|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসঃ ১৩১/৫, ৫৪.৫ ওভার

 টেইলর ৩৮*, মুর ০* ; তাইজুল ৪/৫১

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসঃ ৫২২/৭ ডিক্লে (১৬০ ওভার)

(মুশফিকুর রহিম ২১৯*, মমিনুল হক ১৬১, মেহেদি হাসান মিরাজ ৬৮*) (কাইল জার্ভিস ৫/৭১)

মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান সংগ্রহ করেছিল মাসাকাদজার দল।

শূন্য রানে রাজাকে ফেরালেন তাইজুলঃ

অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজাকেও বোল্ড করে ফেরালেন তাইজুল। শূন্য রানে দলকে খাঁদে ফেলে সাজঘরে ফিরলেন রাজা।

উইলিয়ামসের বিদায়ের পর দায়িত্ব ছিল ডানহাতি ব্যাটসম্যান রাজার হাতে। তাইজুলের অসাধারণ ঘূর্ণিতে ১২ বল খেলে কোন রান না করেই ফিরে যেতে হয়েছে তাঁকে। উইলিয়ামসের মতো বোকা হয়েছেন রাজাও। প্রায় একই ধরণের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনিও।

তবে এবার পার্শ্ব পরিবর্তন করে বোলিং করেছিলেন তাইজুল। বাঁ পাশ থেকে স্ট্যাম্পের বেশ দূর থেকে ডানহাতি ব্যাটসম্যান রাজাকে বল করে বাঁহাতি তাইজুল। লেগ-মিডল স্টাম্পে পিচ করা বল বুঝতে পারেননি রাজা। সিরিজে তৃতীয়বারের মতো বোল্ড হয়ে যান তিনি।

১৩১ রানে জিম্বাবুয়ে পাঁচ উইকেট হারিয়ে রয়েছে চাপে। টেইলরকে সঙ্গ দিতে মাঠে রয়েছেন পিটার মুর।

বোল্ড হলেন শন উইলিয়ামসঃ

জিম্বাবুয়ের মিডেল অর্ডারের ভরসা শন উইলিয়ামসকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। লাঞ্চের পর এসেই আঘাত হানেন তাইজুল এবং তুলে নেন ব্যক্তিগত তৃতীয় উইকেট।

৫০.৫ ওভারের পঞ্চম বলে টার্নের অপেক্ষায় ছিলেন উইলিয়ামস। কিন্তু তাঁকে বোকা বানালেন তাইজুল। অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বলের লাইনে যেতে পারেননি উইলিয়ামস। টার্ন না করে সরাসরি অফ স্ট্যাম্পে আঘাত করে বলটি। ২৮ বলে ১ চারে ১১ রান নিয়ে ফেরেন প্রথম টেস্টের সেরা ক্রিকেটার উইলিয়ামস।

জিম্বাবুয়ে ১২৯ রানে হারায় তাঁদের চতুর্থ উইকেট। বর্তমানে টেইলরের সঙ্গে উইকেটে রয়েছেন সিকান্দার রাজা।

রিভিউতে বিধ্বংসী চারিকে ফেরাল বাংলাদেশঃ

মারকুটে মেজাজে খেলতে থাকা ব্রায়ান চারিকে রিভিউ নিয়ে ফেরাল বাংলাদেশ। মিরাজের অফ স্পিনে অর্ধশতক হাঁকানো চারি।

মিরাজের হঠাৎ লাফ দিয়ে দিয়ে উঠা অফ স্পিনে গ্লাভসে হালকা ছুঁয়ে ফরোয়ার্ড লেগ শর্টে থাকা মমিনুলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। প্রথমে ক্যাচের জোরাল আবেদন করে টাইগাররা। কিন্তু সাড়া দেননি আম্পায়ার।

রিভিউ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। বলটী প্রথমে প্যাডে লেগেছিল এরপর আল্ট্রাএজে দেখা যায় হালকা ছুঁয়ে গিয়েছিল চারির গ্লাভস। সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। ১২৮ বলে ৬ চার এবং দুই ছয়ে ৫৩ রান করে করে ফেরেন চারি।

জিম্বাবুয়ে ৯৬ রানে হারায় তাঁদের তৃতীয় উইকেট। টেইলরের সাথে এখন উইকেটে রয়েছেন শন উইলিয়ামস।

চারির অর্ধশতকঃ

দিনের প্রথম এক ঘণ্টায় কিছুটা ধীরে শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে রানের গতি বাড়ায় তাঁরা। যেখানে মূল অবদান ওপেনার ব্রায়ান চারির।

প্রথম ৯৩ বলে ২০ রান করেন চারি। কিন্তু পরের ১৮ বল মোকাবেলায় তুলে নিয়েছিলেন ৩১ রান। দুই উইকেট নেয়া তাইজুলের এক ওভারে তিন চার হাঁকান এই ডানহাতি ওপেনার।

সেই ওভারে তুলে নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিতে। ১১১ বল খেলে করেছিলেন এই অর্ধশতক।

তাইজুলের আঘাতঃ

তৃতীয় দিনের ১২তম ওভারে ডোনাল্ড তিরিপানোকে আউট করে দিনের শুভ সূচনা করেন তাইজুল ইসলাম। নাইটওয়াচম্যান টিরিপানো দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলা কাটিয়ে দেওয়ার তৃতীয় দিনেও খেলছিলেন দারুণ সতর্কতায়

বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের দারুণ স্পিনে পরাস্ত হন তিরিপানো। পা এগিয়ে করেছিলেন ব্লক। কিন্তু বলের ঘূর্ণিতে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে থাকা মেহেদি মিরাজের কাছে। ভুল করেননি মিরাজ, লুফে নিয়েছেন ক্যাচটি। তাইজুল তুলে নিলেন এই টেস্টে তাঁর দ্বিতীয় উইকেট।

তিরিপানো ফিরে গেলেন ৪৬ বলে ৮ রান করে, জিম্বাবুয়ে হারাল ৪০ রানে তাঁদের দ্বিতীয় উইকেট। উইকেটে চারির সাথে রয়েছেন ব্রেন্ডন টেইলর।

বাংলাদেশ একাদশঃ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, খালেদ আহমেদ।

জিম্বাবুয়ে একাদশঃ 

হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), ব্রায়ান চেরি, ব্র্যান্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, রেগিস চাকাভা, ডোনাল্ড তিরিপানো, কাইল জার্ভিস, ব্র্যান্ডন মাভুটা, টেন্ডাই চাতারা।