নিরাপত্তা বলয় তৈরি করার পরিকল্পনায় বিসিবি

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর জন্য নানা পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই অংশ হিসেবে প্রথমে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে তারা।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফিরতে হলে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করতে হবে। আর এই বেষ্টনীর আওতায় যারা থাকবেন তারা বাইরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না ম্যাচ কিংবা অনুশীলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বেশ কিছুদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে সবধরণের ক্রিকেট ম্যাচ। অখন্ড অবসরে থাকায় ফিটনেস ধরে রাখতে সমস্যা হচ্ছে অনেক খেলোয়াড়দের। তাই অতিসত্ত্বর অনুশীলনে ফিরতে মুখিয়ে আছে তারা। কিন্তু বিসিবির দৃষ্টি সবার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে।
এই ব্যাপারে দেবাশিষ বলেছেন চৌধুরী বলেছেন, 'নিরাপত্তা বলয় হলো এমন একটা জিনিস যার মাধ্যমে আপনি সবাইকে এক ছাদের নিচে রাখতে পারবেন যেন বাইরে থেকে কোনো প্রকার যোগাযোগ না থাকে। ধরুন আপনি ১৫ জনের একটি দলকে ডাকলেন, যাদের সঙ্গে রয়েছে ৫ জন কোচিং স্টাফ। সবমিলিয়ে আপনার ২০ জন মানুষকে পরীক্ষা করতে হবে। তাদেরকে আলাদা রাখতে হবে পরীক্ষার মাধ্যমে। তাদের থাকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া এবং যাতায়াতের ব্যাপারটিও আপনাকে দেখতে হবে। তারা অনুশীলনের পর অনুশীলন করবে। একই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। অন্য কারো সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পারবে না।'
তবে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচগুলোর ক্ষেত্রে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা সম্ভব বলে মনে করেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক। দেবাশিষের ভাষ্যমতে, 'আমি মনে করি এটি সম্ভব শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর ক্ষেত্রে। তবে আপনি এভাবে করতে পারবেন না। সবাইকে একসঙ্গে রাখা এবং দেখভাল করা অসম্ভব। তবে আপনি যদি একটি দল ঘোষণা করেন তাহলে দলটির জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।'
এই প্রক্রিয়ার কার্যকারীতাও তুলে ধরেছেন দেবাশিষ। চূড়ান্ত নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে আলাদা রাখা হবে হোটেলে বলে জানান তিনি। খেলার সময় সঠিক দিক নির্দেশনা মেনে প্রতিটি খেলোয়াড়কে স্টেডিয়ামে আনা হবে নির্দিষ্ট গাড়িতে। একই গাড়িতে পরবর্তীতে হোটেলে ফিরিয়ে আনা হবে তাদের।
দেবাশিষের ব্যাখ্যায়, 'আমরা দলটিকে আলাদা রাখবো। তারা হোটেলে থাকবে। একই হোটেলের এক ফ্লোরে রাখা হবে তাদের। এখানে কিছু দিক নির্দেশনা রয়েছে। তারা একই ফ্লোরে থাকবে এবং সেখান থেকে নামবে, একটি গাড়ি ব্যবহার করবে, স্টেডিয়ামে যাবে, এরপরে খেলবে এবং খেলা শেষে আবারো গাড়িতে চড়ে হোটেলে আসবে। এর মানে অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না তাদের। এটি সম্ভব একটি দলের জন্য, তবে সবার জন্য এটা সম্ভব নয়।'