promotional_ad

অফেন্স ইজ দা বেস্ট ডিফেন্স- মাশরাফি

promotional_ad

ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে সমস্যা হলো এই সিরিজে মাঠে নামার আগে তাঁর প্রস্তুতিটি খুব বেশি ভালো হয়নি। বলা যায় আপ টু দ্যা মার্ক প্রস্তুতি ছাড়াই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে তাঁকে।


দেশের প্রথম সারির অননাইল সংবাদ মাধ্যম বিডি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নড়াইল এক্সপ্রেস নিজেই জানিয়েছেন এই কথা। গত এপ্রিলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলার পর বিসিএলের কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিলেন মাশরাফি। এরপর রোজার মাসে জিম করলেও সেভাবে পুরোপুরি বোলিং নিয়ে কাজ করা হয়নি। আর সেই কারণে অতৃপ্তি থেকেই যাচ্ছে তাঁর। যদিও ১৯ তারিখ প্রস্তুতি ম্যাচ থাকায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে টাইগার অধিনায়ক বলছিলেন,


'প্রস্তুতি আদর্শ হয়নি। এপ্রিলে ঢাকা লিগ হয়েছে, ওই মাসেই বিসিএলের একটি ম্যাচ খেলেছি। তার পর বোলিং নেই। রোজার মাসে তো শুধু জিম করেছি। কদিন আগে বোলিং প্র্যাকটিস শুরু করেছিলাম মাত্র, তার পর তো পারলাম না। অন্তত যাওয়ার আগে কয়েকদিন প্র্যাকটিস করতে পারলে ভালো হতো। তবে মাঠে নেমে পারিবারিক সমস্যা বা কোনো কিছুকে অজুহাত দেখানোর সুযোগ নেই। সাফল্য যেমন আমার, ব্যর্থ হলে দায়ও আমার। প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলতে পারব ১৯ তারিখ, এটা একটা স্বস্তির ব্যাপার। তার পর দেখা যাক, কতটা প্রস্তুত হতে পারি।'


বাংলাদেশ তাদের সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলো গত জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দীর্ঘ ছয় মাস পর আবারো এই ফরম্যাটে খেলতে যাওয়াটা কিছুটা চ্যালেঞ্জের বলে মনে করছেন মাশরাফি। এই কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে সকলের সাথে বসে পরিকল্পনা সাজানোর পক্ষে দলপতি। প্রয়োজনে আলাদা করে কথা বলবেন বলেও উল্লেখ করেছেন মাশরাফি। তাঁর মতে ক্রিকেটারদের মানসিকতায় কিছুটা পরিবর্তন বদল দরকার উল্লেখ করে দলপতি বলেন,


'সবাইকে নিয়ে বসতে হবে। অনেক দিন পর আমি একটি সিরিজে যাচ্ছি। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছি আমরা জানুয়ারিতে। ৬ মাস হয়ে গেছে। এরপর ট্রেনিং-ক্যাম্প হলেও সিরিজ তো ভিন্ন ব্যাপার। তো সবাইকে নিয়ে বসব, কথা বলব। কারও সঙ্গে যদি আলাদা করে কথা বলা প্রয়োজন হয়, সেটিও করতে হবে। দেখুন, এই পর্যায়ে অনুশীলন কেউ কম করে না। মানে কম-বেশি একটা ন্যূনতম পর্যায়ে থাকেই। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, মানসিকতায় একটু বদল দরকার।'



promotional_ad

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবল ধোলাই হওয়ার পর বর্তমানে বেশ নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে এই পরিস্থিতি থেকে উঠে আসতে হলে, সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে বলে বিশ্বাস করেন মাশরাফির। তাঁর মতে কঠিন সময়ের সাথে লড়াই করতে পারলে তবেই সাফল্য ধরা দিবে টাইগারদের। ম্যাশের ভাষ্যমতে,


'কঠিন সময় আসবেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কঠিন সময় অনবরতই আসবে। আমাদেরও যে আগে কঠিন সময় আসেনি, তা নয়। তবে সেই কঠিন সময়টার মোকবেলা কিভাবে করছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ভয় নিয়ে আমি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছি, নাকি সাহস নিয়ে। আমার কাছে মনে হচ্ছে না, এখন আমরা সাহস নিয়ে মোকাবেলা করছি। আমি চেষ্টা করব যেন দল সাহস নিয়ে এই সময়টার সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ব্যর্থতা আসতেই পারে। তিনটি ওয়ানডেই হারতে পারি। ক্রিকেটে হার-জিত আসবেই। কিন্তু আমার কথা হলো, অফেন্স ইজ দা বেস্ট ডিফেন্স। অফেন্স দিয়েই ডিফেন্সকে শক্ত করতে চাই।'


অবশ্য টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির পর থেকে নয় বরং জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের পর থেকেই দল নিয়ে ভাবছেন মাশরাফি বলে জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে নিদাহাসের ফাইনালের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য,


'শুধু এই টেস্ট সিরিজ নয়। সত্যি করে বললে, জানুয়রিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের পর থেকেই এটা ভাবছি। ওই টুর্নামেন্টের ফাইনাল থেকেই আমি ভয়টা দেখতে পাচ্ছি। সাকিব ইনজুরির জন্য ফাইনালে ব্যাট করতে পারল না। আমার মনে হয়, এটা অনেকের মনে প্রভাব ফেলেছিল। ভড়কে গিয়েছিল। ফাইনালে ওই উইকেটে ২২০ রান করতে আমাদের সাকিবকে কেন লাগবে? ওখান থেকেই দেখছি।'


আফগানিস্তান সিরিজে রশিদ খান 'জুজু' নিয়েও কথা বলেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। রশিদ খান ভীতিই বাংলাদেশকে সিরিজ জিততে দেয়নি বলে বিশ্বাস করেন তিনি। মূলত এসব ব্যাপার নিয়েই অনেক কিছু করণীয় ক্রিকেটারদের। আর সেই দায়িত্বটি নিতে মুখিয়ে আছেন মাশরাফি,



'এরপর আফগানিস্তানকে সিরিজে রশিদ খানকে নিয়ে ভয়। রশিদ বোলিংয়ে এলেই কেন আউট হব? উইকেট আদায় করে নিক সে! তো এসব নিয়েই কথা বলা দরকার যে ভয় আসলে কতটা। সবাইকে সৎ হতে হবে, আয়নার সামনে দাঁড়াতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে।'


মানসিকভাবে কিংবা টেকনিক্যাল দিক থেকে অনেকেই বাজে সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশ দলে। তবে এই বিষয়গুলো কাটিয়ে উঠতে হলে নিজেকেই সমস্যা বুঝে কাজ করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন মাশরাফি। তাঁর বক্তব্য,


'হতে পারে, কেউ খুব বাজে সময়ে যাচ্ছে। স্কিল বলেন বা মানসিকভাবে হয়ত খুব বাজে অবস্থায় আছে। কিন্তু সেটা ধরে বসে থাকলে চলবে না। প্রকাশ করতে হবে, মোকাবেলা করতে হবে। আমি কিংবা অন্য কেউ না কেউ তো তাকে সাহায্য করতে পারে। সেই উপলব্ধিটা করানো প্রয়োজন।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball