নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত

ছবি: শিরোপা উদযাপনে ভারতীয় দল, আইসিসি

ভারতের এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৫২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারতকে টোন সেট করে দিয়েছিলেন রোহিতই। তবে দিন শেষে কিছুটা আক্ষেপ থাকতে পারে দারুণ খেলেও সেঞ্চুরি না পাওয়ায়। মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রোহিত ও শুভমান গিল।
৮-১০ বছর বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করার মতো দল আছে আমাদের: কোহলি
৫ ঘন্টা আগে
যদিও রোহিতই আক্রমণাত্মক ছিলেন বেশি। তিনি মাত্র ৪১ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরই মধ্যে একবার জীবন পান ভারতের ওপেনার শুভমান গিল। জেমিসনের বলে মিড–উইকেটে কঠিন এক ক্যাচ দিয়েছিলেন এই ওপেনার। কিন্তু বল ধরে রাখতে পারেননি মিচেল। ফলে ৬ রানে বেঁচে যান গিল।
১৭ ওভারের মধ্যেই ভারত দলীয় একশ তুলে নেয়। তাও আবার বিনা উইকেটে। ভারতকে কোনো বিপদই হতে দেননি রোহিত ও গিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকেন এই দুই ওপেনার। তবে ভারতের দলীয় একশর পর নিউজিল্যান্ডকে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার মিচেল স্যান্টনার।
স্যান্টনারের শিকার হয়ে গিল সাজঘরে ফিরলে কিছুটা ধাক্কা খায় ভারত। এই স্পিনারের টসড আপ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্ট এক্সট্রা কাভারে গ্লেন ফিলিপসকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গিল। আর মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বিরাট কোহলি। তিনি মাত্র ২ বলে ১ রান করে আউট হন। কোহলি অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।

রোহিত ধীরে সুস্থে খেলে যেন সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন। তাবে তাকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেননি কিউই স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র। ভারতীয় অধিনায়ককে ব্যক্তিগত ৭৬ রানে তিনি আউট করেছেন। রাচিনের লেন্থ ডেলিভারিতে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন রোহিত। তবে ফেরার সময় পাননি। বলের লাইন মিস করে যান রোহিত। সেই সুযোগে স্টাম্প ভেঙে দেন টম লাথাম।
'ক্রিকেট নিষ্ঠুর এক খেলা', ফাইনাল হেরে বললেন রাচিন
৫ ঘন্টা আগে
এরপর ভারতের ইনিংস টেনেছেন শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল। দুজনে মিলে ৬১ রানের জুটি গড়েন চতুর্থ উইকেটে। আইয়ারকে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে ফিরিয়ে কিউইদের ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন স্যান্টনার। স্যান্টনারের লেন্থ বল স্কুপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে রাচিনের হাতে ধরা পড়েন আইয়ার। ফলে ভারত হারায় চতুর্থ উইকেট।
আইয়ারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অক্ষরও। বড় শট খেলতে গিয়ে ব্রেসওয়েলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে তিনি করেছেন ৪০ বলে ২৯ রান। এরপর উইকেটে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। আইয়ার আউট হওয়ার পর আগেই ছিলেন লোকেশ রাহুল। এই দুজনে ভারতকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান। যদিও একেবারে শেষদিকে কাইল জেমিসনের বলে টপ এজ হয়ে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১৮ বলে ১৮ রান করস হার্দিক। রাহুল ৩৩ বলে ৩৪ ও রবীন্দ্র জাদেজা ৬ বলে ৯ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতেই রাচিন ও উইল্ম ইয়ং মিলে যোগ করেন ৫৭ রান। দারুণ শুরু পেলেও সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি কিউইরা। বিশেষ করে কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তীর দাপটে তারা ৭৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এর মধ্যে দুই উইকেট নিয়ে বড় ধাক্কা দেন কুলদীপ।
আউট করেন রাচিন ও উইলিয়ামসনকে। ইয়ং শিকার হন বরুণের। এরপর উইকেট নেয়ার মিছিলে যোগ দেন রবীন্দ্র জাদেজাও। তিনি ফেরান টম লাথামকে। দ্রুত ৪ উইকেট পতনের পর কিউইদের লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ড্যারিল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। এই দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।
ফিলিপস হাফ সেঞ্চুরি না পেলেও খেলেন ৫২ বলে ৩৪ রানের সময়োপযোগী ইনিংস। দলটির আর কোনো ব্যাটারই বলার মতো রান করতে পারেননি। ফলে নিউজিল্যান্ডকে থামতে হয় ২৫১ রানে। ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বরুণ ও কুলদীপ। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি ও জাদেজা।