বোলারদের লড়াইয়ে শেষ হাসি শ্রীলংকার

ছবি: ছবিঃ- এএফপি

টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরে প্রথম তিন ওয়ানডে একটানা জিতেও সিরিজ ২-৩ ব্যবধানে জিতেছে তারা। আর নিজেদের শেষ দুই ওয়ানডে জিতে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলো স্বাগতিক শ্রীলংকা।
এবার সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছে তারা। সিরিজের একমাত্র টি-টুয়েন্টি ম্যাচটিতে শ্রীলংকার জয় তিন উইকেটের ব্যবধানে। কলম্বোতে এদিনে শ্রীলংকার বোলিং তোপের মুখে পড়ে আফ্রিকা।
মাত্র ১৬.৪ ওভারেই ৯৮ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। তিন স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, আকিলা ধনঞ্জয়া এবং লক্ষণ সান্দাকানের স্পিনের সামনেই নতজানু হয় তারা।
দুই ধনঞ্জয়া নেন দুইটি করে উইকেট। এছাড়া সান্দাকান নিয়েছেন তিনটি উইকেট। এদিনে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ ২০ রান করেন কুইন্টন ডি কক।

এছাড়া রিজা হ্যান্ডরিক্স ১৯ ও হেনরিক ক্ল্যাসেন ১৮ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ক্যাগিসো রাবাদার তোপের মুখে পড়ে দুই লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরা এবং কুশল মেন্ডিস।
দলীয় ছয় রানের মধ্যেই ফিরে যান দুজন। তারপরে দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ধনঞ্জয়া। ব্যক্তিগত ৩১ রানে জুনিয়র ডালার বলে ফিরে যান তিনি।
এরপরে লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস শুন্য রানে ফিরে গেলে দলীয় ৬৩ রানেই চার উইকেটের পতন হয় শ্রীলংকার। কিছুটা নাটকীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয় তখন।
এরপরে দাসুন শানাকাকে ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফেরান ডালা; এছাড়া ম্যাথিউসের মতো থিসারা পেরেরাকেও শুন্য রানে বিদায় করেন তাবরাইজ শামসি। নিজের প্রথম বলেই আকিলা ধনঞ্জয়াকে ফিরিয়েছেন অধিনায়ক জেপি ডুমিনি।
৮৮ রানে সাত উইকেট নেই তখন শ্রীলংকার। ম্যাচ জিততে তখনো শ্রীলংকার দরকার ১১ রান, হাতে ৩৫ টি বল। তবে অপরপ্রান্তে তখনো ছিলেন চান্দিমাল। দলকে চার ওভার হাতে রেখেই জয় এনে দেন তিনি।
৩৩ বলে তিনটি চার ও একটি ছয়ে ৩৬* রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রাবাদা, ডালা ও শামসি।