এশিয়ার নতুন পরাশক্তি আফগানিস্তান?

ছবি: আফগানিস্তান দল

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। জিতেছে দুটি ম্যাচেই, পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচটিও জিততে জিততে হেরেছে তাঁরা। অথচ ওয়ানডে ফরম্যাটের এই আসরে এই দলটিকে বিবেচনায়ই আনে নি বড় দলগুলো। কিন্তু নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ ক্রমশই দিয়ে চলেছে তারা।
দলে ব্যাটিং শক্তিতে খুব বেশি সমৃদ্ধ নয় আফগানরা। তারপরেও ২৫০ রানের আশপাশেই নিয়মিত করে যাচ্ছে তারা। ভাগ্যক্রমে তিনটি ম্যাচেই আগে ব্যাট করার সুযোগ মিলেছে আসগর-নবীদের। আর তিনটি ম্যাচে শ্রীলংকা, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা করেছে যথাক্রমে ২৪৯, ২৫৫ এবং ২৫৭ রান।

আধুনিক ক্রিকেটের এই মাঝারী পুঁজিতে জেতার জন্য দারুণ বোলিং আক্রমণ লাগে। এদিক দিয়ে আফগানরা দারুণ সম্ভাবনাময়। আরব আমিরাতের মাটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে হতাশ করেনি তারা। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ১৫৮ রানে, তারপরে তামিম-মুশফিক বিহীন বাংলাদেশকেও তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে মাত্র ১১৯ রানে!
আর সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে সহজে জিততে দেয় নি আফগান বোলাররা। ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে আফগানদের হয়ে নিয়মিতই রান পাচ্ছেন হাশমতউল্লাহ শহিদি। তিন ম্যাচে ৯৬ গড়ে ১৯২ রান নিয়ে আসরের সেরা রান সংগ্রাহক হওয়ার তালিকায় দ্বিতীয়তে আছেন তিনি।
আর বল হাতে কোনো বিশেষ বোলারের উপরে বেশি নির্ভরশীল নয় আফগানরা। প্রতি ম্যাচেই উইকেট পাচ্ছেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, গুলবদিন নাইবরা। এমন বোলিং আক্রমণে যদি স্কোর বোর্ডে মাঝারী আকারের রান থাকে তাতেই দলে আসে কাঙ্খিত জয়।
এই দিক বিবেচনায় সুপার ফোরের বাকী দুটো ম্যাচে আফগানিস্তান তো হুমকি হয়ে থাকছেই; এছাড়া এভাবে খেলতে থাকলে এশিয়া কাপের শিরোপা জয় থেকেও খুব বেশি পিছিয়ে নেই আফগানরা।