বাংলাদেশকে নাগালে রাখতে সক্ষম শ্রীলংকা

ছবি: ছবিঃ এসিসি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ২৩৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের বড় জুটি গড়ার ব্যর্থতাতেই সোহানদের নাগালের মধ্যে আটকে রাখতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত মিজানুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলির পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে ৪৯.১ ওভারে সব উইকেট ২৩৭ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
কলম্বোর প্রেমাদাস স্টেডিয়ামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টস জিতেছিল স্বাগতিকরা, বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় তাঁরা। সকালের নতুন উইকেট কাজে লাগানোর পরিকল্পনায় সফলও ছিল শ্রীলঙ্কা। দলীয় দুই রানের ওপেনার জাকের হাসানের উইকেট তুলে নেন লঙ্কান বোলার ছামিকা করুনারত্নে। ১ রান করে আসিলা গুনারত্নের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরান জাকের।
তিনে ব্যাট হাতে নামেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হাসান শান্ত। কিন্তু তাঁকেও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে দেয়নি করুনারত্নে। ১০ রান সংগ্রহ করতেই শান্তকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি, ক্যাচ দিয়ে ফেরান শান্তও।
৩০ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরতে ব্যাট হাতে নামেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৮ বলে ৮ রান তুলে ফেরেন তিনিও। শেহান জয়সুরিয়ার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। দলের স্কোর তখন ৪১/৩, ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।

কিন্তু একপ্রান্ত আগলে ধরে রেখেছেন ওপেনার মিজানুর রহমান। ব্যক্তিগত অর্ধশতকটিও হাঁকিয়ে নেন তিনি। ৭০ বলে অর্ধশতক হাঁকানো মিজানুরের ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার এবং একটি ছয়ে। সাথে পাঁচে নামা মোসাদ্দেক হোসেনকে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তিনি, কিছুটা স্বস্তিতে বাংলাদেশ। কিন্তু তখনি আবার আঘাত হানেন লঙ্কান স্পিনার কামিন্দু মেন্ডিস। ৫৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে মেন্ডিসের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোসাদ্দেক।
মোসাদ্দেকের বিদায়ে দায়িত্ব নিয়ে নামেন পাকিস্তানের বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকানো ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি। মিজানুর এবং ইয়াসির মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। তাঁদের জুটিতে ৩৫ ওভারে দেড়শ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। কিন্তু বড় হয় না বাংলাদেশের কোন জুটি, ৯৫ বলে ৭২ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিজানুর।
এরপর দায়িত্ব নেন ইয়াসির, ৪২ রানের জুটি গড়েন আফিফের সাথে। ৫৪ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। রান আউটের ফাঁদে পড়েন আফিফও, ১৪ রানে ফেরেন তিনি। এরপর বাকিদের সাথে জুটি গড়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হন ইয়াসির। ৭২ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান তিনিও।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার খেলা হয়নি বাংলাদেশের। ২৩৭ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। লঙ্কানদের হয়ে একাই চার উইকেট নেন ছামিকা করুনারত্নে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ২৩৭ অলআউট (৪৯.১ ওভার)
(মিজানুর ৭২, ইয়াসির ৬৬; করুনারত্নে ৪/৩৫)