সংক্ষিপ্ত স্কোর
আবারো টস জিতল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের একাদশে মিরাজ-ইবাদত, বাদ পড়লেন হাসান-জাকের
ধুঁকতে থাকা বিজয়কে শুন্য রানে ফেরালেন আসিথা
প্রথম বলেই সাদমান-মুমিনুলের প্রতিরোধ ভাঙলেন ধনঞ্জয়া
সাদমান-শান্তর ব্যাটে প্রথম সেশন পার বাংলাদেশের
ছয় বলের ব্যবধানে ফিরলেন শান্ত-সাদমান
বৃষ্টি থেমেছে, কলম্বোর আকাশে রোদ
চা-বিরতির আগে ফিরলেন লিটন
এবার আর বাঁচলেন না মুশফিক
দুইশর আগে আউট মিরাজ
নাঈমকে ফেরালেন আসিথা
বাংলাদেশের হতাশার দিন
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ- ২২০/৮ (৭১ ওভার) (সাদমান ৪৬, বিজয় ০, মুমিনুল ২১, শান্ত ৮, মুশফিক ৩৫, লিটন ৩৪, মিরাজ ৩১, নাঈম ২৫; দিনুশা ২/২২, বিশ্ব ফার্নান্দো ২/৩৫, আসিথা ২/৪৩)
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের স্বাগতম
সিরিজের প্রথম ম্যাচ ইতোমধ্যেই ড্র করেছে বাংলাদশ ও শ্রীলঙ্কা। কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে এই দুই দল। একটু পরই অনুষ্ঠিত হবে টস। ম্যাচটিতে আপনাদের স্বাগতম। পুরো ম্যাচের আপডেট জানতে ক্রিকফ্রেঞ্জিরে নজর রাখুন।
আবারো টস জিতল বাংলাদেশ
ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে টস। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের একাদশে মিরাজ-ইবাদত, বাদ পড়লেন হাসান-জাকের
জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে একাদশে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলী অনিক। ওদিকে ইনজুরির কারণে একাদশে নেই পেসার হাসান মাহমুদও। তার জায়গায় খেলছেন ইবাদত। দুই বছর ধরে ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে এই ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন ইবাদত। কলম্বো টেস্ট সফরকারীরা খেলছে তিন স্পিনার ও দুই পেসার নিয়ে।
এদিকে গত ম্যাচে অবসর নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এই ম্যাচে তার জায়গায় খেলছেন সোনাল দিনুশা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হতে যাচ্ছে এই অলরাউন্ডারের।
বাংলাদেশ: সাদমান ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, মমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন ও নাহিদ রানা।
শ্রীলঙ্কা: পাথুম নিশাঙ্কা, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্দিমাল, কামিন্দু মেন্ডিস, ধনঞ্জয় ডি সিলভা (অধিনায়ক), কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), সোনাল দিনুশা, থারিন্দু রত্নায়েকে, প্রভাথ জয়সুরিয়া, বিশ্ব ফার্নান্দো ও আসিথা ফার্নান্দো
ধুঁকতে থাকা বিজয়কে শুন্য রানে ফেরালেন আসিথা
ম্যাচের শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন এনামুল হক বিজয়। অবশেষে ১০ বলে শুন্য রানে ফিরে যেতে হয় তাকে। নিজের খেলা সবকটি বলেই যেন ধুঁকছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের এই নিয়মিত পারফর্মার। আসিথা ফার্নান্দো দারুণ এক লেংথ ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বিদায় নেন বিজয়। এর আগে আসিথার তৃতীয় ওভারে জীবন পান বিজয়। আসিথার বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। লাফিয়ে হাত ছোঁয়ালেও সেটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন কুশল মেন্ডিস। পরের বলে একটুর জন্য দ্বিতীয় স্লিপে যায়নি এনামুলের ক্যাচ।
প্রথম বলেই সাদমান-মুমিনুলের প্রতিরোধ ভাঙলেন ধনঞ্জয়া
দ্রুত বিজয়ের উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের হাল ধরেন সাদমান ইসলাম এবং মুমিনুল হক। দুজনেই টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে আস্তে আস্তে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছিলেন। প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ করে এক উইকেটে ১২ রান। এরপর আস্তে আস্তে রান বাড়াচ্ছিলেন দুজন।
এরপর ১১তম ওভারে সাদমান-মুমিনুল দুজনই জীবন পান। থারিন্দু রত্নায়েকের বিপক্ষে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ঝুঁকি নেন দুজনই। সেই ঝুঁকি নেয়ার সময় দুই ব্যাটার পরপর দুই বলে বেঁচে যান।
মুমিনুলের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল যায় প্রথম স্লিপে। বটম এজ হয়েছিল, একটুর জন্য নিচের দিকে থাকা বলটি ধনঞ্জয়ার মুঠোয় যায়নি। স্ট্রাইক পেয়ে পরের বলে ড্রাইভ করেন সাদমান। শর্ট এক্সট্রা কাভারের ফিল্ডারের নাগালের একটু বাইরে দিয়ে যায় বলটি। এটাকে ঠিক 'জীবন' বলা যায় না। তবে টেস্টে এই ধরনের ক্যাচ ধরার বেশকিছু নজির আছে।
১৭তম ওভারের প্রথম বলে বল হাতে নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। বল হাতে নিয়েই উইকেট পান লঙ্কান টেস্ট অধিনায়ক। তার অফসাইডে করা খাটো লেংথের ডেলিভারিতে কাভারে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন মুমিনুল। ফেরার আগের করেন ৩৯ বলে ২১ রান। মুমিনুলের বিদায়ে ভাঙে সাদমানের সঙ্গে তার ৩৮ রানের জুটি।
সাদমান-শান্তর ব্যাটে প্রথম সেশন পার বাংলাদেশের
প্রথম সেশনে আর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। সাদমান-শান্ত'র ব্যাটে সেশনের বাকি সময়টা নিরাপদেই পার করেছে তারা। এই সেশনে খেলা হয়েছে মত ২৬ ওভার। বাংলাদেশ করেছে দুই উইকেটে ৭১ রান।
ছয় বলের ব্যবধানে ফিরলেন শান্ত-সাদমান
লাঞ্চের একটু পরই ফিরে গেছেন শান্ত। গল টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা শান্ত কলম্বোতে প্রথম ইনিংসে ফিরে গেছেন আট রান করে। বিশ্ব ফার্নান্দোর পঞ্চম স্টাম্পে করা লেংথ ডেলিভারিতে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন শান্ত। তার বিদায়ে ভাঙে সাদমানের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি। ৭৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপরের ওভারে ফিরে যান সাদমান ইসলামও। ফলে ৭৬ রানের মধ্যে চতুর্থ উইকেটটিও হারায় বাংলাদেশ। থারিন্দু রত্নায়েকের টসড আপ ডেলিভারিতে ড্রাইভ দিতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ধনঞ্জয়ার মুঠোয় ক্যাচ তুলে দেন সাদমান। হাফ সেঞ্চুরি করা হলো না তার। ৯৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে সাতটি চার মারেন তিনি।
পরের ওভারে মুশফিকের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা।
বৃষ্টি থেমেছে, কলম্বোর আকাশে রোদ
তীব্র বাতাস এবং বৃষ্টির কারণে খেলায় বিঘ্ন ঘটেছে। যার কারণে আধা ঘণ্টা ধরে খেলা বন্ধ ছিল। বর্তমানে বৃষ্টি থেমেছে, রোদ উঠেছে। একটু পরই খেলা শুরু হওয়ার কথা।
চা-বিরতির আগে ফিরলেন লিটন
আগের ওভারেই প্রবাথ জয়াসুরিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন দাস। তবে খানিকটা দৌড়ে গিয়েও সেটা লুফে নিতে পারেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। জীবন পেয়েও অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না তিনি। পরের ওভারে সোনাল দিনুশার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করার চেষ্টায় এজ হয়ে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন। কয়েক দফায় চেষ্টার পর লিটনের ক্যাচ দিয়েছেন কুশল মেন্ডিস।
ভালো শুরু পেলেও ৫৬ বলে ৩৪ রান করে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটারকে। লিটন আউট হওয়ার পর এক ওভার পরই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় সেশনের খেলা। ডানহাতি ব্যাটারের বিদায়ে ভেঙেছে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি। লাঞ্চের পর বৃষ্টি শুরু হলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় সেশনে তিন উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এবার আর বাঁচলেন না মুশফিক
বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হওয়ার পর ৮ বলের মাথায় জীবন পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। থারিন্দু রত্নায়েকের চতুর্থ বলে স্লগ সুইপ করে চার মারতে চেয়েছিলেন তিনি। ডিপ স্কয়ার লেগে ফিল্ডার থাকলেও লাহিরু উদারা সীমানা থেকে একটু সামনে এগিয়ে ছিলেন। যার ফলে মাথার উপর দিয়ে যাওয়া ক্যাচ নিতে পারেননি উদারা, চার পেয়ে যান মুশফিক। জীবন পাওয়ার পর দেখেশুনেই খেলছিলেন মুশফিক।
যদিও ইনিংসটা বড় করতে পারলেন না। দিনুশার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে এবারও ডিপ স্কয়ার লেগেই ক্যাচ দিয়েছিলেন বাংলাদেশর অভিজ্ঞ ব্যাটার। এবার অবশ্য বাঁচতে পারেননি তিনি। বিশ্ব ফার্নান্দো ক্যাচ নিলে ফিরতে হয় ৭৫ বলে ৩৫ রান করা মুশফিককে। অফ স্পিনার নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুইশর আগে আউট মিরাজ
মুশফিকুর রহিম ফেরার পর নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও জুটি বড় করতে পারেননি। দুই স্পিনারকে টানা বোলিং করানোর পর আচমকাই বোলিংয়ে আনা হয় বিশ্ব ফার্নান্দোকে। বোলিংয়ে এসেই শ্রীলঙ্কাকে উইকেট এনে দিয়েছেন তিনি। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের গুড লেংথ ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করার চেষ্টায় স্লিপে থাকা কামিন্দু মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়েছেন ৩১ রান করা মিরাজ।
নাঈমকে ফেরালেন আসিথা
নাঈম হাসানের কাজটা মূলত অফ স্পিনে। তবে দলের বিপর্যয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেছেন ২৫ রান করেছেন তিনি। তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে যখন দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হতে হয় তাকে।
বাংলাদেশের হতাশার দিন
ক্রিকফ্রেঞ্জি
গলে প্রথম ইনিংসে ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। পরের ইনিংসে অবশ্য ৪ রান করতে পেরেছিলেন। এমন পারফরম্যান্সের পরও কলম্বোতেও সাদমান ইসলামের সঙ্গী সেই বিজয়ই। সেটা না করে অবশ্য উপায়ও ছিল না বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের। সিরিজ শুরুর আগে গুঞ্জন ছিল লঙ্কাদ্বীপে হয়ত ওপেনিং করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে গলের দুই ইনিংসে চারে নেমে সেঞ্চুরি পাওয়ার পর নিশ্চিতভাবেই নিজের পছন্দের জায়গা ছাড়তে চাইবেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক। তাতে ওপেনিং থেকে বিজয়কে সরানোর খুব বেশি সুযোগ ছিল না বাংলাদেশের সামনে।
স্কোয়াডে সাদমান ও বিজয়ের বাইরে ব্যাকআপ ওপেনার না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই খেলাতে হয়েছে তাকে। গলে যেভাবে শেষ করেছিলেন কলম্বোতেও বিজয় শুরু করলেন সেভাবেই। মানে, ধুঁকতে ধুঁকতে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে। উইকেটে থাকা বেশিরভাগ সময়ই হাঁসফাঁস করছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার। ১০ বলে ফিরলেন আরও একবার রানের খাতা না খুলেই। বিজয়ের মতো দিনটা খারাপ গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিটেরই। ক’জন ভালো শুরু পেলেও লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হকরা কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। যার ফলে বাংলাদেশের প্রথম দিনটা শেষ হয়েছে ৮ উইকেটে ২২০ রান তুলে।