মাশরাফিদের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না মমিনুলরা

ছবি:

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার সিক্স রাউন্ডে আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের মুখোমুখি হয়েছিলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গাজি গ্রুপ ক্রিকেটার্স। টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে গাজি গ্রুপকে ৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি-নাসিরদের আবাহনী।
এদিন সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে প্রথমে টসে জিতে আবাহনীকে ফিল্ডিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন গাজি গ্রুপ অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় রিক্রুট হানুমা বিহারীর সেঞ্চুরি এবং জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুনের হাফসেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ২৭৮ রানের বড় পুঁজি পায় নাসির-মাশরাফিদের আবাহনী।
১০৯ রান করে বিহারী আউট হলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ৭২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মিথুন। এছাড়াও ওপেনার সাইফ হাসান ৩০ এবং শেষের দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অপরাজিত ২৩ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৪ রান করেন। গাজি গ্রুপের পক্ষে মেহেদি হাসান এবং আবু হায়দার রনি উভয়েই দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। আর ১টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন মমিনুল হক এবং নাইম হাসান।
২৭৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে আবাহনীর বোলারদের তোপের মুখে পড়ে গাজি গ্রুপ। সানজামুল, তাসকিন, মিরাজদের সামনে রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করতে দেখা গেছে ব্যাটসম্যানদের। গাজি গ্রুপের পক্ষে এক অমিত মজুমদার ছাড়া আর কেউই হাফসেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি।

অমিতের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৪ রান। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মমিনুল হক। এছাড়াও শেষের দিকে আসিফ আহমেদ ২০ এবং উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলি ২৯ রান করেন। তবে এরপরেও শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে গাজি গ্রুপ। শেষ পর্যন্ত তারা অলআউট হয়েছে ৪২ বল হাতে রেখে ২০৫ রানে। ফলে ৭৩ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
গাজি গ্রুপকে দ্রুত অলআউট করার পেছনে মূল হন্তারক ছিলেন স্পিনার সানজামুল ইসলাম। ১০ ওভার বোলিং করে ৫০ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার ছিলো পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজার।
গাজির শেষ ব্যাটসম্যান টিপু সুলতানকে ফিরিয়ে দিয়ে মূলত মাশরাফিই তাদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিলেন। ৭ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। এছাড়াও তাসকিন আহমেদ এবং মেহেদি হাসান মিরাজও নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
আবাহনী লিমিটেড-
সাইফ হাসান, আনামুল হক বিজয় (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত, হানুমা বিহারী, নাসির হোসেন (অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিথুন, সানজামুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা।
গাজি গ্রুপ ক্রিকেটার্স-
ইমরুল কায়েস, জহুরুল হক (অধিনায়ক), মমিনুল হক, নাদিফ চৌধুরী, আবু হায়দার রনি, মেহেদি হাসান, আসিফ আহমেদ, জাকের আলি (উইকেটরক্ষক), নাইম হাসান, টিপু সুলতান, ফাওয়াদ আলম, আনুসতুপ মজুমদার।