promotional_ad

ক্রিকেট ইতিহাসের 'ম্যাজিক' ডেলিভারিগুলো

promotional_ad

১৯৯৩ সালের ৪ জুন ওল্ড ট্রাফোর্ডে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে মধ্যকার   অ্যাশেজ সিরিজের টেস্ট চলছিল। ব্যাটিং করছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান মাইক গ্যাটিং। বোলার ছিলেন কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। গ্যাটিংকে করা ওয়ার্নের একটি বল লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে পিচ করে অফ স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়েছিল। সেই বলটিই ক্রিকেট ইতিহাসে জায়গা করে নেয় 'বল অফ দ্যা সেঞ্চুরি' নামে।




ওয়ার্নের সেই ঐতিহাসিক বলটিকে এবার আলোচনায় নিয়ে এসেছে অজি পেসার মিচেল স্টার্কের একটি 'আশ্চর্যজনক' ডেলিভারি। চলতি অ্যাসেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে দুর্দান্ত এক বলে যেভাবে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জেমস ভিন্সকে বোল্ড করলেন, তার সঙ্গে ওয়ার্নারের 'বল অফ দ্যা সেঞ্চুরির' তুলনা চলছে। মাইকেল ভন তো স্টার্কের এই বলকে বলেছেন ‘একবিংশ শতাব্দীর সেরা’।




এই অজি পেসারের বল রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার বেগে বাতাসে ভেতরে ঢুকে উইকেটে পিচ করে কিছুটা বাঁক খেয়ে ভেঙে দিয়েছে ভিন্সের অফস্টাম্প। ওয়ার্ন আর স্টার্কের মতোই আরও কয়েকজন তারকার উইকেট নেয়া ডেলিভারিগুলো ক্রিকেট ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। ফিরে দেখা যাক সেইসব ডেলিভারিগুলোঃ




ওয়াসিম আকরামের সেই দুই বল, ১৯৯২




আগে ব্যাট করে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ২৪৯ রান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেছিল ইংলিশরা। কিন্তু ইনিংসের ৩৫তম ওভারে বোলিংয়ে এসে দৃশ্যপট পাল্টে দেন পাকিস্তানি তারকা পেসার ওয়াসিম আকরাম। পরপর দুই বলে অ্যালান ল্যাম্ব ও ক্রিস লুইসকে  সাজঘরে ফেরান। দুটি বলই ছিল স্বপ্নের মতো। প্রথমে মিডল স্টাম্পে পিচ করা এক বলে ল্যাম্বের অফস্টাম্প উপড়ে ফেলেন ওয়াসিম আকরাম। এর পরের বলেই লুইসকে ইনসুইঙ্গারে বোকা বানান তাঁর অফস্টাম্পের বেল ফেলে দিয়ে। এই দুটি ডেলিভারিতেই বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপ জেতা নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের।



promotional_ad



ওয়ার্নের ‘এজবাস্টন-ওয়ান্ডার’, ২০০৫




১৯৯৩ সালে শতাব্দীর সেরা বলের মালিক শেন ওয়ার্ন ২০০৫ সালের অ্যাশেজে আরও একটি জাদুকরি ডেলিভারির জন্ম দিয়েছিলেন। অ্যাশেজের এজবাস্টন টেস্টে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে বোল্ড করেছিলেন অফস্টাম্পের অনেক বাইরে বল পিচ করিয়ে। সেই বলে বোকা বনে গিয়েছিলেন তৎকালিক ইংলিশ অধিনায়ক। তিনি ভাবতেই পারেননি ওয়ার্নারের অফস্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করা বলটি তাঁর লেগ স্টাম্প ভেঙে দিবে।




ওয়াকারের ‘অকল্যান্ড-ইয়র্কার’, ১৯৯৪




পাকিস্তান ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ড সফর করেছিল। সেবার ওয়ানডে সিরিজে অকল্যান্ডের একটি ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তান দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬১ রানে। সেলিম মালিকের দল সেই ম্যাচটি জিতেছিল ওয়াকারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে। ওয়াকার ইউনুস ৩০ রানে নিউজিল্যান্ডের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। ব্রায়ান ইয়ংকে তিনি বোল্ড করেছিলেন দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে। ওয়াকারের সে বলটি এখনো ক্রিকেট ইতিহাসে অমলিন।





ট্রেন্টব্রিজে অ্যান্ডারসনের 'গ্লোল্ডেন বল', ২০০৮




ট্রেন্টব্রিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ৪৩ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। সে ম্যাচে কিউই ব্যাটসম্যান রেডমন্ড অ্যারনকে দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড করেছিলেন অ্যান্ডারসন। বলটি মিডল স্টাম্পে পিচ করে অ্যারনের অফস্টাম্প ভেঙে দিয়েছিল। সেই বলটি অ্যান্ডারসনের ক্যারিয়ারের সেরা বলতো বটেই, এই ডেলিভারিটি ক্রিকেট দর্শকদেরও অনেকদিন মনে রাখার কথা।




সাকিবের 'শতাব্দীর সেরা বল', ম্যানচেস্টার ২০১০




যারা সাকিব আল হাসানের এই ডেলিভারি দেখেছেন, তারা ওয়ার্নারের 'বল অফ দ্যা সেঞ্চুরির' পাশেই রাখবেন সাকিবের অতিমানবীয় এই ডেলিভারিটিকে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড সফরে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে 'অতিমানবীয়' এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছিলেন ইয়ান বেলকে। লেগ স্টাম্পে পিচ করে সাকিবের বল বেলের অফস্টাম্প ভেঙে দিয়েছিলেন। সেটি স্টার্কের আগেই 'একুশ শতকের সেরা বল' হওয়ার যোগ্যতা রাখে!



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball