ঘন ঘন পরিবর্তনের বিপক্ষে সাকিব

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
দলের মধ্যে বার বার পরিবর্তন, ক্রিকেটারদের লুকায়িত প্রতিভা প্রকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রমাণের জন্য সময় দেয়ার পক্ষে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ টেস্ট দলে গত এক মাসে পাঁচ ক্রিকেটারের অভিষেক দিয়েছে নির্বাচকরা, অপেক্ষায় আছে আরও একজন। কিন্তু একটি কিংবা দুইটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন এই ক্রিকেটাররা। যার ফলে অনুপ্রেরণার বদলে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থই বেশী হয়েছেন তাঁরা।

যা বাকিদের বার্তা দিচ্ছে ভেঙ্গে পড়ার। নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন টাইগার অধিনায়ক। তাঁর মতে, অভিষেক করানো ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া উচিত নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করে দেখানোর জন্য। যা এক কিংবা দুই টেস্ট দিয়ে সম্ভব নয়।
'আমি সবসময় পছন্দ করি একজন ক্রিকেটারের যখন অভিষেক হয় কিংবা তাঁকে যখন খেলানো হয়, তাঁকে যেন যথেষ্ট সুযোগ দেয়া হয়, তাঁর সুপ্ত প্রতিভা এবং সামর্থ্য প্রমাণ করার। যদি তারপরও সে ব্যর্থ হয় তারপরেই তাঁকে পরিবর্তন করা উচিত,' অভিষেক হওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে নিজের ভাবনার কথা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন সাকিব।
'ঘন ঘন পরিবর্তনের পক্ষে আমিও না। আমিও মনে করি না এটা কোন ভালো বার্তা দেয়। দিন শেষে আমরা সবসময় চাই ম্যাচ গুলো জিততে। ম্যাচ জেতার জন্যই অনেক সময় অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়,' যোগ করেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে অভিষেক হয়েছিল বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু এবং অলরাউন্ডার আরিফুল হকের। এরপরেই ঢাকা টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়েন দুইজন। অভিষেক করানো হয় নতুন দুই ক্রিকেটারকে। মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন এবং পেসার খালেদ আহমেদকে।
পরবর্তী সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে মিঠুন দলে থাকলেও বাদ পড়েন খালেদ। অভিষেক করানো হয় তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসানের। এবার অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম অনিকের।