ক্রিকেটের নিয়মনীতিতে পরিবর্তন আনল আইসিসি

ছবি: আইসিসি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি ডাকওর্থ লুইস স্টার্ন (ডি এল এস) পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। আজ একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা। রবিবার অর্থাৎ ৩০শে সেপ্টেম্বর কিম্বার্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে থেকেই ডিএলএসের পরিবর্তিত এ সংস্করণের প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
এর আগে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডিএলএল সিস্টেমে পরিবর্তন এনেছিল আইসিসি। এবার তৃতীয়বারের মত সিস্টেমটিতে পরিবর্তন আনল তারা। গত চার বছর ধরে যে কয়টি সীমিত ওভারের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সবগুলোর বিস্তারিত বিশ্লেষণ এই নিয়মের আওতাভুক্ত থাকছে। পাশাপাশি রানের ধরণ থেকে শুরু করে পাওয়ার প্লে সম্পর্কিত তথ্যও বিবেচনায় আনা হয়েছে।
তার মানে বর্তমান এই বিশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি সাজান হয়েছে ৭০০টি ওয়ানডে এবং ৪২৮টি টি টুয়েন্টি ম্যাচের ওপর ভিত্তি করে। যার মধ্যে রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ডেলিভারি। সাম্প্রতিক এই বিশ্লেষণ থেকে পরিলক্ষিত হয় যে বর্তমানে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে অনেক দলই তাদের রানের চাকা সচল রাখতে পারে এবং ওয়ানডেতে গড় রানও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর মানে লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে দলগুলো আগের থেকে কিছুটা বেশি রান তাড়া করতে সক্ষম হবে এমনটা ধরে নিয়ে রান ঠিক করা হবে। ওয়ানডে (শেষ ২০ ওভার) এবং টি টুয়েন্টি স্কোরের প্যাটার্নও এক্ষেত্রে বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে।
এদিকে ডি এল এস সিস্টেমটি ছাড়াও আইসিসি পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেটারদের কোড অফ কন্ড্যাক্টেও। এই শাস্তির বিধান চালু হবে জিম্বাবুয়ে বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচটি থেকেই। কোড অফ কন্ড্যাক্টে নতুন শাস্তি হিসেবে তারা যোগ করেছে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত কিংবা হয়রানি, অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ এবং আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে অসম্মান জানানোকে।
কোড অফ কন্ড্যাক্টে আসা পরিবর্তন সমুহ---

অপরাধ |
লেভেল |
অন্যায়ভাবে সুবিধা গ্রহণ করার চেষ্টা (প্রতারণা, বল টেম্পারিং) |
২,৩ |
ব্যক্তিগতভাবে আঘাত কিংবা হয়রানি (নতুন) |
২, ৩ |
অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ (নতুন) |
১ |
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে অসম্মান জানানো (নতুন) |
১ |
বলের অবস্থা পরিবর্তন করা |
৩ (২ থেকে) |
সুত্র- আইসিসি