২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে বিসিবিকে সুজনের পরামর্শ

ছবি:

২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকে সব দলই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের সেরা দল গঠন করার জন্য এখনই সঠিক সময়। বিশ্ব ক্রিকেটের সব দলই একই পথে হাঁটছে।
পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে এখন থেকেই সেরা একাদশ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে হবে। কারণ বিশ্বকাপ শুরুর আগে সঠিক দল গঠন করতে না পারলে বিদেশের মাটিতে ভালো করা সম্ভব নয়।
এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। চ্যানেল নাইনকে দেয়া একান্ত এক সাক্ষাতকারে এসব নিয়েই কথা বলেছেন তিনি, সেখানে তিনি বলেন, 'বিশ্বকাপের আর বেশী সময় নেই।
তার আগেই আমাদের দলকে গুছিয়ে নিতে হবে। আমি মনে করি বিশ্বকাপের মত বড় আসরে ভালো করার মত দল আমাদের আছে। এছাড়াও অনেক তরুনরাই আসছে দলে। যারা ধীরে ধীরে দলের সাথে মানিয়ে নিচ্ছে এবং নিজেদেরকে তৈরি করছে।'

বিশ্বকাপে অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তরুনদের উপরও আস্থা রাখতে হবে বলে মনে করেন সুজন। তাই এখন থেকেই তরুনদের জাতীয় দলের সাথে রেখে ড্রেসিং রুমের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্র্যাকটিস করাতে হবে বলে মনে করেন চলমান বিপিএলে ঢাকা ডাইনামাইটসের কোচের দায়িত্বে থাকা সুজন। তিনি আরও জানান,
'তরুনদের দিয়ে বেশী বেশী ম্যাচ খেলাতে হবে। তাদেরকে দলের সাথে রাখতে হবে। তারা ম্যাচ না খেললেও ড্রেসিং রুমে থাকবে। সেখানকার পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিবে। তরুণদের মাঠের বাইরেও প্রস্তুত করতে হবে।'
এছাড়াও সুজন মনে করেন এখন দলের মধ্যে অনেক বেশী প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েছে। এমনকি লীগের খেলা গুলোতেও দেশী বিদেশীদের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলতে শিখে গিয়েছে তরুণরা। আর এটাকে দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো দিক হিসেবে দেখছেন সুজন। তিনি আরও বলেন,
'এখন তো বিপিএল বা ডিপিএলে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হয়। যেকারণে তরুনদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তারা সেটা নিতেও পারছে। তারপরও জাতীয় দলে থেকে ট্রেইন হওয়ার বিষয়টি ভিন্নরকম। আশা করছি দ্রুত তরনরা আরও বেশী ম্যাচ খেলতে পারবে। নতুন প্রজন্ম তৈরি করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি।'