অপু ও শাহাদাতের তান্ডবে ঢাকার বড় জয়

ছবি: শাহাদাত হোসেন, সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় ক্রিকেট লীগের দ্বিতীয় টায়ারের ম্যাচে ঢাকা বিভাগের থেকে ৩৪৬ রানে পিছিয়ে থেকে আজ খেলা শুরু করেছিল চট্টগ্রাম বিভাগ। তবে ৩ উইকেটে ১৩৫ রানে দিন শুরু করা চট্টগ্রাম স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ১৩৫ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে গিয়েছে। ফলে ২১৪ রানের বিশাল একটি জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ঢাকা বিভাগ।
আজ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে সকালে খেলতে নেমে দেড়শ রানের মাথায় তাসামুল হক এবং সাইদ সরকারের উইকেট দুটি হারানোর পর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে কিছুটা বিপদ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিল চট্টগ্রাম। দারুণ একটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন।
কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যানের জুটিটি ভেঙ্গে দেন ঢাকার স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। ৪৭ রান করা অঙ্কনকে ফিরিয়ে দিয়ে চট্টগ্রামকে আবারও বিপদে ফেলেন তিনি। অঙ্কনের পর ৬০ রান করা সাইফুদ্দিনকেও বোল্ড করে ফেরত পাঠান জাতীয় দলের এই স্পিনার।
অপুর পর চট্টগ্রাম শিবিরে আঘাত হানেন পেসার শাহাদাত হোসেন। হাসান মাহমুদ এবং ইরফান হোসেনের উইকেট উড়িয়ে দেন তিনি। পরবর্তীতে আর বেশিদূর এগোতে পারেনি মমিনুল হকের চট্টগ্রাম। হাসান মাহমুদকে ফিরিয়ে দিয়ে চট্টগ্রামের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন শাহাদাত। এরই সাথে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ উইকেট তুলে নিলেন এই পেসার। অপরদিকে স্পিনার অপু পেয়েছেন ৫টি উইকেট। আর ১টি উইকেট গিয়েছে শুভাগত হোমের খাতায়।

এর আগে এই ম্যাচের তৃতীয় দিন ওপেনার রনি তালুকদারের দ্বিশতকে ভর করে ১ উইকেটে ৩৮৫ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছিল ঢাকা বিভাগ। ২২৮ রানের একটি বাম্পার ইনিংস খেলেছিলেন ২৭ বছর বয়সী রনি। ১৩২ রান নিয়ে তাঁকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদ।
এই দুই ওপেনার মিলে ৩৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন গতকাল, যা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি। আর তাঁদের এই জুটির সুবাদেই বড় লিডের দেখা পায় ঢাকা। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ৩৪১ রানের। ২০১৭ সালের এনসিএলে রাজশাহী ডিভিশনের হয়ে এই জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন এবং মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য নিজেদের প্রথম ইনিংসে জুবায়ের হোসেন লিখনের ঘূর্ণিতে মাত্র ২৩৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ঢাকা ডিভিশন। লিখন ৬১ রানে একাই ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন। ৭৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তাঁকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছিলেন নাইম হাসান।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শাহাদাত হোসেনের বোলিং তোপে পরে মাত্র ১৪২ রানে গুঁটিয়ে যায় চিটাগাংয়ের ইনিংস। ৬২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। অপরদিকে মোশাররফ রুবেলও নেন ২টি করে উইকেট।
চট্টগ্রাম বিভাগ একাদশ-
মমিনুল হক (অধিনায়ক), ইরফান শুক্কুর, সাদিকুর রহমান, তাসামুল হক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), সাইদ সরকার, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাইম হাসান, ইরফান হোসেন, হাসান মাহমুদ, জুবায়ের হোসেন লিখন।
ঢাকা বিভাগ একাদশ-
শুভাগত হোম, নাদিফ চৌধুরী (অধিনায়ক), মোশাররফ রুবেল, রনি তালুকদার, আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ শরিফ, কাজি শাহাদাত হোসেন, তাইবুর রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু, সাইফ হাসান, মাহবুবুল আলম (উইকেটরক্ষক)।