২০২৮ সালে ৯৪ ম্যাচের আইপিএল আয়োজনে চোখ ভারতের

ছবি: আইপিএল ট্রফি

এই ব্যাপারে এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এর অনেকটাই অবশ্য নির্ভর করছে সম্প্রচার স্বত্বের আগ্রহের ওপর। আইপিএলের গত বেশ কয়েকটি আসর ধরেই ১০টি দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামে। আইপিএলে এখন ম্যাচ সংখ্যা ৭৪টি।
১১ ছক্কায় ৩৫ বলে সেঞ্চুরি, সূর্যবংশীর বিশ্ব রেকর্ডে রাজস্থানের জয়
৫৯ মিনিট আগে
২০২৫ সালে ম্যাচ বাড়িয়ে ৮৪টি করার কথা ছিল। তবে সম্প্রচার স্বত্বের অনীহার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। এর প্রধান কারণ আইপিএলের সঙ্গে বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্ট থাকে। তাই এতো লম্বা সময়ের জন্য তারা শুরু আইপিএল সম্প্রচার করতে চায় না। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও পুরোপুরি বন্ধ থাকে না।

এ ছাড়া ২০২৫ সাল পর্যন্ত আইসিসি ফিউচার ট্যুর ও টুর্নামেন্ট সূচি থাকায় প্রস্তাবিত ৮৪ ম্যাচের টুর্নামেন্ট সম্ভব হয়নি। ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইপিএলের ম্যাচ বাড়ানোর সম্ভাবনাও খুব কব। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৮ সালের আসরে আইপিএলের মোট ম্যাচ দাঁড়াতে পারে ৯৪টি।
ম্যাচ বাড়লেও দল বাড়ছে না আইপিএলে। মূলত ১০ দলের আইপিএলকেই তারা প্রসিদ্ধ মনে করছেন। তবে ম্যাচ বাড়াতে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে। যাতে করে প্রতি দলই নিজেদের মাঠে খেলার সুবিধা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে।
এই ব্যাপারে আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেন ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অবশ্যই, এটা একটা সুযোগ। আমরা আইসিসি ও বিসিসিআই-এর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। যেহেতু ভক্তদের আগ্রহ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসির ইভেন্ট থেকে সরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দিকে যাচ্ছে, এটা কাজে লাগানোর দারুণ সুযোগ আমাদের জন্য। আমরা গুরুত্ব সহকারে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। ক্রিকেটের প্রাণ ভক্ত। তাদের চাওয়ার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’
আইপিএলের জন্য আইসিসির কাছে আরও বেশি ফাঁকা সময়ের জন্য আলোচনা করবে বিসিসিআই। এমনটা হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আরেকটি প্রস্তাব জানিয়ে রেখেছে। গ্রুপ পর্বের মতো প্লে অফেও হোম এন্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার আগ্রহের কথা জানিয়েছে তারা। সেক্ষেত্রে ৯৪ ম্যাচের আইপিএল অকল্পনীয় কিছু হবে না।