নেপালের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ইতিহাস

ছবি:

জিম্বাবুয়ের মাটিতে আজ শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাইপর্ব। বাছাইপর্বের ম্যাচে নেপালকে ১১৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের দেয়া ৩৮১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নেপালের ইনিংস থেমেছে ২৬৪ রানে। বড় লক্ষ্যের চাপে পড়ে শুরুটা ভালো হয়নি নেপালের।
তারা দলীয় ৯ রানেই ওপেনার দীলিপ নাথের উইকেট হারায়। তারপর ওপেনার জ্ঞানেন্দ্র মাল্লা ও অধিনায়ক পরশ খাডকা ৫২ রানের জুটি গড়ে দলের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন।
খাডকা ৪০ রান করে আউট হয়েছেন। তারপর দীপেন্দ্র সিং ২৩ রান করে ফিরেছেন সাজঘরে। ওপেনার মাল্লা ৩২ রান করে ফিরে গেছেন। শারদ ভেশওয়াকার অর্ধশতক তুলে নিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।

তিনি আউট হয়েছেন ৫২ রান করে। রোহিত কুমারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ রান। আরিফ শেখ অর্ধশতক তুলে নিয়েই আউট হয়েছেন। বাসান্ত রেগমি ২ রান করে ফিরে গেছেন।
শেষ পর্যন্ত শম্পাল কামি ১২ ও সন্দিপ লামিচান ৭ রানে অপরাজিত থাকলেও জয়ের বন্দরে পৌঁছা হয়নি নেপালের। ৮ উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংস থেমেছে ২৬৪ রানে।
জিম্ববুয়ের হয়ে ৩ টি উইকেট নিয়েছেন সিকান্দার রাজা। ২ টি উইকেট তুলে নিয়েছেন ব্রায়ান ভেটরি। ১ টি করে উইকেট দখল করেছেন চাতারা, জার্ভিস ও ক্রেমার।
এর আগে, নেপালের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ৩৮০ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের সেরা আজকের ইনিংসটিই।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে তাদের সেরা ইনিংস ছিল ৩৫১ রানের। ২০০৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে তারা এই রান সংগ্রহ করেছিল। আজকের ম্যাচে দাপুটে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দুই জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর ও সিকান্দার রাজা।
৯১ বল খেলে ১০০ রান করে আউট হয়েছেন তারকা ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর। ৬৬ বল খেলে ১২৩ রান করেন সিকান্দার রাজা। এই রান করার পথে সাতটি চার ও নয়টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি।
টেইলর-সিকান্দার ছাড়াও ব্যাট হাতে দারুণ সফল সোলেমান মীরে ও কেফাস ঝুওয়াও। ৪১ বল খেলে ৫২ রান করেন সোলেমান। নেপালের পক্ষে সম্পাল কামি ২টি, বাসান্ত রেগমি ২টি, ললিত রাজবানশি ১টি ও সন্দীপ লামিচানে ১টি করে উইকেট নেন।