জিতেই গেল আরব আমিরাত

জিতেই গেল আরব আমিরাত

১১ থেকে ১৫ ওভারে তেমন সুবিধা করতে পারেনি আরব আমিরাত। যদিও রিশাদ হোসেনের করা ১৬তম ওভারে তাকে তিনটি ছক্কা হাঁকান আমিরাতের ব্যাটাররা। শারাফু ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করার পর আরো দুটি ছক্কা হাঁকান আসিফ খান। এই ওভারে ১৯ রান নেয় দলটি। এরপর আর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি বাংলাদেশ।  শারাফু ৪৭ বলে ৬৮ এবং আসিফ ২৬ বলে পাঁচ ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত থেকে বাংলাদেশের সিরিজ হার নিশ্চিত করেন।

তানজিমের উইকেটে বাংলাদেশের স্বস্তি

১১তম ওভারে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তানজিম। তার স্লোয়ার বাউন্সারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইন ধরা পড়েন ১৩ বলে ১৩ রান করা রাহুল চোপড়া। ৭৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আরব আমিরাত। যদিও শারাফুর নৈপুণ্যে ১৩ ওভারে একশ রান স্পর্শ করে আরব আমিরাত।

নিজের প্রথম ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দিলেন রিশাদ

বোলিংয়ে এসেই উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। আরব আমিরাতকে দ্রুত রান এনে দেয়া মোহাম্মদ জোহাইবকে ফ্লাইট করা গুড লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড করে ফেরান তিনি। ফেরার আগে জোহাইব করেন ২৩ বলে ২৯ রান। ১০ ওভার শেষে আরব আমিরাতের রান ছিল দুই উইকেটে ৭৬।

বিপজ্জনক ওয়াসিমকে ফেরালেন শরিফুল

১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট হারায় আরব আমিরাত। শরিফুল ইসলামের পঞ্চম স্টাম্প তাক করা লেংথ ডেলিভারিটি কভারে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন ওয়াসিম। এ দিন ছয় বলে ৯ রান আসে তার ব্যাটে।

যদিও আরেক ওপেনার মোহাম্মদ জোহাইব ও আলিশান শারাফু একটুও বিচলিত হননি। পাওয়ার প্লে'তে এক উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করে আরব আমিরাত।

বাংলাদেশের পুঁজি ১৬২

শেষদিকে জাকের আলীর ৩৪ বলে ৪১ এবং হাসান মাহমুদের ১৫ বলে অপরাজিত ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬২ রান করেছে বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে আরব আমিরাতের প্রয়োজন ১৬৩ রান।

শেষদিকে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন জাকের ও হাসান। শেষ চার ওভারে বাংলাদেশ নেয় ৬৩ রান। শেষ চার ওভারেই চার এবং ছক্কার মার ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। ৩৪ বলে ৪১ রান করে জাকের ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ছিলেন হাসান। জাকেরের মতো তিনটি ছক্কা ছিল তার ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংসেও। ব্যাটারদের লজ্জা দিতে শরিফুল সাত বলে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। 
 

জাকেরের ছক্কায় একশ পেরিয়ে গেল বাংলাদেশ

একই ওভারে শামীম এবং রিশাদকে হারানোর পর কয়েক ওভার দেখেশুনে পার করেন তানজিম ও জাকের। বাউন্ডারি মারার দুঃসাহস না দেখালেও সিঙ্গেলস নেয়ার চেষ্টায় ছিলেন তারা। যদিও সগির খানের করা ১৪তম ওভারের শেষ বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই পেসার। স্লোয়ার বাউন্সারে পরাস্ত হন তিনি। ফেরার আগে করেন ১২ বলে ছয় রান। ১৬.২ ওভারে জাকেরের ছক্কায় একশ রান পার করে বাংলাদেশ। 

ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দিলেন শামীমও

১১তম ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান শামীম পাটোয়ারি। মাতিউল্লাহর ওয়াইড লেংথের বলে কাভারে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই ব্যাটার। ফেরার আগে করেন ১২ বলে ৯ রান। ৬৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এর দুই বল পর রিশাদ হোসেনকে বোল্ড করে ফেরান মাতিউল্লাহ। তার সজোরে আসা লেংথ ডেলিভারিতে লাইনে খেলতে গিয়ে সেটি মিস করেন রিশাদ। দুই বল খেলা রিশাদ এ দিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

বোল্ড হয়ে ফিরলেন তানজিদও, বিপদে বাংলাদেশ

একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন তানজিদ হাসান। তবে ছিলেন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার দ্বারপ্রান্তে। তবে ইনিংস বড় করতে পারলে না বাংলাদেশের এই ওপেনার। আকিফ রাজার একটু লাফিয়ে ওঠা বলে বোল্ড হন তিনি। আর তাতেই ৫৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ আউট হন ১৮ বলে ৪০ রান করে। ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ৬৯ রান।

৯ বলে ২ মেহেদীর, পঞ্চাশের আগে নেই ৪ উইকেট

৪ নম্বরে প্রমোশন পেয়েছিলেন শেখ মেহেদী। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। আলী হায়দারের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি ৯ বলে ২ রান করে। বাংলাদেশের ইনিংসের একপ্রান্ত আগলে রেখে আসেন তানজিদ। তাকে সঙ্গ দিতে পারছেন না কেউই। 

ব্যর্থ লিটন-হৃদয়, ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের

আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো করতে পারেননি লিটন দাস। তৃতীয় ম্যাচেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি ১০ বলে ১৪ রান করেই ফিরতে হয়েছে তাকে। হায়দার আলীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। একবল পরেই শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন তাওহীদ হৃদয়ও। ফলে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

শূন্য রানে ফিরলেন ইমন

ব্যাট হাতে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান। ওভারের শেষ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে মেরেছিলেন একটি ছক্কাও। তবে পরের ওভারেই সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন আউট হয়ে যান শূন্য রানে। ধ্রুব পারাসারের বলে লং অফে ধরা পড়ে আউট হন বাংলাদেশের এই ব্যাটার।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন

আরব আমিরাত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সমতা ফিরিয়েছে আরব আমিরাত। তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ এই ম্যাচে ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে। একাদশে ফিরেছেন পারভেজ হোসেন ইমন, মেহেদী হাসান ও হাসান মাহমুদ। বাদ পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তানভির ইসলাম ও নাহিদ রানা।