হেরেও গর্বিত কোহলি

ছবি:

এজবাস্টনে রোমাঞ্চকর টেস্টে ৩১ রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। দুই দলই লড়াই পান্টা লড়াইয়ে দারুণ উপভোগ্য একটি টেস্ট ম্যাচ উপহার দিয়েছে। তবে যোদ্ধার মতো লড়ে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়ে নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক ভিরাট কোহলি।
প্রথম ইনিংসে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও দলকে প্রায় একাই টেনে নিচ্ছিলেন জয়ের প্রান্তে। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি। তবে তার ইনিংসটিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমিয়ে তুলেছিল।
তৃতীয় দিন শেষে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১১০ রান। হাতে পাঁচ উইকেট রেখে জয়ের লক্ষ্য থেকে ভারত পিছিয়ে ছিল ৮৪ রানে। যদিও পরিসংখ্যান অনুকূলে ছিল না ভারতের। এজবাস্টনে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ১৯৪ বা এর বেশি রান তাড়া করে জয়ের উদাহরণ আছে মাত্র দুটি।

যার সর্বশেষটি আবার ১০ বছর আগের। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারত এর আগে ১৭৩ রানের বেশি তাড়া করে টেস্ট জেতেনি। তবে কোহলির ব্যাটেই আশার সঞ্চার করেছিল ভারত।চতুর্থ দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিক দ্রুত ফিরে গেলেও কোহলি আরেকটি জুটি গড়েন হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে।
সপ্তম উইকেটে তারা যোগ করেন ২৯ রান। কোহলির আউটেই এই জুটি ভেঙেছে। বেন স্টোকসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন কোহলি। তিনি রিভিউয়ের সাহায্য নিলেও আউট থেকে বাঁচতে পারেননি।
কোহলি ৫১ রান করে ফিরে যাওয়ার পর ভারতের দরকার ছিল ৫৩ রান। এরপর আর ২১ রানের মাথায় আরও দুজন ভারতীয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলে বৃথা যায় কোহলির নায়কোচিত ইনিংস। পরাজিত দলের অধিনায়ক হয়েও কোহলি দারুণ এক লড়াইয়ের বিজ্ঞাপন হয়ে থাকবেন এই ম্যাচের জন্য।
ম্যাচ শেষে এই ভারতীয় অধিনায়ক বলেছেন, বড় সিরিজে এমন শুরুর পর নিজেকে গর্বিত মনে করছেন তিনি। এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচের অংশ হতে পেরে দারুণ খুশি ভারতীয় অধিনায়ক। পুরো দলকে এই পারফরমেন্স ইতিবাচক হিসেবে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
‘এটা ছিল দুর্দান্ত এক টেস্ট। এমন রোমাঞ্চকর টেস্টের অংশ হতে পেরে খুশি। অনেকবার আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। নিজেদের চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছি। তবে ইংল্যান্ড ছিল নাছোড়। রানের জন্য আমাদের কষ্টটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যে লড়াইটা করেছি তাতে গর্ব বোধ করছি। দলের সবাইকে বলব এটাকে ইতিবাচকভাবে নিতে। বড় সিরিজে এমন শুরু, আমরা গর্বিত হতেই পারি।’