আরও একটু সময় নিয়ে এনসিএল টি-টোয়েন্টি আয়োজনের পরামর্শ মিঠুনের
ছবি: ঢাকা মেট্রোর কাছে হেরে মোহাম্মদ মিঠুনদের বিদায়, ক্রিকফ্রেঞ্জি
আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিল বিভিন্ন উপায়ে। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা দেখতে বিসিবির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো সমর্থকদের। এবার অবশ্য খেলা দেখা গেছে দেশের একমাত্র স্পোর্টস টেলিভিশন টি-স্পোর্টস ও ভারতের ফ্যানকোডে। মানসম্মত ও পেশাদার টুর্নামেন্টের ছাপ রাখতে শুরুর আগে মিরপুরে ট্রফি উন্মোচন এবং সিলেটে আগেরদিন জার্সি উন্মোচন ও ক্যাপেনস মিটও আয়োজন করেছিল বিসিবি। অর্থাৎ নিজেদের সবটা দিয়েই এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সবার সামনে আনার চেষ্টা করেছেন তাঁরা।
সেটার ছাপ পড়েছে দেশের গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিশেষ করে ফেসবুকে সমর্থকরা কথা বলেছেন ভালো-মন্দ সবকিছু নিয়ে। যেখানে এমন আয়োজনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেছেন তারা। শুরুর দিকে টি-টোয়েন্টির আদর্শ উইকেট পাওয়ায় বড় রানের দেখা মিলেছে। তবে সময় যত গড়িয়েছে ততোই রান কমেছে। সেটার একটা বড় কারণ হতে পারে একই উইকেটে প্রয়োজনের বেশি ম্যাচ খেলা।
সিলেটের দুইটি মাঠে প্রতিদিন হয়েছে চারটি ম্যাচে। অর্থাৎ প্রতিটি উইকেটে একদিন হয়েছে দুটি করে ম্যাচে। টানা দুদিন করে খেলা হওয়ায় চারটি খেলা হয়েছে ৩৬ ঘণ্টার ব্যবধানে। তাতে উইকেট অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সেটার ছাপ পড়েছে শেষের ম্যাচগুলোতে। সবশেষ কয়েকটা ম্যাচে সেভাবে দাপট দেখাতে পারেনি। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঢাকা মেট্রোর ১২০ রানের জবাবে খুলনার ৭৫ রানে অল আউট হয়ে যাওয়াই বড় প্রমাণ। এনসিএলের সবকিছু নিয়ে প্রশংসা করলেও মোহাম্মদ মিঠুন মনে করেন, আরও একটু সময় নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে সবার জন্যই ভালো হবে।
এ প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, ‘হ্যাঁ, হতে পারে। ওয়ার্কলোডের তো একটা ব্যাপার আছে। খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে যেমন আপনি টানা ম্যাচ খেললে এক সময় যে শরীর আর ওইভাবে সাপোর্ট দিতে পারে না, উইকেটের ক্ষেত্রেও তাই। আপনি যদি খেয়াল করেন অনেক ঘনঘন ম্যাচ হয়েছে। উইকেটেও বিশ্রাম পায়নি, খেলোয়াড়রাও বিশ্রাম পায়নি। অবশ্যই টুর্নামেন্টটা অনেক ভালো ছিল। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাশা করব যদি পরবর্তীতে এরকম টুর্নামেন্ট হয় আর একটু সময় নিয়ে করলে ভালো। খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও ভালো, উনি যেমন উইকেটের কথা বললেন অতিরিক্ত খেলার কারণে উইকেটও আর ওই সাপোর্টটা দিতে পারছে না। প্রথম দিনে যেমন হাই স্কোরিং রান হচ্ছিলো ওইটা আস্তে আস্তে কিন্তু.... হয়ে গেছে।’
পুরো টুর্নামেন্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আপনি যদি খেয়াল করেন ম্যাচগুলো কিন্তু ভালো প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। প্রত্যেকটা দলই কিন্তু তাদের শতভাগ দিয়েছে এবং সবাই এটাকে কিন্তু খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। সামনে বিপিএল, তার আগে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রস্তুত করার বা নিজেদের প্রমাণ করার কিন্তু খুব ভালো একটা মঞ্চ ছিল এটা। অবশ্যই, সেটা হিসেব করলে এই টুর্নামেন্টের ইতিবাচক দিক অনেক বেশি। আমি যেটা বললাম প্রথমে যদি আরেকটু সময় পেতাম আমরা...।’