সংক্ষিপ্ত স্কোর
কারানকে ফিরিয়ে মিরাজের ৫
মিরাজের আরেকটি উইকেট
এক ওভারে মিরাজের ২ উইকেট, বিপাকে জিম্বাবুয়ে
উইলিয়ামসকে ফেরালেন নাঈম
জিম্বাবুয়ের ২ উইকেট নিয়ে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ
৩ বলে তাইজুলের ২ উইকেট
সাদমান-মিরাজের সেঞ্চুরির ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৪৪
৪১ রানে ফিরলেন তানজিম, মিরাজের সেঞ্চুরি
মিরাজ-তানজিমে চারশ পার করল বাংলাদেশ
৩৫০ পার করল বাংলাদেশ, মিরাজের হাফ সেঞ্চুরি
মিরাজ-তাইজুলের জুটি ভাঙলেন মাসেকেসা
বাংলাদেশ তিনশ ছোঁয়ার পর বৃষ্টির হানা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে (প্রথম ইনিংস)— ২২৭/১০ (৯০.১ ওভার) (ওয়েলচ ৫৪, উইলিয়ামস ৬৭; তাইজুল ৬/৬০, নাঈম ২/৪২)
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)— ৪৪৪/১০ (১২৯.২ ওভার) (সাদমান ১২০, বিজয় ৩৯, মুমিনুল ৩৩, মুশফিক ৪০, মিরাজ ১০৪, তানজিম ৪১; মাসেকেসা ৫/১১৫)
জিম্বাবুয়ে (দ্বিতীয় ইনিংস)— ১১১/১০ (৪৬.২ ওভার) (বেনেট ৬, আরভিন ২৫, কারান ৪৬; তাইজুল ২/৩১, মিরাজ ৫/৩২)
মিরাজের সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরি এবং পাঁচ উইকেটের ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস এবং ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় দিন শুরুতে ১০৪ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন মিরাজ, পরে বল হাতে ৩২ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন তিনি। সোহাগ গাজী এবং সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি এবং পাঁচ উইকেট পেলেন মিরাজ। তার দারুণ বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অল আউট হওয়া জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে করে ১১১ রান। চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-১ সমতা।
কারানকে ফিরিয়ে মিরাজের ৫
নিজের আগের ওভারেই মাসাকাদজার উইকেট নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের ওভারে এসে ফিরিয়েছেন বেন কারানকে। সবার আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্যাটারকে ফিরিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। ডানহাতি অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে জাকের আলীকে ক্যাচ দিয়েছেন ৪৬ রানের ইনিংস খেলা মিরাজ। বাংলাদশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পাশাপাশি বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে এমন কীর্তি আছে সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর।
মিরাজের আরেকটি উইকেট
একটু আগেই তাফাজায়া সিগাকে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরবর্তীতে জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও বেন কারান। তবে তাদের দুজনের জুটি খুব বেশি বড় হতে দেননি মিরাজ। ডানহাতি স্পিনারের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন ১০ রান করা মাসাকাদজা। ইনিংসে মিরাজের এটি চতুর্থ উইকেট।
এক ওভারে মিরাজের ২ উইকেট, বিপাকে জিম্বাবুয়ে
দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর বেন কারানকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন ক্রেইগ আরভিন। যদিও তাদের দুজনের জুটি ভাঙার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি আরভিনের ব্যাট ছুঁয়ে গেলেও স্লিপে দাঁড়িয়ে সেটা লুফে নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে একটু পর সেই মিরাজই আউট করেছেন আরভিনকে।
ডানহাতি অফ স্পিনারের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে স্লগ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। আরভিনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ বলে ২৫ রান। একই ওভারের শেষ বলে ওয়েসলি মাধেভেরেকেও আউট করেছেন মিরাজ। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন রানের খাতা খুলতে না পারা মাধেভেরে। তাইজুলের মতো একই ওভারে দুই উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।
উইলিয়ামসকে ফেরালেন নাঈম
ব্রায়ান বেনেট ও নিক ওয়েলচের উইকেট নিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনে বোলিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে আরও একটি উইকেট তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই শন উইলিয়ামসকে ফিরিয়েছেন নাঈম হাসান। ডানহাতি অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পে পড়ে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে এজ হয়ে স্লিপে সাদমানকে ক্যাচ দিয়েছেন ৭ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার।
জিম্বাবুয়ের ২ উইকেট নিয়ে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ
চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে ৯ ওভার খেলার সুযোগ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। ওই সময়ের মাঝে ব্রায়ান বেনেট ও নিক ওয়েলচের উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। দুটি উইকেটই নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের চেয়ে ২০০ রানে পিছিয়ে থেকে দিনের তৃতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নামবে জিম্বাবুয়ে।
৩ বলে তাইজুলের ২ উইকেট
প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও নিজের ফর্ম ধরে রেখেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ইনিংসের সপ্তম ওভারে তাইজুলের অফ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে এজ হয়ে স্লিপে থাকা সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন ব্রায়ান বেনেট। ১৬ বলে ৬ রান করে ফিরেছেন ডানহাতি এই উইকেট। একই ওভারের তৃতীয় বলে নিক ওয়েলচকে ফিরিয়েছেন তাইজুল।
বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে খেলার চেষ্টাই করেননি ওয়েলস। বল প্যাডে আঘাত করতেই আবেদন করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। যদিও আম্পায়ার কুমার ধর্মাসেনা তাতে খুব একটা সাড়া দেননি। পরবর্তীতে রিভিউ নিয়ে ওয়েলচকে ফেরয় বাংলাদেশ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল প্যাডে না লাগলে তা সরাসরি স্টাম্পে আঘাত করতো। ৩ বলে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন তাইজুল।
সাদমান-মিরাজের সেঞ্চুরির ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৪৪
শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মিরাজ। মাসেকেসার বলে ডাউন দ্যা উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন এই অলরাউন্ডার। ফেরার আগে ১৬২ বলে ১০৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। বাংলাদেশ অল আউট হয় ৪৪৪ রানে।
৪১ রানে ফিরলেন তানজিম, মিরাজের সেঞ্চুরি
মিরাজ-তানজিম নবম উইকেট জুটিতে তোলেন ৯৬ রান। টেস্ট অভিষেকে তানজিমের ব্যাটে আসে ৮০ বলে ৪১ রান। তাকে ফেরান ওয়েসলি মাধেভেরে। এই স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে এক করতে পারেননি তানজিম। শর্টে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিতে হয় তাকে। এর একটু পরই সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১৪৩ বলে সেঞ্চুরি আসে মিরাজের। বাংলাদেশের লিডও দুইশ রান পার করে।
মিরাজ-তানজিমে চারশ পার করল বাংলাদেশ
তাইজুল ফিরলে মিরাজের সঙ্গে দলের হাল ধরেন তানজিম হাসান সাকিব। মিরাজের সঙ্গে ইতিবাচক ভঙ্গিমায় ব্যাট চালাতে থাকেন তিনি। এই দুজনের ব্যাটে ১১৩ ওভারে চারশ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ। ততক্ষণে লিড ছাড়িয়ে যায় ১৫০ রানের বেশি। মিরাজ-তানজিমের নবম উইকেট জুটিও পঞ্চাশ রান ছাড়িয়ে যায়।
১১৪ ওভারে আট উইকেটে ৪০৪ রান করে মধ্যাহ্নভোজ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। এই সেশনে ২৭ ওভার হয়। ১১৩ রান করার পাশাপাশি একটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৩৫০ পার করল বাংলাদেশ, মিরাজের হাফ সেঞ্চুরি
৯৮.৪ ওভারে দলীয় ৩৫০ রান করে বাংলাদেশ। পরের ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। ক্যারিয়ারের দশম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে তিনি খেলেন ৭০ বল।
মিরাজ-তাইজুলের জুটি ভাঙলেন মাসেকেসা
বৃষ্টি থামার পর আবারো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। মিরাজ-তাইজুল দুপাশ থেকেই রান তুলতে থাকেন। ৬৮ বলে ৫০ রানের জুটি তমদ্ধেই গড়ে ফেলেছেন এই দুইজন।
এই দুজনের ৬৩ রানের জুটি ভাঙেন ভিনসেন্ট মাসেকেসা। তাইজুলকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ৪৫ বলে ২০ রানে বিদায় নেন তাইজুল।
বাংলাদেশ তিনশ ছোঁয়ার পর বৃষ্টির হানা
ক্রিকফ্রেঞ্জি
সাত উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে মাঠে নেমেছেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম। দলের সংগ্রহ তিনশ পার করিয়েছেন এই দুজন। ৮৯.২ ওভারে তাইজুল ইসলামের চারে তিনশ পার করে বাংলাদেশ। এর দুই বল পরই বৃষ্টি নামে। ফলে খেলায় আপাতত বাধার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ ঢাকার কাজে নেমে পড়েছেন মাঠকর্মীরা। দশ মিনিট পরই অবশ্য বৃষ্টি থেমে যায়।