promotional_ad

আরেকটি ফাইনাল, আরেকটি স্বপ্নভঙ্গ?

promotional_ad

আজ শনিবার বাংলাদেশ দল চতুর্থ বারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে মাঠে নামবে। এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ভিন্ন তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে টাইগাররা। তবে, তিনবারই ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।




বাংলাদেশ দল এর আগে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নেয়। সেবার ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে লঙ্কানদের প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।




নিজেরা ১৫৮ রানে অলআউট হলেও বল হাতে শুরুতেই উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের চেপে ধরেছিল টাইগাররা। সেই ম্যাচে একা ব্যাট হাতে লড়েছিলেন সাঙ্গাকারা। তাও উতরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল।




তবে, শেষ মুহূর্তে এসে মুরালিধরন এবং পারভেজ মাহারুফের ব্যাটিং তান্ডবে লঙ্কানরা বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে ২ উইকেটের কষ্টার্জিত জয় পায়। এই জয়ে পারভেজ মাহরুফের ৩৮ এবং মুরালিধরনের অবদান ছিল অপরাজিত ৩৩ রানের। সাঙ্গাকারা ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।



promotional_ad



এই ফাইনাল হারের ক্ষত প্রায় ভুলতে বসা বাংলাদেশের আবারও হতাশা সঙ্গী হয় ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে। সেই হারটি বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের কোনো দিনই ভোলার কথা না। বিশেষ করে জিততে-জিততেও দুই রানে হেরে যাওয়ার পর সাকিবকে জড়িয়ে মুশফিকের কান্নার দৃশ্য আজও রক্ত ঝরায় ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে।




টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ ওভারে হাতে ছিল ৩ উইকেট জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। চতুর্থ বলে আইজাজ চিমা মাহমুদউল্লাহর রাস্তাটা আটকে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনটা রান এলো বটে, তবে রাজ্জাক চলে গেলেন স্ট্রাইকে।  




তারপর, এক বল বাকি থাকতে রাজ্জাকের উইকেট হারায় টাইগাররা। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রান। কিন্তু শেষ বলটি শাহাদাতের পায়ের ফাঁক গলে যখন সরফরাজের হাতে জমা পড়ে। তখনও প্রাণপণে ছুটছেন শাহাদাত ও মাহমুদুল্লাহ। শেষ বলে এসেছিল মাত্র ১ রান।





ফলে দুই রানের হার মাথায় নিয়েই কান্না ভেজা চোখে মাঠ ছেড়েছিল পুরো বাংলাদেশ দল। এশিয়া কাপ এরপর আবার বাংলাদেশে যখন ফিরে, তখন মাঝে সময় গড়িয়ে গেছে চার বছর। আগেরবার ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছিল। এবার সেই পাকিস্তানকে পরাজিত করেই মিরপুরের ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হয় টাইগাররা।




তবে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটের অভিমানটা আর মিটল না। গোমড়া মুখেই ধোনীর ভারতের বিপক্ষে হেরে মাঠ ছেড়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সেবার এশিয়া কাপ মাঠে গড়িয়েছিল টি২০ ফরম্যাটে। বৃষ্টি বিঘ্নিত সেই ম্যাচে ওভার কমিয়ে দেয়া হয়েছিল ৫টি।




১৫ ওভারের খেলায় আগে ব্যাট করে লড়াই করার মতোই পূঁজি পায়নি বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করেছিল মাত্র ১২০ রান। ভারতও এই রান টপকে যায় ৮ উইকেট হাতে রেখেই। ৭ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারতীয়রা।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball