ভাবার সময় পেলাম কই?

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আধুনিক ক্রিকেটের এই যুগে যেখানে প্রতিপক্ষকে নিয়ে কাঁটা ছেঁড়ার অন্ত নেই, সেখানে সেই সুযোগ ছিল না বাংলাদেশ দলের। চারদিনে টানা তিন ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে বিশ্রামের সময় নেই, সেখানে আলাদা করে কাউকে নিয়ে পরিকল্পনার প্রশ্নই উঠে না।
বাংলাদেশ দলের পঞ্চপাণ্ডবের একজন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও বলেছেন, আফগান স্পিনার রাশিদ খানকে নিয়ে না ভেবেই তাঁর মোকাবিলা করতে নেমেছিলেন তিনি। একপ্রকার শুন্য মাথায়ই রবিবার সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে ব্যাট হাতে আফগান ভয়ঙ্কর স্পিনারকে রাশিদকে খেলেছিলেন টাইগার এই ব্যাটসম্যান।
'ওকে নিয়ে সেভাবে ভাবার মতো সময় ছিল না। আমরা চারদিনে তিনটি ম্যাচ খেলেছি। আমি তাঁকে খেলছি একেবারে খালি মাথায়।'

টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ১৮ রানে বাংলাদেশের নেই দুই উইকেট, ভালই খেলছিলেন লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম। ৬৩ রানের জুটি ভাংতে এলেন লেগ স্পিনার রাশিদ। লিটনকে সাজঘরে ফিরিয়ে সফলও তিনি। এরপর রানআউটে ফিরলেন দুই অভিজ্ঞ মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান ??াকিব এবং মুশফিক।
৮৭ রানে পাঁচ উইকেট যাওয়ার পর মাঠে নামলেন রিয়াদ। যে দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমেছেন পালন করছেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। ১২৮ রানের জুটি গড়েছেন ইমরুল কায়েসের সাথে। দু'জনে মিলে পণ করেছিলেন রাশিদকে আর উইকেট দিবেন না। সেই অনুযায়ী দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মাহমুদুল্লাহ বলেছেন, রাশিদ অসাধারণ বোলার হলেও তাঁর বিপক্ষে রান করা যাবে না এমন নয়।
আসরে গ্রুপ পর্বের দেখায় এই লেগ স্পিনারকেই উইকেট দিয়ে এসেছিলেন রিয়াদ। তবে এবার শেষ পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিলেন এবং সফলও হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
'রাশিদ খান অসাধারণ বোলার কিন্তু তাঁর বিপক্ষে রান করতে পারব না এমন নয়। আমার মনে হয় আগের ম্যাচে ওর বিপক্ষে নিজেকে ভালভাবে ব্যবহার করতে পারিনি। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই জুটিতে ওকে কোন উইকেট দিব না। আমরা গভীরে যেতে চেয়েছি এবং শেষ দেখতে চেয়েছি। আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি।'
যেখানে রাশিদকে খেলতে সবাই ভাবতেছে এতবার, সেখানে কিনা খালি মাথায় নেমেছেন রিয়াদ। নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যও প্রমাণ করেছেন তিনি। ৮৯ বলে ৭৪ রান করে তুলে নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারের ২০তম অর্ধশতক।