টাইগারদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ভেন্যুর আদ্যোপান্ত

ছবি:

পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। আসন্ন এই সিরিজে পাঁচটি ভেন্যুতে খেলবে টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, স্যাবাইনা পার্ক, প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম ও ওয়ার্নার্স পার্ক স্টেডিয়ামে মাঠে নামবেন সাকিব তামিমরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের অংশ হিসেবে টি২০ সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ ফ্লোরিডার লডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রোয়ার্ড রিজিওনাল পার্কে খেলবে বাংলাদেশ। যদিও প্রথম ম্যাচটি গড়াবে সেন্ট কিটসে। এক নজরে দেখে আসা যাক স্টেডিয়ামগুলোর আদ্যোপান্তঃ
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম
নর্থ সাউন্ড, অ্যান্টিগা
দর্শক ধারণ ক্ষমতাঃ ১০ হাজার
এই মাঠেই বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই মাঠটিকে ব্যাটিং স্বর্গ বলা যেতে পারে। এই মাঠেই ২০১৬ সালে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৬৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল ভারত। এর আগে ২০১২ সালে ক্যারিবিয়ানরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫২২ রান সংগ্রহ করেছিল। ফলে বলাই যায় এই মাঠে টাইগার ব্যাটসম্যানদের বড় রান করার দারুণ সুযোগ রয়েছে।
সাব্যাইনা পার্ক
কিংস্টন, জ্যামাইকা

দর্শক ধারণ ক্ষমতাঃ ২০ হাজার
এই মাঠেই বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবথেকে পুরাতন মাঠগুলোর একটি। এখানে ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড ৮৪৯ রান সংগ্রহ করেছিল। সাম্প্রতিক রেকর্ড ঘাটলে দেখা যায় এই মাঠেই গত বছর রান বন্যায় ভেসেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সংগ্রহ করেছিল ৪০৭ রান। এই মাঠেও ব্যাটসম্যানরা বড় রান সংগ্রহের সুযোগ পাবেন।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম
প্রভিডেন্স, গায়ানা
দর্শক ধারণ ক্ষমতাঃ ১৫ হাজার
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচটি এখানেই অনুষ্ঠিত হবে। এই মাঠে কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ৩০৯। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই মাঠে একটি লজ্জার রেকর্ডেও নাম আছে ক্যারিবিয়ানদের। তারা ২০১৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এখানে মাত্র ৯৮ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। এই মাঠে ২৫০-২৬০ জয় পাওয়ার মতো সংগ্রহ। তবে নিরাপদ নয়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে। বড় সংগ্রহ গড়তে এখানে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে টাইগার ব্যাটসম্যানদের।
ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়াম
সেন্ট কিটস
দর্শক ধারণ ক্ষমতাঃ ৮ হাজার
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়ামে। এই মাঠে বড় স্কোর গড়া সম্ভব। এই মাঠে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার দখলে। তারা ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৭৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল। তাছাড়া এই মঠে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল দলটি। এখানে ২৬০-২৭০ রান লড়াই করার মতো পুঁজি। তবে নিরাপদ নয়। যে কোনো দলই এখানে পরে ব্যাট করতে চাইবে।
এই মাঠেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। টি২০ ক্রিকেটে এই মাঠে সর্বোচ্চ বড় সংগ্রহের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১৭ সালে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করেছিল তারা। একই বছর এই মাঠে মাত্র ৯৩ রানে অল আউটের লজ্জায় পড়েছিল আফগানিস্তান। ফলে বলাই যায় এখানে প্রভাব বিস্তার করবে বোলাররা।
সেন্ট্রাল ব্রোয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়াম
ফ্লোরিডা
দর্শক ধারণ ক্ষমতাঃ ২০ হাজার
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ৩ ম্যাচ টি২০ সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ফ্লোরিডার এই মাঠে। এখানে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশ দলের। তবে এখানে এর আগেও দুইবার খেলেছে ক্যারিবিয়ানরা। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ও ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে এখানে খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।