অনিশ্চয়তায় ভারতের বাংলাদেশ সফর, প্রভাব পড়ছে এশিয়া কাপেও

ছবি: হাত মেলাচ্ছেন বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটাররা, আইসিসি

সেই সূচি অনুযায়ী আগস্ট মাসে বাংলাদেশ সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে ভারতের। কিন্তু বর্তমান কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই সফর বাতিল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ইমার্জিং সিরিজের দলে আকবর-জিসান
১৩ ঘন্টা আগে
তারা এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, 'এই সফর এখনো সূচিতে রয়েছে, তবে এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ভারত বাংলাদেশ সফরে না যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।'
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জেনারেল এ.এল.এম. ফজলুর রহমানের একটি স্ট্যাটাসের উদ্ধৃতিও। যাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হচ্ছে।

সেখানে তিনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো দখলের পরামর্শ দেন, যদি ভারত পাকিস্তানের ওপর আক্রমণ চালায়। তিনি সেই স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'যদি ভারত পাকিস্তানের ওপর আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশের উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য দখল করা। এই প্রসঙ্গে, চীনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা শুরু করাও জরুরি বলে আমি মনে করি।"
এখনও জাতীয় দলে ফেরার ক্ষুধা আছে রাহানের
৭ ঘন্টা আগে
এটাকে টাইমস অব ইন্ডিয়া 'উস্কানিমূলক মন্তব্য' আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি ভারতীয় ক্রিকেট দল ও প্রশাসনের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে তার এই মন্তব্য। যদিও এখনো সরকার বা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
যদিও সফর বাতিলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এশিয়া কাপ। তা নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা। সম্প্রতি পেহেলগামে হওয়া এক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরকার কড়া মনোভাব নিয়েছে।
তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকমের সম্পর্ক চিন্ন করার দিকেই যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন সম্ভব নয় বলেই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে এশিয়া কাপ স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ‘হাইব্রিড মডেল’-এ অনুষ্ঠিত হয়।
ভারত শ্রীলঙ্কাতেই তাদের সব ম্যাচ খেলে এবং শেষ পর্যন্ত তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। বাকি দলগুলো পাকিস্তানেও কিছু ম্যাচ খেলেছিল। অনেকের মতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছাড়া এশিয়া কাপের আকর্ষণ অনেকটাই হারিয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত সিদ্ধান্তই ঠিক করে দেবে উপমহাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ।