১২ পেয়েও হতাশ আল-আমিন!

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বিপ টেস্টে ১২ পয়েন্ট পেয়েছেন ডানহাতি পেসার আল-আমিন হোসেন। এই মার্ক পেয়েও অবশ্য সন্তুষ্ট হতে পারছেন না তিনি। ২৯ বছর বয়সী এই পেসারের লক্ষ্য ছিল ১৩ পয়েন্ট পাওয়ার। শেষ পর্যন্ত এই পয়েন্ট না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন তিনি।
আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিতে হলে বিপ টেস্টে ন্যূনতম ১১ পয়েন্ট পেতে হবে বলে ঘোষণা করেছিল বিসিবি। কিন্তু অনেক খেলোয়াড়ই এই পয়েন্ট তুলতে ব্যর্থ হন। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম পেসার আল-আমিন। জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ফিটনেস ধরে রেখেছেন তিনি।

এরপরও ১৩ না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে আল-আমিন বলেন, 'আমি আসলে হতাশ। সাধারণত ১২, ১০ বা ৮ দেই। আমার লক্ষ্য ছিল ১৩। পায়ে একটু ব্যাথা ছিল। তাই ১২ দিতে পেরেছি। আপাতত খুশি এই ভেবে যে ১১ তে পাস ছিল সেটা দিতে পেরেছি।'
বিপ টেস্টে ভালো করলেও ম্যাচের ফিটনেস যে ভিন্ন ব্যাপার সেটিও মানছেন আল-আমিন। এই ফিটনেস ধরে রাখতে হলে সারা বছর কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। আল-আমিনের ভাষায়, 'মাঠে গিয়ে বোলিং করার ফিটনেস বা ম্যাচ ফিটনেস ভিন্ন জিনিস। এই ফিটনেসটি মেইনটেইন করতে চাইলে সারা বছর কাজ করতে হবে। এটি যদি কেউ মেইনটেইন করতে পারে তাহলে মাঠে ভালো পারফর্ম করা সম্ভব।'
জাতীয় ক্রিকেট লিগকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করতে বিপ টেস্টে পাস করা বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর আগের জাতীয় লিগেও ক্রিকেটারদের বিপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছিল ক্রিকেট বোর্ড। যদিও সেবার ৯ পয়েন্ট পেয়েও সুযোগ পেয়েছিলেন অনেক ক্রিকেটার। এবার শুরুতে পাস মার্ক ১১ করলেও বয়স বিবেচনায় অনেক খেলোয়াড় ১০ পাস করেছেন।