বিরতিটা খারাপ সময়ে এসেছেঃ গিবসন

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের বিশ্বাস টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই খেলার সামর্থ্য রয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের। তবে এর জন্য যে দুই ধরণের মাইন্ডসেট তৈরি করতে হবে তাঁকে সেটিও জানিয়েছেন গিবসন।
২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুরের। কিন্তু এরপর থেকে এই পাঁচ বছরে মাত্র ১৩টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি বোলিংয়ের লাইন এবং লেন্থ ঠিক রাখতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে তাঁকে।
গিবসন অবশ্য এখনও ফিজকে নিয়ে আশা ছাড়ছেন না। তাঁর প্রত্যাশা আবারো টেস্টে ফিরবেন তিনি। ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বার্বাডিয়ান কোচ পরামর্শ দিয়েছেন মাইন্ডসেটে উন্নতি করার জন্য। একই সঙ্গে ভ্যারিয়েশন নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে জোর দিতে চান গিবসন।

তিনি বলেন, 'আমি মনে করি ফিজের এখনও বোলিংয়ের গভীরতা রয়েছে এবং সে এখনও টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে পারবে। সে যখন খেলা শুরু করলো তখন সাদা বলে অনেক ম্যাচ খেলেছে। সে কিছু টেস্ট ম্যাচ খেলেছে তবে সাদা বলের তুলনায় কম। এক্ষেত্রে বোলিংয়ে অনেক ভ্যারিয়েশন দরকার যেটা কিনা টেস্ট বোলিং স্কিলে প্রভাব ফেলবে। কারণ টেস্ট এবং ওয়ানডেতে মাইন্ডসেট ভিন্ন হয়। এই কারণে ওকে দুই ধরণের মাইন্ডসেট তৈরি করতে হবে।'
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আগে মুস্তাফিজকে নিয়ে বেশ কিছুটা সময় কাজ করেছেন গিবসন। তাঁকে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে সুইংও করিয়েছেন তিনি। ধীরে ধীরে বোলিংয়ে উন্নতিও হচ্ছিলো মুস্তাফিজের। কিন্তু হুট করে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় থমকে যায় সবকিছু।
বিষয়টি মানছেন গিবসনও। তিনি বলেন, 'আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি কিছুটা সময় এবং ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে কিছুটা সুইং করাতে পেরেছি ওকে দিয়ে। বিরতিটা খারাপ সময়ে এসেছে কারণ সে যেটা চেষ্টা করছিলো ওটা আয়ত্তে চলে আসছিলো এবং সে বল সুইং করাতে পারছিলো কিছুটা।
সাদা এবং লাল বলের ক্রিকেট ভিন্ন হওয়ায় দুই ফরম্যাটে দুই ধরণের মানসিকতা থাকতে হবে বলে জানান জাতীয় দলের এই পেস বোলিং কোচ। টেস্টে লাইন-লেন্থ ঠিক রাখার পাশাপাশি বল সুইং করানোর ব্যাপারেও গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গিবসনের ভাষ্যমতে, 'টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে লাইন-লেন্থ ছাড়াও প্রতিটি ওভারের প্রতি ফোকাস দিতে হবে। অপরদিকে সাদা বলের ক্রিকেট অনিশ্চিত এবং আপনাকে সকল ধরণের স্কিল ও ভ্যারিয়েশন ব্যবহার করতে হবে। এই কারণে দুই ফরম্যাটের স্কিল অনেক ভিন্ন। টেস্ট ক্রিকেটে আপনার দ্রুতগতিতে বোলিং না করলেও চলবে কিন্তু আপনাকে নির্ভুল হতে হবে। একই সঙ্গে বল সুইং করাতে হবে, সেটা বাতাসে কিংবা উইকেটে যেকোনো জায়গায়।'