মাঠ ছাড়ার কারণ জানালেন মুশফিক

ছবি: মুশফিক

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তান ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে সরফরাজ আহমেদের ক্যাচ লুফে নিতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন টাইগার উইকেট রক্ষক মুশফিকুর রহিম। মুস্তাফিজুর রহমানের করা সেই বলটি ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন পাকিস্তান অধিনায়ক।
তবে সেই ক্যাচটির পর পরই চোটাক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে। পাঁজরের ইনজুরি থাকা সত্ত্বেও এভাবে ডাইভ দিয়ে বলটি লুফে নেয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ব্যাথা বৃদ্ধি পেয়েছিল। ব্যাট হাতে ৯৯ রানের ইনিংসটি খেলার সময়েও পেশিতে টান খেয়েছিলেন তিনি। মূলত ম্যাচটি মিস করতে চাননি বলেই মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি বলে জানিয়েছে পরবর্তীতে,

'আমার ওই ক্যাচটা ধরার পর পাঁজরে একটু ব্যথা করছিল। ব্যাটিং এর সময়ও আমার ক্র্যাম্প হচ্ছিল, হ্যামস্টিং এ লাগছিল। আমি বেশি ঝুঁকি নিতে চাইনি। আমি যদি পুরোপুরি ছিটকে পড়ি তাহলে ম্যাচটা মিস হতে পারত। আমি চেষ্টা করছিলাম যতটুকু পারা যায়, কিন্তু ১৫-১৬ ওভারের পর আর পারছিলাম না।'
মুশফিক ছাড়াও উইকেট রক্ষক হিসেবে বাংলাদেশ দলে আছেন মিথুন কুমার দাস এবং লিটন কুমার দাস। আর সেই কারণেই মাঠ ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পেরেছিলেন মুশফিক। তাঁর ভাষ্যমতে, 'ভেবেছিলাম, এখন যদি একটা ডাইভ দেই তাহলে আবার কি থেকে কি হয়ে যায়। আর দুইজন কিপার ছিল মাঠে, সেই জন্য একটি রিকভারের সময় নিয়েছিলাম। আমাদের হাতে সময়ও নেই। একদিন পরেই ম্যাচ (ফাইনাল)।'
ইনজুরির সাথে লড়াই তো আছেই, সাথে রয়েছে ভাল খেলার তাড়না। তবে সবকিছু ঠিক মত নিয়ন্ত্রণ করে রান করতে পারটাকেই সার্থকতা মনে করেন মুশফিক। দেশের জন্য এই কষ্ট করতেও পিছপা হতে চান না তিনি। আগামী ম্যাচে শত কষ্ট সহ্য করে হলেও ভাল খেলতে চান মুশি। তাঁর ভাষায়,
'ক্রিকেট খেলাটাই তো চ্যালেঞ্জিং, প্রতিদিন তো ৫০ বা ১০০ রান থেকে ইনিংস শুরু হয় না। শুন্য থেকে হয়। আর প্রতিপক্ষ সহজ বল দিবে না রান করার। কষ্ট করেই করতে হবে। এটাই আমাদের কাজ, আমরা এই জন্যই বাংলাদেশের হয়ে খেলছি। চেষ্টা থাকবে সামনে যতটুক ম্যানেজ করে খেলতে পারি, খেলে যাব। একদমই না পারি তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। এখন আপাতত পারছি, চেষ্টা থাকবে পরের ম্যাচটা কষ্ট করে হলেও ভাল করে খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।'