সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাদ পড়লেন কামিন্স, রাজশাহীর একাদশে ২ বিদেশি
জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না হারিস
সাব্বিরের ব্যাটে পাওয়ার প্লে'তে রাজশাহীর উড়ন্ত সূচনা
খুশদিলের দুই বলে ফিরলেন সাব্বির-বার্ল
সাইফউদ্দিনকে ছক্কা মেরে রাব্বির হাফ সেঞ্চুরি
রাব্বি-বিজয়ের বিদায়ে বিপদে রাজশাহী
ইয়াসিরের হাফ সেঞ্চুরিতে রাজশাহীর পুঁজি ১৭০
সুযোগ পেয়েই ইরফানের ডাক
আবারও ব্যর্থ টেলর, ইফতিখারের গোল্ডেন ডাক
৫৫ রানে ৪ উইকেট নেই রংপুরের
সাইফকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দিলেন না শফিউল
বার্লের অবিশ্বাস্য ক্যাচে ফিরলেন মেহেদী
সোহানকে ফিরিয়ে জয়ের আরও কাছে রাজশাহী
রাজশাহীর কাছে পা হড়কালো রংপুরের
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দুর্বার রাজশাহী- ১৭০/৯ (২০ ওভার) (হারিস ১৯, সাব্বির ৩৯, বিজয় ৩৪, বার্ল ০, ইয়াসির ৬০; খুশদিল ৩/৩১, আকিফ ৩/২৩)
রংপুর রাইডার্স- ১৪৬/১০ (১৯.২ ওভার) (সাইফ ৪৩, সোহান ৪১, সাইফউদ্দিন ২৩; বার্ল ৪/২২, তাসকিন ২/২০, মেহেরব ২/১৯)
চট্টগ্রামে শেষ দিনের খেলায় টস জিতলেন সোহান
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষদিনের খেলা আজ। দিনের প্রথম খেলায় মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুর্বার রাজশাহী এবং রংপুর রাইডার্স। আসরে দুর্দান্ত ফর্মে আছে রংপুর। আসরে আট ম্যাচের আটটিতেই জিতেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। প্লে-অফে ইতোমধ্যেই পা রেখে দিয়েছে তারা। অপরদিকে রাজশাহীর অবস্থান বিশেষ ভালো নয়। ৯ ম্যাচে মাত্র তিনটিতে জিতেছে তারা। পয়েন্ট টেবিলে আছে ষষ্ঠ অবস্থানে। আজকের ম্যাচ জিতলেই সেরা দুইয়ে নিজেদের জায়গা পাকা করবে রংপুর।
ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে টস। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোহান। ফলে ব্যাটিংয়ে নামতে হচ্ছে তাসকিন আহমেদের রাজশাহীকে। টস জিতলে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন বলে জানিয়েছেন তাসকিনও। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা দলটি এই ম্যাচে ভালো কিছু করবে বলেই অনুমান করা যাচ্ছে।
বাদ পড়লেন কামিন্স, রাজশাহীর একাদশে ২ বিদেশি
আগের ম্যাচে বোলিং করতে এসে দুই ওভারে ৩২ রান দেন মিগুয়েল কামিন্স। এই ম্যাচে আর তাকে খেলাচ্ছে না রাজশাহী। তার বদলে একাদশে জায়গা করে নিলেন শফিউল ইসলাম। জিসান আলম এই ম্যাচে খেলছেন না, তার জায়গায় খেলছেন সাব্বির হোসেন। এ ছাড়া মার্ক দেয়ালকেও বাদ দিয়েছে রাজশাহী, তার জায়গায় খেলছেন এসএম মেহরব। মোট তিনটি পরিবর্তন এনেছে রাজশাহী। দলে মোট দুজন বিদেশি তাদের।
অপরদিকে রংপুর এনেছে দুটি পরিবর্তন। একাদশে ফিরেছেন দলটির নিয়মিত পেসার নাহিদ রানা। গত ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন তিনি। এ ছাড়া রংপুরের হয়ে মৌসুমের প্রথম ম্যাচ খেলবেন ইরফান শুক্কুর।
রংপুর রাইডার্স একাদশ: স্টিভেন টেলর, সাইফ হাসান, নুরুল হাসান (অধিনায়ক), ইরফান শুক্কুর, মেহেদী হাসান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান ও আকিফ জাভেদ।
দুর্বার রাজশাহী একাদশ: এনামুল হক বিজয়, ইয়াসির আলী, মোহাম্মদ হারিস, আকবর আলী (উইকেটরক্ষক), রায়ান বার্ল, এস এম মেহেরব হাসান, সাব্বির হোসেন, সানজামুল ইসলাম, মোহর শেখ, তাসকিন আহমেদ (অধিনায়ক), শফিউল ইসলাম।
জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না হারিস
ব্যাটিং ওভারে নেমে প্রথম ওভারেই জীবন পান মোহাম্মদ হারিস। পাকিস্তানের এই ওপেনার রাকিবুল হাসানের করা দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কাভারে একটি চার মারেন। এর দুই বল পরে মিড অনে সহজ ক্যাচ দেন তিনি। স্টিভেন টেলর ক্যাচটি ধরতে পারেননি, উল্টো বলের গতি বাড়িয়ে দেয়ায় ওভারের দ্বিতীয় চারটি পেয়ে যান হারিস। সেই ওভারে আসে ৯ রান।
দ্বিতীয় ওভারেও দুটি চার হাঁকান রাজশাহীর ওপেনাররা। ডিপ স্কয়ার লেগে চার হাঁকান হারিস, আরেক ওপেনার সাব্বির হোসেন হাঁকান স্কয়ার অব দ্যা উইকেটে। এই ওভারে আসে ১১ রান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে রাকিবুলের বলে প্রায় এলবিডব্লিউ হয়ে যান হারিস, যদিও রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি। বলটি তার গ্রাভসে লাগায় বেঁচে যান তিনি। পরের বলে মিড অনে চার মারেন তিনি। যদিও সেই ওভারের তৃতীয় বলে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হারিস। ফেরার আগে করেন ১২ বলে ১৯ রান।
এই ওভারের শেষ বলে ডিপ মিড উইকেটে ছক্কা হাঁকান সাব্বির। তিন ওভার শেষে এক উইকেটে ৩১ রান তোলে দলটি।
সাব্বিরের ব্যাটে পাওয়ার প্লে'তে রাজশাহীর উড়ন্ত সূচনা
আকিফ জাভেদের করা চতুর্থ ওভারেও সুবিধা করতে পারেনি রংপুর। থার্ড ম্যান অঞ্চল একটি চার অবশ্য হাঁকান এনামুল হক বিজয়। এই ওভারে আসে ছয় রান। পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বোলিংয়ে আসলে তাকে ফ্লিক করে ডিপ স্কয়ার লেগে ছক্কা মেরে স্বাগত জানান সাব্বির। পরের দুই বলে আরও দুটি চার মারেন সাব্বির। একটি লং অফে, অন্নটি ডিপ মিড উইকেটে। ফলে ৪.৩ ওভারের মধ্যেই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় রাজশাহী। পঞ্চম ওভারে সাইফউদ্দিন দেন ১৬ রান।
ষষ্ঠ ওভারে আকিব জাভেদকে ফাইন লেগ অঞ্চলে চার মেরে স্বাগত জানান বিজয়। এই ওভারের শেষ বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে আরেকটি চার হাঁকান সাব্বির। ওভার থেকে আসে ৯ রান। পাওয়ার প্লে'তে ছয় ওভারে এক উইকেটে ৬২ রান তোলে রাজশাহী।
খুশদিলের দুই বলে ফিরলেন সাব্বির-বার্ল
২৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটি প্রায় জমিয়ে দিয়েছিলেন সাব্বির এবং বিজয়। কিন্তু ৭৬ রানে ফিরে যেতে হয় সাব্বিরকে। ফলে ২৮ বলে তাদের ৫২ রানের এই জুটি ভাঙে। হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা সাব্বিরকে ফেরান খুশদিল শাহ। তার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপে সাইফউদ্দিনকে ক্যাচ দেন সাব্বির। ১৯ বলে ৩৯ রান করা সাব্বিরের ক্যাচটি প্রথমে লুফে নিয়ে তা উপরে দিকে ছুঁড়ে মেরে বাউন্ডারিতে গিয়ে আবারও দড়ির ভেতরে প্রবেশ করে লুফে নেন সাইফউদ্দিন।
এরপরেই বলেই রায়ান বার্লকে শূন্য হাতে ফেরান খুশদিল। তার টসড আপ ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে আকিফ জাভেদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বার্ল। ১১.৪ ওভারে দলীয় শতরানে পৌঁছায় রাজশাহী।
সাইফউদ্দিনকে ছক্কা মেরে রাব্বির হাফ সেঞ্চুরি
৭৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর বিজয় এবং রাব্বির ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে রাজশাহী। ৩৫ বলে এই জুটি পঞ্চাশ রান তোলে। ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান রাব্বি। সাইফউদ্দিনের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
রাব্বি-বিজয়ের বিদায়ে বিপদে রাজশাহী
বিজয়- রাব্বির ৭৬ রানের জুটি ভাঙেন খুশদিল শাহ। তার স্টাম্প তাক করা টসড আপ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিস টাইমিং করেন রাব্বি। বল অনেক উপরে চলে যায়, সেটি লুফে নেন নুরুল হাসান সোহান। ৩২ বলে দুটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৬০ রান করে ফিরে যান রাব্বি।
১৭ ওভারে ফিরে যান বিজয়ও। আকিভ জাভেদের সেই ওভারে আকবর আলীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে গেছেন বিজয়। ৩১ বলে ৩৪ রান করেন তিনি।
ইয়াসিরের হাফ সেঞ্চুরিতে রাজশাহীর পুঁজি ১৭০
শেষদিকে ২ রান করা সানজামুল ইসলাম বড় শটের নেশায় উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তাসকিন আহমেদও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। তিনি লং অনে খুশদিল শাহকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মাত্র ৪ রান করে। দুটি উইকেটই পেয়েছেন আকিফ জাভেদ। শেষ ওভারে মেহরব হোসেনকে ফিরিয়েছেন নাহিদ রানা। যদিও শেষ পর্যন্ত ১৭০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় দলটি।
সুযোগ পেয়েই ইরফানের ডাক
বিপিএলের চলমান আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে এবারই প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন ইরফান শুক্কুর। তবে সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তাসকিন আহমেদের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি ইরফান।
আবারও ব্যর্থ টেলর, ইফতিখারের গোল্ডেন ডাক
গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন স্টিভেন টেলর। তবে রংপুর রাইডার্সের হয়ে বিপিএলে খেলতে এসে এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন চিটাগং কিংসের বিপক্ষে।
দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচেও জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। এসএম মেহেরবের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ৪ রান করা টেলর। পরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ইফতিখার আহমেদ। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে রংপুর।
৫৫ রানে ৪ উইকেট নেই রংপুরের
১৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন সাইফ হাসান ও খুশদিল শাহ। তারা দুজনে মিলে রংপুরকে এগিয়েই নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছেন সাব্বির হোসেন। ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৪ রান করা খুশদিল।
সাইফকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দিলেন না শফিউল
রংপুরের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন সাইফ হাসান। আগের ওভারে সাব্বিরের শেষ দুই বলে টানা দুই ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। পরের ওভারে শফিউলের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ইয়াসিরকে ক্যাচ দিয়েছেন সাইফ। দারুণ ব্যাটিং করলেও ৭ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। ৪৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেয়ায় বিপদে রংপুর।
বার্লের অবিশ্বাস্য ক্যাচে ফিরলেন মেহেদী
দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছেন রংপুর রাইডার্সের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। ফলে ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। সেখান থেকে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদী। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি রায়ান বার্ল। ডানহাতি স্পিনারের বলে স্ট্রেট ড্রাইভ করতে গিয়ে বার্লের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মেহেদী। প্রথম চেষ্টায় ধরতে না পারলেও পরের চেষ্টায় অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিয়েছেন বার্ল।
সোহানকে ফিরিয়ে জয়ের আরও কাছে রাজশাহী
রংপুরের টপ অর্ডারকে গুঁড়িয়ে দিয়ে জয়ের পথেই ছিল দুর্বার রাজশাহী। মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সাইফ হাসান। ৪৩ রানের ইনিংস খেলা ব্যাটারকে আউট করে দলকে বিপদ মুক্ত করেন শফিউল ইসলাম। তবে শেষ দিকে রংপুরের জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। ডানহাতি ব্যাটারকে মোহর শেখের হাতে ক্যাচ বানিয়ে রাজশাহীকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে গেছেন বার্ল। রংপুরের অধিনায়ক আউট হয়েছেন ২৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে।
রাজশাহীর কাছে পা হড়কালো রংপুরের
ক্রিকফ্রেঞ্জি
বিপিএলে এখন পর্যন্ত আট ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। টানা আট জয়ে বিপিএলের একমাত্র দল হিসেবে সেরা চারেও জায়গা করে নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহানরা। বিপরীতে নয় ম্যাচের তিনটিতে জিতে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে দুর্বার রাজশাহী। কাগজে-কলমে, পারফরম্যান্সে অনেকটা পিছিয়ে থাকা সেই রাজশাহীর কাছে হেরেই জয়রথ থামল রংপুরের।
তাসকিন আহমেদ ও এসএম মেহেরবের বোলিংয়ে শুরুতেই রংপুরের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেয় রাজশাহী। মাঝে সাইফ হাসান ও শেষের দিকে সোহান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন জ্বলে উঠলেও জয় ছিনিয়ে নিতে দেননি রায়ান বার্ল। জিম্বাবুয়ের স্পিনারের ২২ রানের ৪ উইকেটে জয়টা শেষ পর্যন্ত হয়েছে রাজশাহীরই। রংপুরকে ২৪ রানে হারিয়ে সেরা চারে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখল তাসকিনরা। রাজশাহীর অধিনায়ক হিসেবে এটিই তাসকিনের প্রথম জয়।