সংক্ষিপ্ত স্কোর
টসে জিতলেন লিটন
বাংলাদেশের একাদশে ২ স্পিনার, ৩ পেসার
সহজ ক্যাচ মিস তাসকিনের, জীবন পেলেন ফখর জামান
সাইমকে বিদায় করলেন তাসকিন
দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট নিলেন মেহেদী
৩ উইকেট নেই পাকিস্তানের
পঞ্চাশের আগে ৪ উইকেট নেই পাকিস্তানের
রান আউটে উইকেট হারালো পাকিস্তান
হাফ সেঞ্চুরি হলো না ফখরের
খুশদিলকে থিতু হতে দিলেন না মুস্তাফিজ
পাকিস্তানকে ১১০ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ
মুস্তাফিজের মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড
প্রথম ওভারেই ফিরলেন তানজিদ
তানজিদের পর ফিরলেন লিটনও
দুই উইকেট হারানোর পর চাপ সামাল দিচ্ছেন ইমন-হৃদয়
ইমন-হৃদয় জুটির পঞ্চাশ
হৃদয়ের বিদায়ে ভাঙল রেকর্ড জুটি
ছক্কা মেরে ইমনের হাফ সেঞ্চুরি
৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান— ১১০/১০ (১৯.৩ ওভার) (ফখর ৪৪, আব্বাস ২২, খুশদিল ১৮; তাসকিন ৩/২২, মুস্তাফিজ ২/৬)
বাংলাদেশ— ১১২/৩ ( ১৫.৩ ওভার) (তানজিদ ১, পারভেজ ইমন ৫৬*, হৃদয় ৩৬, জাকের ১৫*; সালমান ২/২৩)
প্রতিশোধের মিশনে নামছে বাংলাদেশ
সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরেছিল। এবার ঘরের মাঠে প্রতিশোধের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে।
ইতিহাস বলছে ২০১৬ সালের পর পাকিস্তানের মূল দলকে টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারেনি তারা। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ উইকেট। সেখানে কোনো দেশই তাদের মূল দল পাঠায়নি। এখন পর্যন্ত ওই জয়সহ ২২ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৩টিতে। আর সর্বশেষ ১৩ ম্যাচের হিসেবে পাকিস্তানের দখলে ১২ ম্যাচ।
টসে জিতলেন লিটন
বাংলাদেশ কদিন আগেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এসেছে। এই সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়েছে। টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। এর মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ৯ ম্যাচ পর টসে জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশের একাদশে ২ স্পিনার, ৩ পেসার
বাংলাদেশ এই ম্যাচে ২ স্পিনার ও ৩ পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে। শেখ মেহেদির সঙ্গে স্পিন আক্রমণে আছেন রিশাদ হোসেন। আর পেস বোলিং আক্রমণে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব।
বাংলাদেশ একাদশ-
লিটন দাস, তানজিদ তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, জাকের আলী, তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারি, শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব।
সহজ ক্যাচ মিস তাসকিনের, জীবন পেলেন ফখর জামান
ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। শেখ মেহেদী হাসানের বলে শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ।
সাইমকে বিদায় করলেন তাসকিন
দ্বিতীয় ওভারে এসে ঠিকই উইকেট তুলে নিয়েছেন তাসকিন। তিনি নিজের ওভারের পঞ্চম বলে আউট করেছেন পাকিস্তানের ওপেনার সাইম আইয়ুবকে। তাসকিনের স্টাম্প টু স্টাম্প বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন সাইম। সেখানে ডাইভ দিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফলে দলীয় ১৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট নিলেন মেহেদী
তাসকিনের ভুলে প্রথম ওভারে উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পেয়েছেন মেহেদী। তিনি আউট করেছেন ৪ রান করা মোহাম্মদ হারিসকে। সেই ওভারে বোলিং করতে এসে পাকিস্তানের ব্যাটারদের তোপের মুখে পড়েন মেহেদী। তার বলে টানা দুই চার হাঁকান ফখর। এরপর সিঙ্গেল নিলে আরেকটি চার মারেন হারিসও। তবে ওভারের শেষ বলে মেহেদীকে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে শামীম পাটোয়ারিকে ক্যাচ দিয়েছেন।
৩ উইকেট নেই পাকিস্তানের
৫ ওভারের মধ্যেই বাংলাদেশ পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নিয়েছে। সালমান আলী আঘাকে আউট করেছেন তানজিম সাকিব। এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্কুপ করতে চেয়েছিলেন সালমান। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। টপ এজ হয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
পঞ্চাশের আগে ৪ উইকেট নেই পাকিস্তানের
উইকেট তুলে নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এই বাঁহাতি পেসারের বলে শূন্য রানে ফিরেছেন হাসান নাওয়াজ।
রান আউটে উইকেট হারালো পাকিস্তান
মেহেদীর বল অন সাইডে ঠেলে দিয়েছিলেন ফখর জামান। পাকিস্তানের এই ব্যাটার রান নেয়ার সিগনাল না দিলেও উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ননস্ট্রাইক ব্যাটার মোহাম্মদ নাওয়াজ। সেই বল কুড়িয়ে মেহেদীর কাছে পাঠিয়ে দেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। সঙ্গে সঙ্গেই স্টাম্প ভেঙে দেন মেহেদী। রান আউট হয়ে ফেরেন ৩ রান করা নাওয়াজ।
হাফ সেঞ্চুরি হলো না ফখরের
৩৪ বলে ৪৪ রান করা ফখর জামান রান আউট হয়ে ফিরেছেন। ফলে হাফ সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হয়েছে পাকিস্তানের এই ব্যাটারকে। ব্যক্তিগত ৪ রানে ও ৩০ রানে দুইবার জীবন পান ফখন। প্রথম ওভারে তাসকিন তার সহজ ক্যাচ ছেড়েছিলেন। এরপর মেহেদী তার ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি। তবে তিনি আর তৃতীয় সুযোগ পাননি। মুস্তাফিজের বল ডিপ থার্ডম্যানে ঠেলে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন খুশদিল। ১ রান সম্পূর্ণ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত বদলে ফখরকে ফিরিয়ে দেন তিনি। পাকিস্তানের এই ওপেনার আর ফিরতে পারেননি।তাসকিনের থ্রুতে স্টাম্প ভেঙেছেন লিটন।
খুশদিলকে থিতু হতে দিলেন না মুস্তাফিজ
অভিজ্ঞ ফখর জামান ফিরলেও পাকিস্তানের রানের চাকা সচল রাখেন আব্বাস আফ্রিদি ও খুশদিল শাহ। দুজনে মিলে চার ছক্কার ফুলঝুরিতে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন। এই দুজনের ব্যাটেই ১৬ ওভারের মধ্যে দলীয় ১০০ রানে পৌঁছায় পাকিস্তান। ১৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১০২ রান। তবে ১৭তম ওভারে মুস্তাফিজ ফিরিয়েছেন ১৭ রান করা
পাকিস্তানকে ১১০ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ
এই ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। বল হাতে নেমে বাংলাদেশের বোলাররা অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছেন শুরু থেকেই। পাওয়ার-প্লেতে পাকিস্তানকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ৪১ রানে তুলে নেয় ৪ উইকেট।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান তারা ১১০ রানে অল আউট হয়ে গেছে। ইনিংসের চতুর্থ বলেই উইকেট নেয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। শেখ মেহেদী বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ফখর জামান। তবে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ।
যদিও দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন। ব্যাক অব লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ দেন ৬ রান করা সাইম আইয়ুব। তৃতীয় ওভারে পাকিস্তানি ব্যাটারদের তোপের মুখে পড়েন শেখ মেহেদী। তিনি হজম করেন ৩টি চার।
ওভারের শেষ বলে ফেরান মোহাম্মদ হারিসকে (৪)। মিডউইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন শামীম পাটোয়ারি। বাংলাদেশের বোলাররা এদিন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়েছেন। তানজিম সাকিব ফেরান ৩ রান করা পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আঘাকে।
মুস্তাফিজ আউট করেন হাসান নাওয়াজকে (০)। অষ্টম ওভারে ৩ রানে রানআউট হয়েছেন দেড় বছর পর দলে সুযোগ পাওয়া নাওয়াজ। দশম ওভারে ফখরকে দ্বিতীয়বার জীবন দেন মেহেদী। তিনি ফলো থ্রুতে ক্যাচ নিতে পারেননি। উল্টো মুখে ব্যথা পান তিনি। ইনিংসের ১৩তম ওভারে এই তাসকিনের থ্রোতে লিটনের স্টাম্পিংয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন ৩৪ বলে ৪৪ রান করা ফখর।
পাকিস্তানি এই ওপেনারের ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার ও ১টি ছক্কায়। এরপর খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে পাকিস্তানের রান ১০০ পার করেন। এই জুটি ভেঙেছেন মুস্তাফিজ। এই পেসারের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে মিড অফে রিশাদ হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ২৩ বলে ১৭ রান করা খুশদিল।
ইনিংসের শেষ ওভারে টানা ৩ বলে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। শেষ ওভারে তাসকিন নিজের প্রথম বলেই ফেরান ফাহিম আশরাফকে। ১০ বলে ৫ রান করা এই ব্যাটার তাসকিনের ফুলার লেন্থ বলে আউট সাইড এজ হয়ে থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। পরের বলে রান আউট হয়েছেন সালমান মির্জা।
তৃতীয় বলে তাসকিন ফিরিয়েছেন আফ্রিদিকে। তাসকিনের বলে টপ এজ হয়ে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে। ফলে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ১১০ রানে। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার তাসকিনই। তিনি ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেছেন। আর ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার মুস্তাফিজের।
মুস্তাফিজের মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড
এই ম্যাচে মুস্তাফিজ ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৬ রান। অন্তত কোনো ম্যাচে ৪ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে এটাই বাংলাদেশের কোনো বোলারের সবচেয়ে ইকোনোমিক্যাল বোলিংয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০২৪ বিশ্বকাপে নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১.৭৫ ইকোনোমিতে ৭ রান দিয়ে মুস্তাফিজ নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। স্পিনার রিশাদ হোসেন—যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭ রানে ১ উইকেট পেয়েছিলেন। সেটা ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগের সিরিজে। তার ইকোনমি ছিল মাত্র ১.৭৫! বিশ্বকাপে নেপালের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তানজিম! ইকোনমি ছিল ১.৭৫!
প্রথম ওভারেই ফিরলেন তানজিদ
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১১১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। পেসার সালমান মির্জার শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড অনে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। দারুণ ছন্দে থাকা তানজিদ আউট হয়েছেন মাত্র ১ রানে।
তানজিদের পর ফিরলেন লিটনও
ইনিংসের প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিম ফেরায় পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে জুটি গড়ার বিকল্প ছিল না লিটন দাসের। তবে তিনে নেমে সেটা করতে পারেননি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। সালমান মির্জার ষষ্ঠ স্টাম্পের দারুণ এক ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে আউট সাইড এজ হয়ে ওয়াইড স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে খুশদিল শাহ দারুণ ক্যাচ নিলে ফিরতে হয় তাকে।
দুই উইকেট হারানোর পর চাপ সামাল দিচ্ছেন ইমন-হৃদয়
দ্রুতই দুই উইকেট হারালেও পরোক্ষণেই পাকিস্তানের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে উঠেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়। তারা দুজনে মিলে সালমান মির্জা ও সাইম আইয়ুবকে চারটি ছক্কা মেরেছেন। তাতেই পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
ইমন-হৃদয় জুটির পঞ্চাশ
পাওয়ার প্লে শেষেও দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকেন ইমন ও হৃদয়। ইনিংসের নবম ওভারে আবরার আহমেদকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ৩৬ বলে জুটির পঞ্চাশ পূরণ করেন হৃদয়। একই ওভারে আউট হতে পারতেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পাকিস্তানের স্পিনারের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি মোহাম্মদ হারিস।
হৃদয়ের বিদায়ে ভাঙল রেকর্ড জুটি
৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হদয়। সাবধানী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাউন্ডারি মেরে দ্রুতই চাপ থেকে বাংলাদেশকে বের করে এনেছেন তারা দুজন। জুটির পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে সঠিক পথেই রেখেছিলেন। তবে আব্বাস আফ্রিদিকে বড় শট খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন হৃদয়।
৩৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। হৃদয়ের বিদায়ে ভেঙে পারভেজ ইমনের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০ রানের কমে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
ছক্কা মেরে ইমনের হাফ সেঞ্চুরি
তানজিদ হাসান তামিম ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। দারুণ ব্যাটিংয়ে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিও। ফাহিম আশরাফের শর্ট ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে ৩৪ বলে পঞ্চাশ তুলে নেন পারভেজ ইমন। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁহাতি ওপেনারের এটি দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
২০১৬ সালে এশিয়া কাপে ৫ উইকেটে জেতার পর দেশে কিংবা দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। অর্থাৎ সবশেষ ৯ বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয় নেই লিটন দাস-মুস্তাফিজুর রহমানদের। সিরিজ শুরুর আগে লিটন জানালেন, অতীত নিয়ে না ভেবে সেরা ক্রিকেট খেলে রেকর্ড বদলাতে চান তারা। পুরনো রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিতে সময় নিলেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ, তাসকিন আহমেদরা মিলে পাকিস্তানকে আটকে দিলেন মাত্র ১১০ রানে। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ৭ রানেই লিটন ও তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটিতে বিপদ সামাল দিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়। জয়টাও এসেছে তাদের জুটিতে ভর করেই। হৃদয় ফিরে গেলেও অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন পারভেজ। ৭ উইকেটের জয়ে ৯ বছরের খরা কাটিয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেলেন লিটনরা।