সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলছেন সিমন্স

ছবি: গণমাধ্যমে কথা বলছেন ফিল সিমন্স, ক্রিকফ্রেঞ্জি

গত অক্টোবরে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর নেতিবাচক ফলই বেশি হজম করতে হয়েছে সিমন্সকে। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এবার জিম্বাবুয়ের সঙ্গেও ঘরের মাঠে জিততে পারছে না বাংলাদেশ।
সারাদিনে টেনেটুনে ২০০ নয়, ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের পরামর্শ সিমন্সের
১৪ ঘন্টা আগে
মাঝখানে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একটি টেস্ট জিতে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ওয়ানডেতেও ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হয় দলটি, আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ জিততে পারেনি তারা।

আর পাকিস্তান ও দুবাইয়ের মাটিতে খেলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতা তো আছেই। তিন সংস্করণ মিলিয়ে সিমন্স দায়িত্ব নেয়ার পর ১৬ ম্যাচে মাত্র পাঁচটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ক্রিকেট বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে। বিনিয়োগ এবং বিপণনে বিসিবির ওপর আগ্রহ হারাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
সিদ্ধান্ত বদলাতে শরফুদ্দৌলাকে অনুরোধ করবে বিসিবি
৭ ঘন্টা আগে
সমর্থকদের প্রতি সিমন্স বলেন, 'আমি ধৈর্যের আবেদন জানাই, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের কাছে। কারণ আমি জানি, এই দেশে ক্রিকেট নিয়ে কতটা ভালোবাসা আর আবেগ কাজ করে। সবাই চায় বাংলাদেশ ভালো করুক, আমরাও সেটাই চাই। তাই ধৈর্য ধরুন, কারণ আমরা ভিতটা শক্ত করে গড়ে তুলতে কাজ করছি, যাতে দল ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে পারে।'
মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও বাজে অবস্থা বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ চলমান। এ ছাড়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও বিভিন্ন অনিয়ম চলছে। এসব থেকে ক্রিকেটারদের দূরে রাখার চেষ্টা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সিমন্স আরো বলেন, 'এটাই আমাদের একটা বড় চ্যালেঞ্জ— কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে বাইরের কথাগুলো থেকে খেলোয়াড়দের দূরে রাখা যায়। এখনকার পরিস্থিতিতে, যেমন আপনি কিছু নাম উল্লেখ করেছেন, এসব থাকবেই। কিন্তু আমাদের চোখ রাখতে হবে আগামী পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচে। আজকের মিটিংয়ে আমরা ছেলেদের এটা বোঝাতে চাই যে, এখন শুধু টেস্ট ম্যাচ আর আমাদের কাজের কথা ভাবার সময়—বাইরের কিছু নয়।'