এবার ২ রানে থামলেন সৌম্য
ইমরানুজ্জামানের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে অগ্রণী ব্যাংক
১২৩ রানে আউট হয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন ইমরানুজ্জামান
শরিফুলের ৪ ছক্কার ক্যামিওতে রূপগঞ্জের ২২৫
মুনিমের ৮০ রানের ইনিংসের পরও ২৩৬ রানে অল আউট গাজী ক্রিকেটার্স
ইমরানুজ্জামানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণী ব্যাংকের ৩৪০
গাজী ক্রিকটার্সের বিপক্ষে টস হারলেন হৃদয়
মাঠে আম্পায়রের সঙ্গে বাজে আচরণ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আম্পায়ারের সমালোচনার জন্য দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় হৃদয়কে। যদিও এক ম্যাচ পরই মাঠে ফেরেন হৃদয়। নিয়ম ভঙ্গ করে আম্পায়ার্ক কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তার শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে নেয়া হয়। এরপর দেশজুড়ে তোলপাড়ের পর নতুন করে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় মোহামেডানের এই ক্রিকেটারকে।
প্রিমিয়ার লিগ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) টেকনিক্যাল কমিটির নতুন আহ্বায়ক নাজমুল আবেদিন ফাহিম এই সিদ্ধান্ত দেন। সেই সিদ্ধান্ত এক দিনও টিকল না। বিসিবির প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটার হৃদয়ের বাকি শাস্তি পেছানো হয়েছে।
তিনি ওই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আগামী ১২ মাসের মধ্যে যে কোনো সময়ে ভোগ করবেন। এমন অবস্থায় পরদিন সকালে গাজী ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নেমেছেন হৃদয়। এদিন টস হেরে আগে বোলিং করছে মোহামেডান।
এবার ২ রানে থামলেন সৌম্য
আগের ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে অপরাজিত ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সৌম্য সরকার। তবে পরের ম্যাচে ২ রানের বেশি করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। আবাহনীর বিপক্ষে সৌম্য ১১ বলে ২ রান করে আউট হয়েছেন স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে।
ইমরানুজ্জামানের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে অগ্রণী ব্যাংক
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরির পরের তিন ম্যাচেই ভালো শুরু পেয়েছিলেন ইমরানুজ্জামান। তবে তিন ম্যাচের একটিতেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে অবশ্য ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন তিনি। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৮৩ বলেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ইমরানুজ্জামান। ৩০ বছর বয়সী ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব- ১৯৯/৩ (৩৪ ওভার) (ইমরানুজ্জামান ১১৫*, অমিত ৪২)
১২৩ রানে আউট হয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন ইমরানুজ্জামান
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলতে থাকে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের তিন ম্যাচেই ভালো শুরু পেয়েছিলেন ইমরানুজ্জামান। তবে তিনটির একটিতেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ইমরানুজ্জামান ছিলেন শুরু থেকেই মারকুটে।
জীবন পেয়ে আরও বেশি আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেন তিনি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২ ছক্কা ও ৯ চারে মাত্র ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরানুজ্জামান। তাকে দারুণভাবে সঙ্গে দিতে থাকেন অমিত হাসান। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮২ রান তোলে অগ্রণী ব্যাংক। সাবলীল ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির কাছে গেলেও ৪২ রানে ফিরতে হয় অমিতকে। বাঁহাতি স্পিনার মইনুল ইসলামের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।
তিনে নেমে সুবিধা করে উঠতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ১৫ বলে ১৩ রান করা অগ্রণী ব্যাংকের অধিনায়ককে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছেন খালিদ হাসান। একটু পর আউট হয়েছেন মার্শাল আইয়ুবও। অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন খালিদ। ১৫৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন ইমরানুজ্জামান ও তাইবুর রহমান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা ইমরানুজ্জামান সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৮৩ বলে। ডিপিএলের চলতি আসরে এটি তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি।
একশ ছোঁয়ার পরও একই ধাঁচে রান করে যাচ্ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের উইকেটকিপার ব্যাটার। যদিও ১২৩ রান করা ইমরানুজ্জামানকে ফিরিয়েছেন নিহাদ উজ জামান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। আউট হওয়ার পর পায়ে ক্র্যাম্প করায় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১০৮ বলে ১২৩ রান করা ইমরানুজ্জামান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব- ২২৩/৪ (৩৮ ওভার) (ইমরানুজ্জামান ১২৩, অমিত ৪২)
শরিফুলের ৪ ছক্কার ক্যামিওতে রূপগঞ্জের ২২৫
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। মোসাদ্দেকের গুড লেংথে পড়ে টার্ন করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন মাত্র ৫ রানে। তিনে নেমে দ্রুতই আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে অপরাজিত ১৫৩ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি ব্যাটার আউট হয়েছেন ১১ বলে ২ রানে।
সৌম্যকেও ফিরিয়েছেন মোসাদ্দেকই। ডানহাতি অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ওয়াইড লং অফ দিয়ে খেলতে গিয়ে সীমানার কাছে থাকা আনামুল হককে ক্যাচ দিয়েছেন। ওপেনার সাইফ হাসান দেখেশুনে খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। রাকিবুল হাসানের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে শাহরিয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২৮ রানে। আগের ম্যাচেই দারুণ এক ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন ধ্রুব আবাহনীর বিপক্ষে ১ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকেও আউট করেছেন মোসাদ্দেক।
৬৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আকবর আলী ও মেহেদী মারুফ। তাদের দুজনের ৫০ রানের জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩৫ রান করা আকবর। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার আগে আউট হয়েছেন ৪৮ রানের ইনিংস খেলা মারুফ। আরেক ব্যাটার শেখ মেহেদী ফিরেছেন দ্রুতই। শেষের দিকে রিজওয়ানের ৪০ ও শরিফুলের ৪ ছক্কায় ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংসে ২২৫ রান তোলে রূপগঞ্জ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ— ২২৫/৯ (৫০ ওভার) (সাইফ ২৮, মারুফ ৪৮, আকবর ৩৫, রিজওয়ান ৪০, শরিফুল ৩৪*; মোসাদ্দেক ৪/৪১, রাকিবুল ৩/৪১)
মুনিমের ৮০ রানের ইনিংসের পরও ২৩৬ রানে অল আউট গাজী ক্রিকেটার্স
মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে গাজী ক্রিকেটার্সকে ভালো শুরু এনে দেন মুনিম শাহরিয়ার ও সাদিকুর রহমান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৭ রান। পাওয়ার প্লে শেষের আগে তাদের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ডানহাতি পেসারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হয়েছেন ২৬ রান করা সাদিকুর। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শামসুর রহমান শুভ। বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন মুনিম।
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন তিনি। যদিও সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি ডানহাতি ওপেনারের। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন ৮০ রানের ইনিংস খেলে। মুনিম ফেরার পর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারায় গাজী ক্রিকেটার্স। পরবর্তীতে তাহজিবুল ৩২ ও শেখ পারভেজ জীবন ৩৩ রান করেছেন। গাজী ক্রিকেটার্সকে ২৩৬ রানে অল আউট করার দিনে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
গাজী ক্রিকেটার্স— ২৩৬/১০ (৪৯.৪ ওভার) (মুনিম ৮০, পারভেজ ৩৩, তাহজিবুল ৩২, সাদিকুর ২৬; সাইফউদ্দিন ৩/৪২, মুস্তাফিজ ৩/৪৬)
ইমরানুজ্জামানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণী ব্যাংকের ৩৪০
ক্রিকফ্রেঞ্জি
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলতে থাকে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের তিন ম্যাচেই ভালো শুরু পেয়েছিলেন ইমরানুজ্জামান। তবে তিনটির একটিতেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ইমরানুজ্জামান ছিলেন শুরু থেকেই মারকুটে।
জীবন পেয়ে আরও বেশি আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেন তিনি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২ ছক্কা ও ৯ চারে মাত্র ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরানুজ্জামান। তাকে দারুণভাবে সঙ্গে দিতে থাকেন অমিত হাসান। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮২ রান তোলে অগ্রণী ব্যাংক। সাবলীল ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির কাছে গেলেও ৪২ রানে ফিরতে হয় অমিতকে। বাঁহাতি স্পিনার মইনুল ইসলামের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।
তিনে নেমে সুবিধা করে উঠতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ১৫ বলে ১৩ রান করা অগ্রণী ব্যাংকের অধিনায়ককে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছেন খালিদ হাসান। একটু পর আউট হয়েছেন মার্শাল আইয়ুবও। অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন খালিদ। ১৫৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন ইমরানুজ্জামান ও তাইবুর রহমান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা ইমরানুজ্জামান সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৮৩ বলে। ডিপিএলের চলতি আসরে এটি তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি।
একশ ছোঁয়ার পরও একই ধাঁচে রান করে যাচ্ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের উইকেটকিপার ব্যাটার। যদিও ১২৩ রান করা ইমরানুজ্জামানকে ফিরিয়েছেন নিহাদ উজ জামান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। আউট হওয়ার পর পায়ে ক্র্যাম্প করায় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১০৮ বলে ১২৩ রান করা ইমরানুজ্জামান। পরবর্তীতে তাইবুর ৬০ ও প্রিতম কুমার ৫৯ রান করেছেন। তাদের ব্যাটে ৩৪০ রানের পুঁজি পায় অগ্রণী ব্যাংক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব— ৩৪০/৭ (৫০ ওভার) (ইমরানুজ্জামান ১২৩, অমিত ৪২, তাইবুর ৬০, প্রিতম ৫৯; মইনুল ৩/৫৪)