পেসারদের ধারাবাহিকতা ফেরানোর মিশনে ওয়ালশ

ছবি:

'এই ক্যাম্পের মাধ্যমে তারা জানতে পারবে ফাস্ট বোলিং আসলে কি এবং কতটা কঠিন পরিশ্রম এখানে প্রয়োজন। এটি দুটোরই কম্বিনেশন। আমরা এটিকেই সহজ করার চেষ্টা করছি। আমরা ধারাবাহিকতায় ফোকাস দিচ্ছি, স্কিল নিয়ে কাজ করছি এবং এখান থেকে একটি ভালো ধারণা পেতে চাচ্ছি।'
১৪ জন বোলারকে নিয়ে পেসারদের ক্যাম্প শুরু করার দিনে সাংবাদিকদের এমনটাই জানাচ্ছিলেন দলের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। শেষ ছয়মাস পেসারদের টানা ব্যর্থতা কাটাতেই নতুন আঙ্গিকে শুরু হয়েছে পেস ক্যাম্প।
ক্যাম্পে কাজ করা নিয়ে উইন্ডিজ কিংবদন্তী আরও জানান, 'আমরা ক্যাম্পে মানসিক দিক নিয়ে কাজ করছি। তাদের নিজেদের ফিরে পেতে হবে এবং এটি খুবই সাধারণ একটি বিষয়। আমার তত্ত্বাবধানে গত সিরিজে সেটাই হয়েছে। ছেলেরা বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলো।

'তাদের জানতে হবে কখন কোন পরিস্থিতিতে কি কাম্য এবং কিভাবে তা বাস্তবায়ন করা উচিৎ। যদি তারা ধারাবাহিতা ফিরে পায়, তাহলে দশের মধ্যে আটবারই তা তাদের পক্ষে কাজ করবে। আমরা তাদের ধারাবাহিক হতে সাহায্য করছি এবং রিল্যাক্স রাখার চেষ্টা করছি।'
মূলত স্কিলে দুর্বল জাতীয় দলের পেসাররা। সময়মত বাউন্সার, ইয়র্কার বা স্লোয়ার না দিতে পারা অথবা একটানা ভালো জায়গায় বল করতে না পারার পেছনের কারণ হিসেবে স্কিলকেই দুষছেন বর্ষীয়ান কোচ ওয়ালশ।
এছাড়াও পেসারদের যদি কোনো বিশেষ ডেলিভারি করতে দুর্বলতা থেকে থাকে তাহলে সেদিকে আরও ভালো করে নজর দিবেন তিনি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় ওয়ালশের কণ্ঠে।
'এই প্রথম আমি দলের কিছু ছেলেদের ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তাদেরকে নিয়ে কাজ করার মুল উদ্দেশ্য হলো তাদের মধ্যে কি আছে তা যাচাই করা। আগামী কিছুদিন আমরা বিশেষ কিছু ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে কাজ করবো। তাদের নিজ নিজ ডিপার্টমেন্টে উন্নতি করতেই হবে। যদি তারা কোনো ডিপার্টমেন্টে দুর্বল থাকে, আমরা সেটি নিয়ে কাজ করবো।'
বিশেষ করে ওয়ালশ নজর রাখবেন পেসারদের ধারাবাহিকতা রক্ষায়, 'যদি তারা শক্তিশালী হয়, আমরা তাদের আরো বেশি শক্তিশালী করবো। এই ক্যাম্পের মূল লক্ষ্য হলো একজন খেলোয়াড়ের সব স্কিলের উন্নতি করা। দিন শেষে, আমি এখানে থাকছি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যতটা পারা যায় সেরা অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং বোলারদেরকে আরো অনেক বেশি ধারাবাহিক করার জন্য।'