চিতাবাঘ মাশরাফি

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জুটির ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। সহজ সিঙ্গেলের সাথে দুই একটা বাউন্ডারিও আসছিল, বেশ সহজেই। রান রেটের চাপ পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান। তরুন ইমাম উল হক ও শোয়েব মালিক অর্ধশত রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানের পাল্লা ভারি করছিল।
ঠিক তখনই চিতাবাঘ মত শর্ট মিড উইকেটে ঝাপ দিয়ে পাকিস্তানের সমীকরণ পাল্টে দিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। রুবেলের লেগ স্ট্যাম্পের উপরের বলটি শর্ট মিড উইকেট ছাড়া করতে চেয়েছিলেন চলমান এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দেয়াল খ্যাত শোয়েব মালিক। স্ট্রাইকে থাকা শোয়েব মালিক স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কিছুক্ষণ। অন্যদিকে এক হাতে বল তালু বন্ধি করেই যুদ্ধ জয় করা বীরের মত হাত তুলে সম্মান নিচ্ছিলেন মাশরাফি। চোখে মুখে স্পষ্ট আত্মবিশ্বাস, জয় আমাদের আসবেই।

মালিকের বিদায় পাক ক্যাম্পে বড় আঘাত হবে, কে না জানে? মুশফিক ম্যাচ শেষে বলছিলেন, 'তা তো অবশ্যই। শোয়েব ভাই তাদের দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। দ্রুত তাঁকে আউট করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর ক্যাচটা তো অবশ্যই দুর্দান্ত ছিল। কারণ আমরা জানি শোয়েব ভাই তাদের ব্যাটিং লাইন আপের সবচেয়ে বড় হুমকি। তিনি এই টুর্নামেন্টে দারুন ফর্মে ছিলেন।'
শুধু মাশরাফিই নন, পাঁজরের ব্যথা নিয়ে ডাইভিং ক্যাচ নিয়ে আরেক আগ্রাসী ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদকে সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন মুশফিক। মুস্তাফিজের ক্রস সিম ডেলিভারিটি বের হয়ে যাচ্ছিল লেন্থ থেকে।
রানের খোঁজে থাকা সরফরাজ স্কয়ার অব দ্য উইকেটে রান বের করে নেয়ার আশায় ব্যাট চালিয়েছিলেন। মাথার খেলায় বোলার মুস্তাফিজের কাছে পরাস্ত হয়ে কিপার মুশফিকের তালুতে ধরা পড়েন পাকিস্তানি কাপ্তান।
দলের সিনিয়র ক্রিকেটারের হয়েও দৌড়ঝাঁপ দিয়ে ক্যাচ ধরায় তরুনদের থেকেও এগিয়ে থাকা মুশফিক খুনসুটি করে বলেছেন, 'আল্লাহ রহমতে আমরা বুড়ো বয়সেও এক দুইটা ভাল ক্যাচ ধরতে পারছি। সেদিক থেকে অনেক খুশি, মাশরাফি ভাইও খুশি, আমিও।'