promotional_ad

তিন ম্যাচেই সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে হতাশ তামিম

promotional_ad

ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। তার পরও নিজেদের সেরাটা না খেলতে পারার আফসোসে পুড়ছেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। তিনি জানিয়েছেন, উইকেট কঠিন থাকলেও ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারেননি।




সাকিব ব্যক্তিগত ৫১ রানে আউট হয়েছেন আর তামিম ৭৬ করে ফিরেছেন সাজঘরে। এই দুজনের জুটি থেকে এসেছে ১০৬ রান। সাকিব ও তামিম নিজে বড় স্কোর গড়তে না পারলেও উইকেট অনুযায়ী খেলতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন এই ড্যাশিং ওপেনার। 




এই প্রসঙ্গে তামিম বলেন, "আমরা সত্যি বলতে সেরাটা খেলতে পারিনি। কারণ উইকেটটা সহজ ছিলো না। প্রথম ১০-১৫ ওভার বলের সিম মুভমেন্ট হচ্ছিলো। এরপর যখন স্পিনাররা আসলো, তখন ব্যাট করাটা আসলেই অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছিলো। একটা বল টার্ন করছিলো তো পরের বলটি সোজা আসছিলো। তো সত্যিই ব্যাট করাটা কঠিন ছিলো। আমার কাছে মনে হয় যে আমি ও সাকিব অনেক ভালো খেলেছি। যদিও আমরা দুজনে অনেক বেশি রান করতে পারিনি তারপরও আমরা উইকেট অনুযায়ীই ব্যাট করতে পেরেছি।"





promotional_ad

এগিয়ে এসে ডাউন দ্যা উইকেটে মারতে গিয়ে গ্রায়েম ক্রেমারের বলে ব্র‍্যান্ডন টেলরের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন তামিম ইকবাল। উইকেটে সেট হয়েও এই ভাবে আউট হয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন এই বাঁহাতি। এই ড্যাশিং ওপেনার জানিয়েছেন আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়েই আউট হয়েছেন তিনি। 




"হ্যাঁ যে সময় আমি অনেকক্ষণ চাচ্ছিলাম যে একটু আক্রমণাত্নক খেলি। কারণ আমি ফিফটি করতে চাচ্ছিলাম তখন আসলে উইকেটটা লুজ হচ্ছিলো। আর আমি যে সময়ে মারতে গিয়ে আউট হলাম ওটা আসলে সঠিক সময় ছিলো না বলে আমার মনে হয়। আরও পাঁচ-ছয়টা ওভার যদি আমি পার্টনারশিপ বিল্ড করে যদি তারপর এটাক করতে যেতাম তাহলে মনে হয় ভালো কিছু হতে পারতো আরও। যদি এরকমটা করতে পারতাম তাহলে হয়তো বাঁ আমরা ২৩০-২৩৫ করতে পারতাম সবমিলিয়ে।"


 


তবে ওই সময় আক্রমণাত্মক খেলা ভুল ছিল বলেও মনে করেন তিনি, "অবশ্যই  ওই সময়ে এটাক করার জন্য ভুল সময় ছিলো। তাছাড়া লেগস্পিনার, আমি লেফটি। আমারই সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমি অনেকক্ষণ থেকেই তাকে টার্গেট করছিলাম। কারণ তখন আমাদের উইকেটের উপর উইকেট পড়ছিলো। রিয়াদ ভাই পড়লো, মুশফিক পড়লো। তো ভাবছিলাম এই সময়ে যদি আমি ওকে এর উপরে এক দুইটা মেরে দিতে পারি তাহলে ঠিক আছে।"





আরও পাঁচ ওভার উইকেটে থাকা উচিত ছিল তার। পাঁচ ওভারের পার্টনারশিপ তৈরি করে যেতে পারলেও ভালো হতো বলে মত এই ওপেনারের, "ইভেন যখন মুশফিক থাকাকালীন সময়েও যদি আমি মারতে গিয়ে আউট হতাম তাহলেও সমস্যা হতো না কারণ আমাদের তখনও ৫-৬ টা ব্যাটসম্যান বাইরে ছিলো। কিন্তু যে সময় আমি আউট হয়েছি তখন যদি আমি আরও পাচটা ওভার পার্টনারশিপ বিল্ড করে যেতে পারতাম তাহলে বেটার হতো।"




শেষ তিন ম্যাচেই ৭০ এর ঘরে এসে আউট হয়েছেন তামিম। এতদূর এসেও সেঞ্চুরি না পাওয়া আফসোসে পুড়াচ্ছে তামিমকে, "সেঞ্চুরি করতে পারলে তো অবশ্যই ভালো হতো। কারণ লাস্ট তিন ম্যাচে এতোদূর এসেও রান করতে না পারাটা এটা সবসময়ই হতাশার। এটা আমার বলার দরকার নাই, আপনারাও বুঝতেছেন। ভালো সুযোগ ছিলো। খুব বিশেষ কিছু না, আমি যদি আরও ৬-৭  ওভার ব্যাট করতে পারতাম তাহলে আমি সেঞ্চুরি করতে পারতাম।"



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball