শোয়েব নয়, সর্বোচ্চ গতির বোলার ফারুক হামিদ!

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতিতে বোলিংয়ের রেকর্ডটি পাকিস্তানের শোয়েব আখতারের। ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে ১৬১.৩ কিলোমিটার (১০০.২ মাইল) গতিতে বোলিং করেন সাবেক এই ডানহাতি পেসার।
তবে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব শোয়েবকে সর্বোচ্চ গতির বোলার মানলেও তাঁরই স্বদেশী পেসার ফারুক হামিদ ভিন্ন দাবি করেছেন। মাত্র একটি টেস্ট এবং ৪৩টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলা সাবেক এই পেসার জানিয়েছেন শোয়েব নন, বরং সর্বোচ্চ গতিতে বোলিংয়ের রেকর্ডটি তাঁর নিজের!

পাকিস্তানের জনপ্রিয় পত্রিকা ডনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হামিদ আরো দাবি করেছেন ডন ব্র্যাডম্যান, ইমতিয়াজ আহমেদ, জহির আব্বাসদের মতো কিংবদন্তী ক্রিকেটাররাও নাকি তাঁকে সর্বোচ্চ গতির বোলার হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
ফারুক হামিদ বলেন, 'স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, ইমতিয়াজ আহমেদ, জহির আব্বাসের মতো আন্তর্জাতিক তারকারা আমাকে সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার হিসেবে গণ্য করতেন। এমনকি তখনকার সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতিদানব চার্লি গ্রিফিথের চেয়েও দ্রুতগতির।'
এখানেই থামেননি সাবেক এই ডানহাতি পেসার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান রোহান কানহাইকে ভূপাতিত করার উদাহরণ টেনেছেন তিনি। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল কমনওয়েলথ দল। সে সফরেই হামিদের বল সামলাতে বেগ পেতে হয়েছিল কানহাইকে।
ফারুক হামিদ বলেছেন, ‘অনেক বড় বড় ক্রিকেটারই আমার বাউন্সারে ভয় পেত। তবে সাবেক টেস্ট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস আমার বাউন্সার ভালো কৌশল নিয়ে খেলেছে। সে গ্রিফিথের বাউন্সারেও ভালো হুক করত। গ্রিফিথ ১৯৬৩ সালে কমনওয়েলথ দলের হয়ে পাকিস্তান সফরে এসেছিল। সে সফরেই রোহান কানহাইয়ের মতো কিংবদন্তি আমার বাউন্সারে ভূপাতিত হয়েছিল। ধারাভাষ্যকাররা বলেছিলেন আমি গ্রিফিথের চেয়েও জোরে বল করি। অবশ্যই ঘণ্টায় ১১০-১১৫ মাইল গতিতে বল করছিলাম বলে মনে করি।'
৭৫ বছর বয়সী ফারুক হামিদের ক্রিকেট ক্যারিয়ার খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়। একমাত্র টেস্টে একটি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এছাড়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৫.২১ গড়ে ১১১টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।