আজহারউদ্দিনের ছেলে বলেই কপাল খুলছে আসাদউদ্দিনের?

ছবি: মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও তাঁর পুত্র

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আজহারউদ্দিনকে ভারতের স্থানীয় গোয়া টিমের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার দল নির্বাচনী প্রক্রিয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
বয়সের অজুহাত দেখিয়ে নতুন করে সাজানো গোয়া টিমে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়কেই বিবেচনা করেননি তিনি বলে অভিযোগ উঠেছে। বয়সের দোহাই দিয়ে অনেককে সুযোগ না দেয়া হলেও আজহারউদ্দিনের ২৯ বছর বয়সী ছেলে আসাদউদ্দিন ঠিকই এই দলে জায়গা পেয়েছেন।

আর এখানেই যত আপত্তি অন্যান্য সিনিয়র খেলোয়াড়দের। বাম হাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আসাদের কোন প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাই নেই। তিনি হায়দ্রাবাদ জুনিয়র দলের হয়ে সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছিলেন ২০০৯ সালে।
সেবার উত্তর প্রদেশে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার আবেদন করলেও সুযোগ মেলেনি তার। এমন একজন খেলোয়াড় দলে সুযোগ পাওয়াতে হতাশা লুকাতে পারেননি গোয়া দল থেকে বাদ পড়া ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার শাদাব জাকাতি। ইএসপিএন ক্রিক ইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি হতাশার কথাও ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন,
'বাদ পড়াটা আমার জন্য নতুন নয়, গতবছর পাঞ্জাবের বিপক্ষে আমি ৫ উইকেট নিয়েও দল থেকে ছিটকে পড়েছিলাম। সুতরাং এটি এমন নয় যে আমি হঠাৎ করে এসে এসব বলছি। তাদের ইচ্ছে তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয়া। আমি, অসনদকার এবং সৌরভ বান্দেকারকে ক্যাম্পের জন্যও বিবেচনা করা হয়নি এই কারণেই। অথচ আমি দেখতে পারছি যে আসাদউদ্দিনকে তারা ঠিকই দলে অন্তর্ভুক্তি করেছেন যার বয়স কিনা ২৯ বছর। তাঁকে দলে কিসের ভিত্তিতে নেয়া হল? শুধুমাত্র সাবেক অধিনায়কের ছেলে হওয়াতে?'
এদিকে আসাদউদ্দিনকে দলে নেয়ার ব্যাপারে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন গোয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (জি সি এ) সচিব দায়া পাগী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,
'আজহারউদ্দিনের মতো একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সাহায্য করতে চেয়েছেন এবং আমরা তার প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছি। আমাদের কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি, সে শুধু মৌখিক ভাবে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছে । তার ছেলেও একজন ক্রিকেটার এবং আমরা ভাবলাম কেন তাকে সুযোগ দিব না এবং দেখি সে কতটা ভাল, আর কোন উদ্দেশ্য নেই।'