স্থানীয় ক্রিকেটারে আস্থা ইমরুলের

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) আসরকে স্থানীয় প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসার উৎস হিসেবে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। এবারের টুর্নামেন্টে স্থানীয় ক্রিকেটারদের প্রতিই বেশি আস্থা রাখছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই ব্যাটসম্যান।
গত বিপিএলেও স্থানীয় ক্রিকেটাররা ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের দিক থেকে সেরা পাঁচে ছিলেন। আর এটাই প্রমাণ করে দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে বিপিএলের অবদান কতটা। ইমরুলের বিশ্বাস এই বছরও শীর্ষ ব্যাটসম্যান অথবা বোলারের তালিকায় জায়গা করে নিবেন দেশীয় খেলোয়াড়েরা। মিরপুরের সাংবাদিকদের তিনি বলছিলেন,
'অবশ্যই ভালো প্রতিযোগিতা হবে বিপিএলে। আপনি যদি দেখেন বিপিএল থেকে কিন্তু আমাদের অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার আসছে। আমার কাছে মনে হয় প্রত্যেক বিপিএলেই কিন্তু আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটাররা সেরা পাঁচে থাকে। এটি অবশ্যই আমাদের ক্রিকেটের জন্য একটি ভালো দিক। আশা করি এবছরও সেরা পাঁচে থাকবে আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটাররা।'

বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার সুযোগ পান স্থানীয়রা। আর এর ফলে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে সক্ষম হন তাঁরা। এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব সহকারে দেখছেন ৩১ বছর বয়সী ইমরুল। এই অভিজ্ঞতা জাতীয় দলেও কাজে লাগবে উল্লেখ করে তাঁর ভাষ্য,
'এত বড় বড় ক্রিকেটারের সাথে খেললে এবং ড্রেসিংরুম শেয়ার করলে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। আমার মনে হয় এই জিনিসগুলো আমরা যদি সঠিকভাবে ওদের কাছ থেকে নিতে পারি আমার কাছে মনে হয় আমাদের জাতীয় দলের জন্য অনেক সাহায্য হবে।'
উল্লেখ্য গত বিপিএল আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তালিকার সেরা পাঁচের তিনটিতে স্থানেই ছিলেন বাংলাদেশি বোলাররা। ১৩ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিলেন ডাইনামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
অপরদিকে ১২ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয়তে অবস্থান ছিলো খুলনা টাইটান্সের রাহির এবং ১৩ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে চতুর্থতে ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সাইফুদ্দিন।
এছাড়াও ব্যাটসম্যানদের তালিকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচে ছিলেন তামিম ইকবাল এবং মোহাম্মদ মিঠুন। কুমিল্লার হয়ে খেলা তামিম ১০ ম্যাচে ৩৩২ রান নিয়ে ছিলেন চতুর্থ অবস্থানে। যেখানে ১৫ ম্যাচে ৩২৯ রান নিয়ে পঞ্চমে ছিলেন রংপুরের মিঠুন।