প্রথমবারের ভয়ে জিম্বাবুয়ে

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
দীর্ঘ ১৭ বছর ঘরের বাইরে কোন টেস্ট সিরিজ জেতার সুযোগ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। যদিও ২০০১ সালের সেই সিরিজটি বাংলাদেশের বিপক্ষেই জিতেছিল দলটি। কিন্তু তখন বাংলাদেশ ছিল টেস্ট ক্রিকেটে সদ্য জন্ম নেয়া শিশু। এরপর সেই শিশু বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০৫ সালেও ঘরের বাইরে সিরিজ জিততে পারেনি তাঁরা।
তাই পরিস্থিতিটা একেবারেই নতুন জিম্বাবুয়ে দলের জন্য। দলের প্রধান কোচ লালচাঁদ রাজপুত তো মনে করছেন এমন বাংলাদেশ এবং এমন মুহূর্ত প্রথমবারের মতো সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। তাই স্বভাবতই সিরিজ জয়ের বাড়তি চাপ এবং হারিয়ে ফেলার ভীতি কাজ করছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটারদের মাঝে।
এই কঠিন সময়কে ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবেলা করতে পারলেই সফল হবেন তাঁরা, ভাল করেই জানেন কোচ। বলের মেধা বুঝে প্রতিপক্ষের বোলারদের সম্মান দিয়ে খেলতে পারলেই ঢাকা টেস্টের শেষ দিন পার করে দিতে পারবে জিম্বাবুয়ে। তাই নিজেদের সামর্থ্যের প্রতি ক্রিকেটারদের বিশ্বাস রাখতে বলেছেন কোচ।

'এটাই মূল বিষয়। আমি জানি জিম্বাবুয়ে আগে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। এটাই প্রথমবার আমরা কোন সিরিজ জেতার সামনে আছি। প্রধান জিনিস হল ক্রিকেট বাহু থেকে নয় ইঞ্চি উপরের খেলা (মানসিকতা)। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাঁদের শান্ত থাকতে হবে। এমন কঠিন এবং সংকটপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে তাঁদেরকে যেতে হবে।
'এখন সময়টাই এমন যে বোলাররা প্রভাব খাটাবে এবং আপনাকে তা সম্মান করতেই হবে। সেই কঠিন পরিস্থিতিকে পিষে দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দিন শেষে দেখবেন, আপনি খেলার লাগাম ধরে আছেন। শট নির্বাচন করার সময় এবং প্রতিরোধ করার সময় আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। বিষয়টি স???জভাবে নিতে হবে, আর যখন আপনি তা পারবেন তখনই সফল হবেন,' চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন লালচাঁদ রাজপুত।
বাংলাদেশের দেয়া ৪৪৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে ইতিমধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে সফরকারীরা। আবার দলের এক ক্রিকেটারের ইনজুরিতে, তাই জিম্বাবুয়ের হাতে আছেন আর সাত উইকেট। টেস্টের শেষ দিন সময়টা খারাপ হলেও দলের ক্রিকেটারদের ইতিবাচক থাকতেই পরামর্শ দিচ্ছেন প্রধান কোচ।
সিরিজ জয় নয়, এই ম্যাচটাকে শুধুমাত্র আরেকটি টেস্ট ম্যাচ হিসেবে ভাবতে দলের সবাইকে আহ্বান করছেন রাজপুত। আর দিনটিকে ছোট ছোট সেশনে নিজেদের মতো চিন্তা করে খেললেই ভাল ফলাফল পাওয়া সম্ভব মনে করছেন তিনি।
'আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং তাঁদেরকে বুঝাতে হবে এটা শুধু মাত্র একটি খেলা। এই চিন্তা মাথায় আনা যাবে না যে আমরা ম্যাচটি ড্র করলেই সিরিজটি জিতে যাব, কারণ এটা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে ক্রিকেটারদের মাঝে। এটা শুধুমাত্র আরেকটি খেলা, আপনাকে দিনটি খেলে যেতে হবে নিজের সক্ষমতা দেখিয়ে। ছোট একটি সেশন এক ঘণ্টার এবং এরপরই লাঞ্চ। এরপর আরেকটি ঘণ্টা খেলে যেতে পারলেই সব কিছু আমাদের জন্য ভাল হবে।'