সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের একাদশে নেই রিশাদ-সৌম্য
দ্বিতীয় ওভারেই ভাঙল বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি
নেতৃত্বের অভিষেকে লিটন ফিরলেন ১১ রানে
১৮০ স্ট্রাইক রেটে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করলেন ইমন
হৃদয়-ইমনের ঝড়োগতির ৫৮ রানের জুটি ভাঙলেন প্রসার
রেকর্ড ৯ ছক্কায় ইমনের সেঞ্চুরি
ইমনের রেকর্ড ৯ ছক্কার সেঞ্চুরির ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯১
উড়ন্ত সূচনার পর চার বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারাল আমিরাত
উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ, ওয়াসিমের ফিফটি
বিপজ্জনক ওয়াসিমকে ফেরালেন তানজিম
তানজিমের উইকেটে আবারো স্বস্তিতে বাংলাদেশ
সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ- ১৯১/৭ (২০ ওভার) (তানজিদ ১০, ইমন ১০০, তাওহীদ ২০, জাকের ১৩; জাওয়াদউল্লাহ ৪/২১)।
সংযুক্ত আরব আমিরাত- ১৬৪/১০ (২০ ওভার) (ওয়াসিম ৫৪, রাহুল ৩৫, আসিফ ৪২; হাসান ৩/৩৩, মুস্তাফিজ ২/১৭, তানজিম ২/২২ )
সবাইকে স্বাগত!
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আপনাদের সবাইকে স্বাগত! পুরো ম্যাচের লাইভ আপডেট পাবেন আমাদের ক্রিকফ্রেঞ্জিতে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস হেরেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। ফলে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের একাদশে নেই রিশাদ-সৌম্য
ইমিগ্রেশন জটিলতায় তিনদিন বিমানবন্দরে আটকে ছিলেন রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। তবে সব জটিলতা কাটিয়ে শুক্রবার রাতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তারা দুজন। প্রথম টি-টোয়েন্টির একদিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দিলেও একাদশে রাখা হয়নি তাদের দুজনের কাউকেই। এ ছাড়া একাদশে সুযোগ মেলেনি সৌম্য সরকারের। ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন।
সবশেষ ডিসেম্বরে সৌম্যর চোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলা পারভেজ ইমন সুযোগ পেয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও। ডিপিএলে ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকায় বাঁহাতি ব্যাটারের কাছে জায়গা হারাতে হয়েছে সৌম্যকে। স্পিনার হিসেবে শেখ মেহেদীর সঙ্গে আছেন তানভীর ইসলাম।
বাংলাদেশ- লিটন দাস (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব।
সংযুক্ত আরব আমিরাত- মুহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), মুহাম্মদ জোহাইব, আলিশান শারাফু, রাহুল চোপড়া, আসিফ খান, ধ্রুব পারাশার, সানচিত শর্মা, মুহাম্মদ জুহাইব, মাতিউল্লাহ খান, হায়দার আলী, মুহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ।
দ্বিতীয় ওভারেই ভাঙল বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি
এ দিন ইনিংসের সূচনা করতে নামেননি লিটন দাস। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং পারভেজ হোসেন ইমন প্রথম ওভারে দারুণ সূচনা করেন। প্রথম ওভারেই মিড একটি চার ও কাউ কর্নারে একটি ছক্কা হাকান তানজিদ। এই ওভারে বাংলাদেশ তোলে ১০ রান। বাকি বলগুলোতে অবশ্য রান বের করতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে বিদায় নেন তানজিদ। মতিউল্লাহ খানের ফুলার লেংথের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন এই ওপেনার। বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় ১৩ রানে। ৯ বলে প্রথম ওভারে তোলা সেই ১০ রানেই বিদায় নেন তানজিদ।
নেতৃত্বের অভিষেকে লিটন ফিরলেন ১১ রানে
তিনে নামেন লিটন দাস। অধিনায়ককে পেয়ে আত্মবিশ্বাস পান ইমন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শর্ট ফাইন লেগে একটি চার ও লং অনে দারুণ একটি ছক্কা হাঁকান ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে থাকা ইমন। তানজিদ ফেরার ওভারে পাঁচ রান পেলেও এই ওভারে বাংলাদেশ তোলে ১২ রান। চতুর্থ ওভারে মিড উইকেটে লিটনের একটি ছক্কার সৌজন্যে আট রান পায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম ওভারে মতিউল্লাহকে এক্সট্রা কাভারে একটি চার ও লং অনে একটি ছক্কা হাঁকান ইমন। এই ওভার থেকে আসে ১৪ রান।
ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৪৯ রানে লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহর দারুণ একটি ইয়র্কার খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। বলটি তার প্যাডে লাগতেই লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন তিনি। নেতৃত্বের অভিষেকে ৮ বলে ১১ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ। আসে ছয় রান। সবমিলিয়ে প্রথম ছয় ওভারে বাংলাদেশ করে দুই উইকেটে ৫৫ রান।
১৮০ স্ট্রাইক রেটে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করলেন ইমন
লিটন ফেরার ওভার এবং এরপরের ওভারে বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ। তবে অস্তম ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকান ইমন। লং অনে দুটি বড় ছক্কা হাঁকিয়ে সাইট স্ক্রিনের দিকে আরো একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এই ওভারে বাংলাদেশ তোলে ২২ রান। নবম ওভারে হায়দার আলীর বলে লং অফে চার মেরে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমন। এই হাফ সেঞ্চুরিটি আসে ২৮ বলে, প্রায় ১৮০ স্ট্রাইক রেটে। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯.৪ ওভারে একশ রান তোলে বাংলাদেশ। মাত্র ২৫ বলে ইমন-তাওহীদ জুটির পঞ্চাশ রানও চলে আসে।
হৃদয়-ইমনের ঝড়োগতির ৫৮ রানের জুটি ভাঙলেন প্রসার
ভালোভাবেই ইনিংস গুছিয়ে নিয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। যদিও এই দুজনের ৫৮ রানের জুটি ভাঙে ১১তম ওভারে। প্রসারের ওয়াইড লেংথের ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন হৃদয়। বল বৃত্তের ভেতরেই থাকে, ক্যাচ চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা ফিল্ডারের কাছে। ১৫ বলে ২০ রান করেন হৃদয়। ১০৭ রানের তৃতীয় উইকেট পড়লে মাঠে নামেন সহ-অধিনায়ক শেখ মেহেদী।
পরের ওভারে বিদায় নেন মেহেদীও। সহ অধিনায়ক করেন পাঁচ বলে দুই রান। জাওয়াদউল্লাহর বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের কাছে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। ১১২ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
রেকর্ড ৯ ছক্কায় ইমনের সেঞ্চুরি
১১২ রানে মেহেদীর উইকেট হারানোর পর থেকে ক্রমশ রানের গতি কমতে থাকে বাংলাদেশের। ৯.৪ ওভারে একশ রান তোলা বাংলাদেশ ১১তম ওভারে সাত, ১২তম ওভারে তিন, ১৩তম ওভারে তিন ও ১৪তম ওভারে নেয় সাত রান। এর মাঝে বিপদ বাড়ান জাকের আলী। ১৫.২ ওভারে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১৪ বলে ১৩ রান করেন তিনি। ১৪০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
অপরপ্রান্তে অবশ্য ইমনের ছক্কার ঝড় চলছিলই। ১৪ ও ১৫ ওভারে স্কয়ার লেগ ও লং অনে একটি করে ছক্কা হাঁকানো ইমন ১৬তম ওভারে আরো দুটি ছক্কা হাঁকান। একটি ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে, আরেকটি লং অনে। ফলে টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে রেকর্ড সংখ্যক ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় রিশাদ হোসেনকে হটিয়ে শীর্ষে পৌঁছান ইমন।গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে ৭টি ছক্কা মেরেছিলেন রিশাদ হোসেন। এত দিন এটিই ছিল বাংলাদেশের রেকর্ড।
মতিউল্লাহর করা ১৭তম ওভারে আরো দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ইমন, ছক্কাটি যায় লং অফের ওপর দিয়ে। সেই ওভারে বাংলাদেশ পায় ১৭ রান। ১৮ তম ওভারে জাওয়াদউল্লাহর বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন পাঁচ বলে ছয় রান তোলা শামীম পাটোয়ারি। ১৯তম ওভারের শেষ বলে কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ইমন। ৫৩ বলে ১৮৮ স্ট্রাইক রেটে এই সেঞ্চুরি তোলেন তিনি।
ইমনের রেকর্ড ৯ ছক্কার সেঞ্চুরির ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯১
পারভেজ হোসেন ইমনের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সাত উইকেটে ১৯১ রান করেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তোলার দিনে রেকর্ড ৯টি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশের এই ওপেনার, সঙ্গে ছিল পাঁচটি চারের মার। মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহর করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫৪ বলে ১০০ রান করেন ইমন। যদিও বাকি ব্যাটারদের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় স্কোর বোর্ডে দুইশ রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ নেন ২১ রান খরচায় চার উইকেট।
ইমনের হাত ধরে ছক্কার রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ দলও। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে বাংলাদেশ। এই সংস্করণে যা তাদের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ ১২টি ছক্কা হাঁকায় বাংলাদেশ।
এদিকে ক্যারিয়ারের অষ্টম ম্যাচে এসে তিন অঙ্কের দেখা পান ইমন। ২৮ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তিনটি চার আর পাঁচটি ছক্কায় পৌঁছান ফিফটিতে, আর মাত্র ২৫ বল পর ৫৩তম বলে স্পর্শ করেন শতরান। ৫টি চার আর ৯টি বিশাল ছক্কায় সাজানো ছিল তার ১০০ রানের ইনিংস। তবে সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ফিরতে হয় ঠিক ১০০ রানেই।
শারজাহতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে পারভেজের সঙ্গী ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের শুরুটা ছিল রীতিমতো নাটকীয়—প্রথম ওভারে আগ্রাসী চেষ্টা করেন তানজিদ, হাঁকান একটি ছক্কা ও একটি চার। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই মাতিউল্লাহর একটি দুর্দান্ত আউটসুইঙ্গারে কট বিহাইন্ড হয়ে যান মাত্র ১০ রানে। এরপর দ্রুত ফিরে যান লিটন দাসও, তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১১ রান।
তাওহিদ হৃদয় কিছুটা লড়াই করেন, ১৫ বলে ২০ রান করে গড়েন ইমনের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেখ মেহেদী হাসান, জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি—তিনজনের কেউই বড় কিছু করতে পারেননি। মেহেদী ৫ বলে ২, জাকের ১৪ বলে ১৩ আর শামীম করেন মাত্র ৬ রান। একপ্রান্তে যখন উইকেটের মিছিল, তখন ইমন ছিলেন অনড়—একাই লড়ে যান পুরো ইনিংসজুড়ে।
শেষ দিকে তানজিম হাসান সাকিব ৭, তানভির ইসলাম অপরাজিত থাকেন ১ রানে। সব মিলিয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৯১ রানের বড় স্কোর। আমিরাতের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মোহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ। মাত্র ২১ রান খরচায় শিকার করেন ৪টি উইকেট।
উড়ন্ত সূচনার পর চার বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারাল আমিরাত
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রথম ওভারে মাত্র পাঁচ রান নিলেও শেখ মেহেদীর করা দ্বিতীয় ওভার থেকে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৯ রান আদায় করে আরব আমিরাতের ওপেনাররা। তানজিম সাকিবের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলটি নেয় আরো ১৪ রান। এই ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কা হজম করেন তানজিম। তিন ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৩৮ রান তোলে দলটি।
চতুর্থ ওভারে আরব আমিরাতের রানের চাকায় লাগাম দেন হাসান মাহমুদ। তার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে মিড অনে বদলি ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্তর মুঠোয় ধরা পড়েন মোহাম্মদ জোহাইব। ৯ বলে ৯ রান করেন তিনি। ৩.৫ ওভারে ৪১ রানে ভাঙে আরব আমিরাতের ওপেনিং জুটি।
পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুস্তাফিজুর রহমান ফেরান আলিশান শারাফুকে। মুস্তাফিজের ফুলার লেংথের ডেলিভারিতে লফটেড কাভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শারাফু। তিন বলে এক রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লে'র ছয় ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমের দাপটে দুই উইকেটে ৫২ রান তোলে দলটি।
উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ, ওয়াসিমের ফিফটি
পাওয়ার প্লে সফলভাবে শেষ করার পর হাসান মাহমুদের করা সপ্তম ওভারেও চড়াও হন রাহুল চোপড়া। এই ওভারে রাহুলের তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৯ রান নেয় আরব আমিরাত। অষ্টম ওভার থেকে আসে আরো ১৪ রান। মাত্র ২৮ বলে জুটির পঞ্চাশ তোলেন এই দুজন। দুর্দান্ত খেলতে থাকা ওয়াসিম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩২ বলে। ক্যারিয়ারে এটি তার ২১তম হাফ সেঞ্চুরি। আরব আমিরাত ১০ ওভারে তোলে দুই উইকেটে ৯৮ রান।
বিপজ্জনক ওয়াসিমকে ফেরালেন তানজিম
১০.২ ওভারে দলীয় শতরান ছোঁয়ার পরের ওভারে ওয়াসিমের উইকেট হারায় আমিরাত। তানজিম হাসান সাকিবের লেগ স্টাম্প তাক করা বাউন্সারে হাকাতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজের মুঠোয় ধরা পড়েন ওয়াসিম। সাতটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। ভাঙে রাহুলের সঙ্গে তার ৪২ বল স্থায়ী ৬২ রানের জুটি।
তানজিমের উইকেটে আবারো স্বস্তিতে বাংলাদেশ
ওয়াসিম ফেরার পরের ওভারে আবারো আমিরাতের তোপের মুখে পড়েন শেখ মেহেদী। তার করা ইনিংসের ১৩তম ওভারে একটি চার ও টানা তিনটি ছক্কায় আমিরাতকে ২৫ রান পাইয়ে দেন আসিফ খান। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে আবারো বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তানজিম। তার স্লোয়ার ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন রাহুল, ফেরার আগে করেন ২২ বলে ৩৫ রান। পরপর দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে আউট করলেন তানজিম।
সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
ক্রিকফ্রেঞ্জি
পারভেজ হোসেন ইমনের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির ম্যাচে ২৭ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সাত উইকেটে ১৯১ রান করে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তোলার দিনে রেকর্ড ৯টি ছক্কা হাঁকান ইমন, সঙ্গে ছিল পাঁচটি চারের মার। এরপর তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ।