প্রোটিয়া পেস তান্ডবে বিধ্বস্ত ভারত

ছবি:

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সফরকারীদের চেয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে প্রথম দিন শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১ উইকেটের বিনিময়ে ৬ রান। ৪ রান করে অপরাজিত আছেন ওপেনার ডিন এলগার ও কোনো রান না করেই উইকেটে আছেন নাইটওয়াচম্যান কাগিসো রাবাদা।
২ রান করা প্রোটিয়া ওপেনার এইডেন মার্করামের উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। এর আগে প্রোটিয়া পেসারদের দাপটে মাত্র ১৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া পেসারদের আগুনঝড়া বোলিংয়ের এক কথায় উড়ে গেছে কোহলির ভারত।
চেতেশ্বর পুজারা আর ভিরাট কোহলির দুই হাফ সেঞ্চুরি বাদ দিলে ভারতের আর কোনো ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেননি।জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ভারতের অতীত রেকর্ডটা বেশ ভালো। এখানে ৪ ম্যাচ খেলে এখনও হারের মুখ দেখেনি ভারতীয়রা। এর মধ্যে ১ টি ম্যাচে জয়ও পেয়েছে তারা।

বাকি তিন ম্যাচই ড্র। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি কোহলিদের। তারা মাত্র ১৩ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে দারুণ বিপদে পড়ে। প্রোটিয়াদের বোলিং তোপে এরপর রান তোলার গতিও অনেক কমে যায় ভারতের। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে কোহলি আর চেতেশ্বর পুজারা দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
এই দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৮৪ রানের জুটি। দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ভারতীয় অধিনায়ক ভিরাট কোহলি। তার সঙ্গে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো চেতেশ্বর পুজারাও অর্ধশতক তুলে নেন। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে দুই ইনিংসেই রানআউট হয়ে দারুণ সমালোচিত হন পুজারা। তার জবাব দিতেই যেন হাফ সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
তারপর, অর্ধশতক তুলে নিয়ে খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি ভিরাট কোহলি। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের অভিষিক্ত নায়ক লুঙ্গি এনগিদির হাতে উইকেট দিতে বাধ্য হন ভারতীয় দলপতি। ডি ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দলীয় ৯৭ রানে কোহলি ফিরে যাওয়ার পর আবারও আসা-যাওয়ার মিছিলে নামেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৫০ রান করা পুজারা আউট হন আন্দিল পেহলুকাইয়োর বলে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে।এরপর মরনে মর্কেলের বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন রোহিত শর্মার পরিবর্তে মাঠে নামা আজিঙ্কা রাহানে।
একই বোলারের শিকার হন ভারতীয় উইকেটরক্ষক পার্থিব প্যাটেল। পেহলুকাইয়োর বলে কোনো রান না করেই আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারনন ফিল্যান্ডারের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ সামি। ভুবনেশ্বর কুমার শেষ দিকে এসে দারুণ ব্যাটিং করেছেন।
৪৯ বল মোকাবেলায় ৩০ রান করেছেন তিনি। তবে কাগিসো রাবাদার গতির কাছে হার মানেন এই ভারতীয় তারকা। প্রোটিয়াদের হয়ে কাগিসো রাবাদা নেন ৩ উইকেট। ফিল্যান্ডার, মর্কেল এবং আন্দিল পেহলুকাইয়ো ২টি করে উইকেট নেন। ১ উইকেট দখল করেন লুঙ্গি এনগিদি।