তামিমকে ওপেনার হওয়ার গল্প শোনালেন রোহিত

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রোহিত শর্মাকে অধিকাংশ ক্রিকেট প্রেমীই চেনেন একজন ওপেনার হিসেবে। তবে এটি হয়তো অনেকেই জানতেন না যে ভারতের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শুরুতে খেলতেন মিডল অর্ডার।
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ করা রোহিত টানা পাঁচ বছর খেলেছেন তিন থেকে সাত নম্বর পজিশনে। শুক্রবার (১৫ মে) বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুক লাইভ সেশনে নিজের ওপেনার হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী রোহিত।
এখন পর্যন্ত ভারতের হয়ে ২২৪টি ওয়ানডে খেলেছেন এই ডানহাতি। যেখানে মোট ১২৮ বার খেলেছেন ওপেনিংয়ের। আর বাকি ম্যাচে মিডল অর্ডারে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তামিমের সঙ্গে আড্ডায় এসকল প্রসঙ্গই উঠে এসেছে।

রোহিত বলেন,
‘আমি নিয়মিত ওপেন করতাম না। ইনিংসের সূচনা করতে শুরু করেছি ক্যারিয়ারের বেশ কয়েক বছর যাওয়ার পর। তাও সেটা নিয়মিত ওপেনার হিসেবে নয়। হয়তো কোন ওপেনার আহত হয়েছে, তার জায়গায় আমাকে ওপেন করতে পাঠানো হতো।’
ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেক ভুল করলেও ধীরে ধীরে নিজেকে একজন পরিণত ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়ে তুলেছেন রোহিত। আর এর ফলে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ওপেনিং পজিশনটি পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন তিনি। ব্যাটিংয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিয়েছেন।
রোহিতের ভাষ্যমতে, ‘আমি শুরুর দিকে অনেক ভুল করেছি। ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ বছর মিডল অর্ডারে ব্যাট করতাম। তখন অনেক ভুল করেছি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেকেই ভুল করেন। আসলে তখন ভুল করাটা অস্বাভাবিকও নয়। তারপর আমি নিজেকে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করেছি। আমার ব্যাটিংয়ে আরও শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করেছি। এখন যতটা সম্ভব কম ভুলের চেষ্টা করি।’
ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে অবশ্য সতীর্থ শিখর ধাওয়ান অনেক সাহায্য করেছেন রোহিতকে। তাই তামিমের সঙ্গে আড্ডায় তাঁকে কৃতিত্ব না দিয়ে পারেননি ওয়ানডেতে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক। ধাওয়ানের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণে ধীর স্থিরভাবে নিজের ইনিংস গড়তে পারেন রোহিত।
ভারতের এই অভিজ্ঞ ওপেনার বলেছেন, ‘আমার কাজটা ভালো মতো করার পেছনে ধাওয়ানও হেল্প করেছে। সে যদিও মাটিতে রেখেই খেলে বেশি, তবে বেশ অ্যাটাকিং ব্যাটসম্যান। এটাই তার শক্তি। তার প্লেসমেন্টগুলোও পারফেক্ট। আমি সেগুলো শুরুর দিকে মাথায় রেখেছি। এসব দেখেই আমি আমার করণীয় ঠিক করে নিয়েছি। আমি ধরেই নিয়েছি, আমার কাজ হলো যত বেশি সময় উইকেটে থাকা যায়। অন্তত ৪০-৪৫ ওভার পর্যন্ত। ব্যাট করতে গেলে সেটাই আমার মাথায় থাকে।’