promotional_ad

তামিমময় দিন পার করলো পূর্বাঞ্চল

ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


চলমান বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম ম্যাচে ইতিহাস গড়েছেন জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনই ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এরপর আজ তৃতীয় দিন ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন তামিম। 


তাঁর ৪২৬ বলে ৩৩৪ রানের অপরাজিত এই ইনিংসের সুবাদে ২ উইকেটে ৫৫৫ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে পূর্বাঞ্চল। তামিমের ৩৩৪ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এই রেকর্ড গড়ার পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন রকিবুল হাসানকে।


২০০৭ সালে জাতীয় লিগে বরিশালের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে ফতুল্লায় অপরাজিত ৩১৩ রানের ইনিংস খেলেন রকিবুল। এরপর বাংলাদেশের অনেক ব্যাটসম্যানই ট্রিপল সেঞ্চুরির খুব কাছ থেকে ফিরেছেন। তবে রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি। অবশেষে এই রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন তামিম। 


পূর্বাঞ্চলের রান পাহাড়ের জবাবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ৯ রানের মাথায় সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে নাজমুল হাসান শান্তর মধ্যাঞ্চল। সৌম্যকে ইয়াসির আলীর হাতে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন আবু জায়েদ রাহী।



promotional_ad

এরপর সাইফ হাসান এবং অধিনায়ক শান্তর ব্যাটে বিপদ কাটিয়ে উঠে মধ্যাঞ্চল। তবে দলীয় ৬৫ রানের মাথায় সাইফকে ইয়াসিরের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন নাঈম হাসান। ১০৬ রানের মাথায় বিদায় নিতে হয় শান্তকেও। নাঈমের বলে রাহীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।


পরবর্তীতে রকিবুল হাসান এবং শহিদুল ইসলামের ব্যাটে আর উইকেট না হারিয়ে খেলা শেষ করে মধ্যাঞ্চল। দিন শেষে ১৬ রানে অপরাজিত আছেন রকিবুল। তাঁর সঙ্গী শহিদুলের সংগ্রহ ৭ রান। ফলে পূর্বাঞ্চলের চেয়ে এখনও ২২৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে তারা। 


এদিন ৩ উইকেটে ৩৯৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করেছিল পূর্বাঞ্চল। ২২২ রানে অপরাজিত থাকা তামিম ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। ইয়াসির ৬২ রানের অপরাজিত থেকে তামিমের সঙ্গে মাঠ ছাড়েন। আগের দিন তামিম ছাড়াও দারুণ ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ১৯৪ বলে ১১১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। 


এর আগে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের শুরুতে টস জিতে মধ্যাঞ্চলকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক মুমিনুল। এরপর খেলতে নেমে তাইজুল ইসলামের বোলিং ঘূর্ণিতে মাত্র ২১৩ রানে অলআউট হয় মধ্যাঞ্চল। ৫৮ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন জাতীয় দলের স্পিনার তাইজুল।


এছাড়া ২টি করে উইকেট পান আবু জায়েদ রাহী এবং নাঈম হাসান। তাইজুলের দারুণ বোলিংয়ের সামনে ওপেনার সাইফ হাসান ছাড়া আর কেউই সেভাবে রান করতে পারেননি। ২১৪ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ।  



সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ (তৃতীয় দিন শেষে) 


মধ্যাঞ্চল (প্রথম ইনিংস)- ২১৩/১০ (৭৫.১ ওভার) (সাইফ ৫৮, তাইবুর ৪৬; তাইজুল ৫/৫৮, রাহী ২/৩৮) 


পূর্বাঞ্চল (প্রথম ইনিংস)- ৫৫৫/২ (১৩৯.৫ ওভার) (তামিম ৩৩৪*, মুমিনুল ১১১; হোম ১/১৬২) 


মধ্যাঞ্চল (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১১৫/৩ (৪০ ওভার) (শান্ত ৫৪, সাইফ ৩৩; নাঈম ২/৩৬, রাহী ১/১৩)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball