৯০ এর ঘরে সৌম্য সরকার

ছবি: সৌম্য সরকার

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
খুলনা বিভাগের বিপক্ষে জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) টায়ার ১ এর ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৫৫২ রানের পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছিল রাজশাহী বিভাগ। জবাবে খেলতে নেমে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৪৫৫ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা। ফলে তাদের লিডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৭।
আর এই লিডের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। বর্তমানে ৯৭ রানে ক্রিজে অপরাজিত আছেন তিনি। আর তাঁর সঙ্গী হিসেবে আছেন নাহিদুল ইসলাম। রানের খাতা এখনও খোলেননি তিনি।
এর আগে আজ সকালে ২ উইকেটে ১৮২ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল খুলনা। আগের দিন ১২৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা তুষার আজ আবারও খেলতে নেমে শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৫৯ রান করে সানজামুল ইসলামের বলে হামিদুল ইসলাম হিমেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তবে তার আগেই দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মত জোড়া শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়েছেন তুষার।
তুষারের পাশাপাশি দারুণ খেলেছেন ওপেনার আনামুল হক বিজয়ও। ৭২ রান নিয়ে দিন শুরু করা বিজয়ও আজ তুলে নিয়েছেন অনবদ্য একটি শতক। তবে ১১৩ রান করে ফরহাদ হোসেনের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হলে ইনিংস বেশি লম্বা করতে পারেননি তিনি।

পরবর্তীতে সৌম্য এবং নুরুল হাসান সোহান দলের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন। এই দুই ব্যাটসম্যান ৭৭ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪০ রান করা সোহানকে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ বানিয়ে এই জুটি ভাঙ্গতে সক্ষম হন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তবে সোহান আউট হলেও সৌম্য এখনও টিকে রয়েছেন খুলনার আশার প্রদীপ হয়ে।
উল্লেখ্য নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল খুলনা। আর দলটিকে এত অল্প রানে গুঁটিয়ে দেয়ার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। ১২ ওভারে মাত্র ৪৩ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। এছাড়াও ২টি করে উইকেট পান দেলোয়ার হোসেন এবং সানজামুল ইসলাম।
খুলনার এই রানের জবাবে মিজানুর রহমান এবং জহুরুল ইসলামের জোড়া শতকে ৫৫২ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড়া করায় রাজশাহী। ব্যাট হাতে ১৬৩ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেন জহুরুল। আর মিজানুরের ব্যাট থেকে এসেছে ১১৩ রান।
এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে শুরুতে রবিউল ইসলাম রবির এবং আফিফ হোসেনের উইকেট দুটি হারালেও তুষার এবং বিজয়ের ব্যাটে বিপদ সামলে ওঠে খুলনা। তুষার ও বিজয় আউট হলেও সৌম্যর দুর্দান্ত শতকে লিড বৃদ্ধি করছে খুলনা।
খুলনা ডিভিশন একাদশ-
কাজি নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), খান আব্দুর রাজ্জাক (অধিনায়ক), তুষার ইমরান, জিয়াউর রহমান, আনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, নাহিদুল ইসলাম, আফিফ হোসেন, আল-আমিন হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, মেহেদি হাসান।
রাজশাহী ডিভিশন একাদশ-
জহুরুল ইসলাম (অধিনায়ক), ফরহাদ রেজা, ফরহাদ হোসেন, জুনায়েদ সিদ্দিকি, নাজমুল হোসেন শান্ত, মিজানুর রহমান, সানজামুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, দেলোয়ার হোসেন।