ফাইনালেও দুঃস্বপ্ন তাড়া করছিল ভারতকে

ছবি: হার্শ ত্যাগি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
লঙ্কানদের লক্ষ্য ছিল ৩০৫ রান। ভারতীয় যুব দলের বোলিং আক্রমণের সামনে এটা বড় লক্ষ্য। তবে, লক্ষ্য তাড়া করে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। মাত্র ১৬০ রানে গুটিয়ে গিয়ে ১৪৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে।
আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ গড়া নিয়ে শুরু থেকেই দোটানায় ছিল ভারত। কারণ একই উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ১৭৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ভারতীয়রা। সেই দুঃস্বপ্ন তাড়া করছিল ফাইনালেও। তবে এই ম্যাচে বড় সংগ্রহ গড়ার পর আত্মবিশ্বাস ছিল লঙ্কানদের ২৫০ এর মধ্যে আটকে দেয়ার।
সেই আত্মবিশ্বাসের জোড়েই যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। ক্রিকফ্রেঞ্জির সাথে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় দলের পেসার হার্শ ত্যাগি। এই ম্যাচে বল হাতে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট।

"হ্যাঁ, আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এর আগের ম্যাচে আমরা এই উইকেটেই ১৭২ রান করেছিলাম। আমরা দোটানায় ছিলাম, আমরা এই উইকেটেই আবার ২৫০ থেকে ৩০০ করতে পারব কিনা। যখন ব্যাটসম্যানরা ৩০০ রানের মত করল, তখন আমাদের বিশ্বাস ছিল শ্রীলঙ্কাকে ২৫০ এর মধ্যে বেঁধে ফেলার।"
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭৩ রান করেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে.২ রানে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। সেমিফাইনালের পর ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিং এই টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ শিরোপা এনে দিয়েছে ভারতকে। শিরোপা জিতে দারুণ আনন্দিত জয়ের নায়ক ত্যাগি।
"সবসময়ই ভাল অনুভূতি, শিরোপা জয় করা। আসরটি দারুন ছিল। আমরা উপভোগ করেছি এখানকার অভিজ্ঞতা। এখন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছি না।"
শিরোপা জেতার পর এখানেই থামতে চাইছেন না এই ভারতীয় পেসার। জানিয়েছেন যেখানেই খেলবেন সেখানেই নিজেদের সেরাটা দিতে চাইবেন তারা। সব জায়গায় পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।
"আমার ভাবনা সবসময়ই ইতিবাচক। আমি যখনই খেলি, যেখানেই খেলি না কেন, আমি সবসময়ই ভাল পারফর্ম করতে চাই। সেটা আমার রাজ্য দল বা আমার দেশের জন্য হোক, আমি সবসময় শতভাগ দিতে চাইব।"