাঝে আপনাকে বাড়তি আক্রমণের সাথে মানিয়ে নিতে হবে,' ম্যাচে শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন তিনি।

তবে শর্ট বলের বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের রান করার অভিপ্রায় মনে ধরেছে ম্যাকেঞ্জির। কিছু দিন আগেও টাইগার ব্যাটসম্যানদের ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে ব্যাটিং দেখে চিন্তিত ছিলেন ব্যাটিং কোচ। শর্ট বল এবং বাউন্সারে রীতিমত পরাস্ত হত বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান।
কিন্তু লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার উইন্ডিজ বোলারদের দ্রুত গতির বলগুলো খেলেছে সাহস দেখিয়েছে। যদিও তেমন সফল হয়নি তাঁরা, তবে ব্যাটসম্যানদের এই সাহসিকতা পছন্দ হয়েছে কোচের। ম্যাকেঞ্জির ভাষায়,
'অতীতে যখন আমি দেখতাম ব্যাটসম্যানরা পেস বোলিংয়ে পরাস্ত হচ্ছে তখন আমি কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। আজ আমরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাতে গিয়েছি। যদি আপনি তিনটা আউট দেখেন, লিটন দাস সামনে এসে মারতে যাচ্ছে ১৪০ গতির বোলারকে। যা করার জন্য আপনার সাহসের প্রয়োজন, নিজের ভেতরের আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন।
'তামিম অসাধারণ ফর্মে, সেও সামনে মারতে গিয়ে আউট হয়েছে। সৌম্যও একই কাজ করতে গিয়ে আউট হয়েছেন। আমি মনে করি এটাই খেলার ধরণ এবং আক্রমণের বিপক্ষে প্রতি আক্রমণ করা। এই মাঠে বলের গতি ব্যবহার করে স্কয়ার লেগ আম্পায়ার এবং তাঁর পেছন দিয়ে মারাই ভালো শট ছিল। অতিরিক্ত বাউন্স ছিল উইকেটে। শর্ট বলের বিপক্ষে তাঁদের ব্যাটিং দেখে আমি একটুও চিন্তিত নই।'
ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। তবে ৪৩ বলে ৬১ রান করা সাকিবের মতো বলের গতি কাজে লাগিয়ে খেলতে পারলে আরও বেশি সফল হত বাংলাদেশ, মনে করছেন ম্যাকেঞ্জি।
'আমি মনে করি না এটা চিন্তার বিষয়। আমরা দ্রুত শিখছি না। ইনিংসের শুরুতে কোট্রেল এবং থমাসের বল বাড়তি পেস পাচ্ছিল। আমরা জানতাম তাঁরা উইকেটে জোরে আঘাত করে বল করার চেষ্টা করছে। সাকিব দেখিয়েছে আমরা গতি আরেকটু গতির ব্যবহার করতে পারতাম। আমার মনে হয় আমরা বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়েছি, সামনে মারার চেষ্টা করেছি যেখানে আমরা গতি ব্যবহার করে খেলতে পারতাম।'