সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের একাদশে ৩ পেসার, ২ স্পিনার
মেহেদীর উইকেট, সাইমের গোল্ডেন ডাক
ফখরকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে শরিফুলের উইকেটের হাফ সেঞ্চুরি
চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে শরিফুলের ‘হাফ সেঞ্চুরি’
বাংলাদেশের দারুণ শুরুর পর পাকিস্তানের প্রতিরোধ
হারিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন তানজিম সাকিব
সালমানের হাফ সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের একশ
সালমানের উইকেট নিলেন হাসান
সেই হাসান নাওয়াজকে ফেরালেন রিশাদ
শামীম ফেরালেন খুশদিলকে
বাংলাদেশকে ২০২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল পাকিস্তান
এক চারেই শেষ ইমন
দারুণ শুরুর পর তানজিদের বিদায়
পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের দাপট
লিটন-হৃদয় জুটির পঞ্চাশ
ছক্কায় একশ ছুঁয়ে আউট লিটন
৩ ওভারে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের
হেরে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান— ২০১/৭ (২০ ওভার) (সাইম ০, ফখর ১, হারিস ৩১, সালমান ৫৬, নাওয়াজ ৪৪, শাদাব ৪৮; শরিফুল ২/৩২)
বাংলাদেশ— ১০৮/৫ (১৩.১ ওভার) (ইমন ৪, তানজিদ ৩১, লিটন ৪৮, হৃদয় ১৭)
সবাইকে স্বাগত!
সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে পারছে না পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কেউই। নিজেদের সবশেষ সিরিজে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের সঙ্গেও ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের অবস্থা তো আরও নাজুক। পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতি হিসেবেই শারজাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা।
অথচ সেই সিরিজেই বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সিরিজ হারাকে অবশ্য বাংলাদেশের জাগিয়ে ওঠার রসদ হিসেবে দেখছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। এ ছাড়া ভালো ক্রিকেট খেলতে না পারার পরও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে খানিকটা হুমকির সুরে বলে রেখেছেন তারা পৃথিবীর যেকোনো দলকে হারাতে পারেন।
বিপরীতে পাকিস্তান সালমান আলী আঘাও হাই রিস্ক ক্রিকেটের বার্তাই দিয়ে রেখেছেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটনকে দ্রুত আউট করে সফরকারীদের চাপে ফেলতে চান তিনি। বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আপনাদের সবাইকে স্বাগত! পুরো ম্যাচের লাইভ আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতেছেন সালমান আলী আঘা। টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ফলে টস হেরে আগে বোলিং করতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের একাদশে ৩ পেসার, ২ স্পিনার
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের মতোই স্পিনার হিসেবে শেখ মেহেদী ও রিশাদ হোসেন এবং পেস বিভাগে খেলছেন হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব এবং শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ— তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, শেখ মেহেদী, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ এবং শরিফুল ইসলাম।
পাকিস্তান— ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস, সালমান আঘা, হাসান নাওয়াজ, শাদাব খান, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, হারিস রউফ এবং আবরার আহমেদ।
মেহেদীর উইকেট, সাইমের গোল্ডেন ডাক
উইকেটে ঘাস থাকলেও ইনিংসের প্রথম ওভারেই অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক লিটন দাস। বোলিংয়ে এসেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন মেহেদী। ডানহাতি অফ স্পিনারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে মেহেদীর হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন সাইম আইয়ুব। শেষ বলে চার হজম করলে নিজের প্রথম ওভারে ৫ রান খরচা করে এক উইকেট নিয়েছেন মেহেদী।
ফখরকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে শরিফুলের উইকেটের হাফ সেঞ্চুরি
ইনিংসের প্রথম ওভারে শেখ মেহেদী বোলিং করলেও পরের ওভারে পেসার শরিফুল ইসলামকে অ্যাটাকে আনেন লিটন। বোলিংয়ে এসেই ফখর জামানকে ফিরিয়েছেন তিনি। বাঁহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ফখর। দারুণ ছন্দে থাকা বাঁহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন মাত্র এক রানে। ফখরকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৫০তম উইকেট তুলে নিয়েছেন শরিফুল। নিজের ৪৫তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এসে এমন কীর্তি গড়েছেন তিনি।
চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে শরিফুলের ‘হাফ সেঞ্চুরি’
নিজের খেলা ৪৫তম টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে এসেই ফখর জামানকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল ইসলাম। পাকিস্তানি ওপেনারকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৫০তম উইকেট তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। তরুণ পেসারের আগে এমন কীর্তি আছে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট—
১৪৯—সাকিব আল হাসান
১৩৪—মুস্তাফিজুর রহমান
৮২—তাসকিন আহমেদ
৫০*—শরিফুল ইসলাম
বাংলাদেশের দারুণ শুরুর পর পাকিস্তানের প্রতিরোধ
প্রথম ওভারেই সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন শেখ মেহেদী। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে শরিফুল ইসলাম তুলে নেন ফখর জামানের উইকেট। ৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে স্বাগতিকদের টেনে তোলেন মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আঘা। তাদের দুজনের প্রতিরোধে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান তোলে পাকিস্তান।
হারিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন তানজিম সাকিব
৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দারুণ জুটি গড়ে তোলেন মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আঘা। তাদের দুজনের ৪৮ রানের জুটিতে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। পাওয়ার প্লে শেষে তাদের জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের হার্ড লেংথ ডেলিভারিতে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টায় তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন হারিস। ডানহাতি ব্যাটার আউট হয়েছেন ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে।
সালমানের হাফ সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের একশ
দ্রুত দুই উইকেট হারালেও পরবর্তীতে মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আঘা মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। হারিস ফিরে গেলেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন সালমান। পেসার তানজিম হাসান সাকিবের তিন বলে দুই চার ও এক ছক্কা মেরে ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। সালমানের হাফ সেঞ্চুরির পরের ওভারে একশ ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা।
সালমানের উইকেট নিলেন হাসান
মোহাম্মদ হারিস ফেরার পরও আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখেন সালমান আঘা ও হাসান নাওয়াজ। তাদের দুজনের ব্যাটেই একশ পার করে পাকিস্তান। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন সালমান। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। হাসান মাহমুদের ফুলটস ডেলিভারিতে শর্ট কভারে তানজিদ হাসানকে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলা পাকিস্তানের অধিনায়ক।
সেই হাসান নাওয়াজকে ফেরালেন রিশাদ
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে রিশাদ হোসেনের বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছেন হাসান নাওয়াজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। রিশাদের প্রথম দুই ওভারে দুই ছক্কা মারেন হাসান নাওয়াজ। তৃতীয় ওভারে ছক্কার পাশাপাশি দুটি চারও মেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। অবশেষে হাসান নাওয়াজের উইকেট পেয়েছেন রিশাদ। ডানহাতি লেগ স্পিনারের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২২ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলা হাসান নাওয়াজ।
শামীম ফেরালেন খুশদিলকে
১৭ তম ওভারে এসে প্রথম বলেই খুশদিল শাহকে আউট করেছেন শামীম পাটোয়ারি। এই স্পিনারের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার।
বাংলাদেশকে ২০২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল পাকিস্তান
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানকে শুরুতেই চেপে ধরে বাংলাদেশ। উইকেটে সবুজ ঘাস থাকলেও ইনিংসের প্রথম ওভারে শেখ মেহেদীর হাতে বল তুলে দেন লিটন। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে প্রথম ওভারেই উইকেট দেন মেহেদী। ডানহাতি অফ স্পিনারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে বোলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইম আইয়ুব।
পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে ফখর জামানের উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ফখর। দারুণ ছন্দে থাকা বাঁহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন মাত্র এক রানে। ফখরকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৫০তম উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের পর চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে এমন কীর্তি গড়েছেন শরিফুল।
৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দারুণভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সালমান ও মোহাম্মদ হারিস। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫২ রান তোলে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লে শেষে হারিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের হার্ড লেংথ ডেলিভারিতে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টায় তানজিদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন হারিস। দারুণ শুরু পাওয়া ডানহাতি ব্যাটার আউট হয়েছেন ১৮ বলে ৩১ রান করে।
সাবলীল ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সালমান। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাকিস্তানের অধিনায়ক। হাসান মাহমুদের ফুলটস ডেলিভারিতে শর্ট কভারে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৪ বলে ৫৬ রান করে। একটু পর আউট হয়েছেন আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকা হাসান নাওয়াজও। রিশাদকে ছক্কা ও দুই চার মারার পরের বলে ফিরেছেন তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়ে। দারুণ ছন্দে থাকা ডানহাতি ব্যাটার করেছেন ২২ বলে ৪৪ রান।
ব্যাট হাতে সুবিধা করে উঠতে পারেননি খুশদিল। তবে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ২৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে শরিফুলের বলে আউট হয়েছেন শাদাব খান। শেষ পর্যন্ত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০১ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। সফরকারী বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী, হাসান, রিশাদ, শামীম ও তানজিম।
এক চারেই শেষ ইমন
ইনিংসের প্রথম ওভারে ফাহিম আশরাফকে চার মেরে শুরু করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তবে হাসান আলীর বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ডানহাতি পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে মিড অনের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে ৩০ গজের ভেতরে হারিস রউফের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন পারভেজ ইমন। ৫ বলে ৪ রান করে ফিরতে হয়েছে বাঁহাতি ওপেনারকে।
দারুণ শুরুর পর তানজিদের বিদায়
ইনিংসের প্রথম ওভারে ফাহিম আশরাফকে ছক্কা মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। পরবর্তীতে আবরার আহমেদকে মেরেছিলেন দুই ছক্কা। হাসান আলীর বিপক্ষেও ভালো শুরু পেয়েছিলেন। পরপর দুই বলে চার মারার পরই ফিরতে হয় তাকে। ডানহাতি পেসারের ফুলার লেংথের স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ৩ ছক্কা ও ২ চারে ১৭ বলে ৩১ রান করা তানজিদ হাসান।
পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের দাপট
২০১ রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তুলতে হতো বাংলাদেশকে। তানজিদ হাসান তামিম শুরুও করেছিলেন সেভাবেই। তবে দারুণ শুরু পাওয়া বাঁহাতি ওপেনার ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ১৭ বলে ৩১ রান করে ফিরে গেছেন তিনি। তানজিদের আগে ৪ রানে আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। দুই ওপেনারকে হারানোর পর পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে মাত্র ৮ রান করতে পেরেছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। ফলে পাওয়ার প্লেতে কাজে লাগাতে না পেরে ২ উইকেট ৪৫ রান তুলেছে সফরকারীরা।
লিটন-হৃদয় জুটির পঞ্চাশ
পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান ইমন ফেরার পর জুটি গড়ে তোলেন তাওহীদ হৃদয় ও লিটন দাস। তবে তাদের দুজনের কেউই দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না। তবে হারিস রউফের এক ওভারে দুই ছক্কা মেরে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন লিটন। ডানহাতি পেসারকে দ্বিতীয় ছক্কা মেরে হৃদয়ের সঙ্গে জুটির পঞ্চাশ পূরণ করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। যেখানে বেশিরভাগ রানই এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে।
ছক্কায় একশ ছুঁয়ে আউট লিটন
শাদাব খানের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের রান একশ পূরণ করেন লিটন দাস। তবে পরের বলেই ফিরে যেতে হয় তাকে। শাদাবের শর্ট ডেলিভারিতে পয়েন্ট দিয়ে কাট করার চেষ্টায় ফখর জামানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ৩০ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলা বাংলাদেশের অধিনায়ক।
৩ ওভারে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের
লিটন দাস আউট হওয়ার পরের ওভারে ফিরেছেন তাওহীদ হৃদয়ও। বোলিংয়ে এসেই হৃদয়ের উইকেট নিয়েছেন খুশদিল শাহ। বাঁহাতি স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরেছেন ২২ বলে ১৭ রান করা হৃদয়। পরের ওভারে ফিরেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারিও। সালমান আঘার ওয়াইড ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেছেন। মোহাম্মদ হারিস প্রথম দফায় মিস করলেও দ্বিতীয় দফায় স্টাম্পিং করেছেন শামীমকে। তিনি আউট হয়েছেন ৪ রানে। তিন ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ।
হেরে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
ক্রিকফ্রেঞ্জি
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা অনেকটা প্রাত্যহিক রুটিনের মতো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুইশ রানের দেখা পেলেও প্রতিপক্ষ যখন পাকিস্তান তখন দুইশ রান পেরিয়ে বাংলাদেশ জিতে যাবে এমনটা হয়ত কল্পনার জগতেই সম্ভব। শেষ পর্যন্ত জয়ের আশাটা কল্পনার জগতেই আটকে থেকেছে। ২০১ রান তাড়ায় যেমন শুরু দরকার ছিল তানজিদ হাসান তামিম সেটার চেষ্টাই করেছেন। তবে বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন ইনিংস বড় করতে পারার আগেই।
আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আউট হয়েছেন আরও আগেই। দুই ওপেনারকে হারানোর পর তাওহীদ হৃদয় ও লিটন দাস মিলে জুটি গড়লেও টি-টোয়েন্টি কিংবা ম্যাচে প্রয়োজনীয় রান রেটের চাহিদা মেটাতে পারেননি তাদের কেউই। লিটন খানিকটা আগ্রাসী হয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও ফিরেছেন ৩০ বলে ৪৮ রানে। ধীরগতির ইনিংসে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে ফিরেছেন হৃদয়। ৯ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হারটা প্রত্যাশিতই ছিল। শেষের দিকে জাকের আলী অনিকের ৩৬ রান কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
চিরচেনা ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রত্যাশিতভাবেই হেরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের ৩৭ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। স্বাগতিকদের জয়ের কাজটা করে দিয়েছেন সালমান আলী আঘা, হাসান নাওয়াজ, শাদাব খান ও হাসান আলী। ব্যাটিংয়ে ৪৮ রান করা শাদাব বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে ধসিয়ে দেয়ার কাজটা করেছেন ৫ উইকেট নেয়া হাসান।